শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন

সিভিল সার্ভিস:  কম পার্টিজান, বেশি জবাবদিহিতা 

  • Update Time : শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪, ৮.০০ এএম

মাইক হেইডেন,  জেমস লয়, জে মাইকেল মাইক ম্যাককনেল, জন নেগ্রো পন্টে, শণ ও’কিফি 

ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন তিনি একটি প্রতিষ্ঠিত আমলাতন্ত্রকে তার নিজস্ব নীতির জন্যে বাধা বা প্রতিরোধকারী হিসেবে দেখে হতাশ হন। এ জন্যে তিনি অধিকাংশ ফেডারেল সিভিল সার্ভেন্টদের সুরক্ষা প্রদানকারী আইনগুলোঅপসারণ করার চেষ্টা করেছিলেন- যাতে তিনি তাদের পরিবর্তে  তার নিজস্ব নীতি সমর্থক এবং অনুগতদের নিয়োগ দিতে পারেন। যদিও তার প্রচেষ্টা পরবর্তী নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করেন।

 

এদিকে আবার  ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে তিনি পুনর্নির্বাচিত হলে তার আগের ওই চেষ্টা আবার করবেন।

আমরা মনে করি উভয় দৃষ্টিভঙ্গিতেই কিছুটা যুক্তি রয়েছে। তবে, একটি দ্বিদলীয় গ্রুপের প্রাক্তন জাতীয় এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, কূটনৈতিক, গোয়েন্দা এবং আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের সদস্য হিসেবে আমারা যারা ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টদের অধীনে দেশকে সেবা করার সুযোগ পেয়েছি, আমরা মনে করি একটি “তৃতীয় পথ” আছে যা আমাদের সিভিল সার্ভিসের সবকিছু সঠিকভাবে সংরক্ষণ করবে- আবার সবাই একমত হয়ে যা ভুল সেটা ঠিক করার চেষ্টা করবে।

আমাদের অভিজ্ঞতা আমাদের দেখিয়েছে যে ক্যারিয়ার সিভিল সার্ভেন্টদের একটি অমূল্য সম্পদ হলো পার্টিজান রাজনৈতিক প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা এবং সংরক্ষণ করা। তাদের এই সম্পদ এমনই ক্ষমতা যে শক্তির সামনে সত্য বললে, এমন কি আমাদের মতো কর্মকর্তাদের কাছেও-  তাদের চাকরি হারানোর ভয় ছিলো না এবং সে ভয় এখনও নেই।  এর বিপরীতে তাদের নিয়োগের ও অনান্য ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মতাদর্শ ব্যবহার করা একটি বিপজ্জনক ঝুঁকি। এই বিপদ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য। তবে, এই কর্মচারীদেরওতাদের কাজ ভালোভাবে করার জন্যও জবাবদিহি করতে হবে। একটি বাস্তব বিষয় হলো, এদের মধ্যে কয়েকজন খারাপ কর্মকর্তাবর্তমান সিস্টেমের অধীনে অত্যধিক সুরক্ষিত। যখন তাদেরকে যৌক্তিক মানদণ্ডের কর্মক্ষমতা বা আচরণের মাধ্যমে বিচারের অনেকটা বাইরে তাই তাদের বরখাস্ত করা খুব কঠিন। সুতরাং, আমরা মনে করি বর্তমান সিভিল সার্ভিস সিস্টেম সংস্কারের জন্য খুবই প্রয়োজন। কিন্তু  এই সংস্কারের জন্যে উভয় পক্ষের দেওয়া প্রস্তাবগুলো সমস্যাযুক্ত। এক পক্ষ একটি স্থিতাবস্থার সাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ যা জবাবদিহিতাকে বাধা দেয়, এবং অন্য পক্ষ তাদের খুব সিভিল সার্ভেন্টদের দলীয়করণ করতে চায় অথচ এদের রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হওয়া উচিত।

আমরা মনে করি কার্যকর সংস্কার সিস্টেমের মাধ্যমে সিস্টেমের অধীনে নিয়োজিত কর্মচারীদের রাজনীতিকরণ ছাড়াই  যে কোন কাজ সম্পন্ন করা যেতে পারে। অফিস অফ পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট (ওপিএম) সম্প্রতি একটি নিয়ম জারি করেছে যা ফেডারেল সিভিল সার্ভেন্টদের নিয়োগ বা বরখাস্ত করার জন্য মেধা ছাড়া অন্যান্য মানদণ্ড ব্যবহার করা কঠিন করে তুলেছে। আমরা প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করি, তবে যদিও সেই নিয়মটি সম্ভাব্য রাজনীতিকরণকে বিলম্বিত করতে পারে,  তবে এটি কোনও প্রেসিডেন্টকে বা  যেকোনো প্রেসিডেন্টকে বা যেকোনো দল যদি খারাপ কিছু করে তাকে বাধা দিতে পারবে না। তাই এটা আমাদের দেশের জন্য খারাপ। এই যুদ্ধ শেষ হতে এখনও অনেক বাকি, এবং আমরা বিশ্বাস করি কেবল কংগ্রেসই সুরক্ষা এবং জবাবদিহিতার মধ্যে একটি সঠিক, স্থায়ী এবং কার্যকর ভারসাম্য সরবরাহ করতে পারে।

আমরা যা প্রস্তাব করি তা এখানে:
১. কংগ্রেসকে সিভিল সার্ভিস আইন সংশোধন করতে হবে যাতে অপব্যবহার বা খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য প্রতিকূল পদক্ষেপগুলি দ্রুত, সহজভাবে এবং চূড়ান্তভাবে নেওয়া এবং সমাধান করা যায়। এটি কেবল বর্তমানের বা আজকের জন্যে নয়, বরং মৌলিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনরূপ  আপোষ না করে যথাযথভাবেই এটা করা  যেতে পারে। এবং সিভিল সার্ভেন্টদের শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ এবং বরখাস্ত করা উচিত।
২. কংগ্রেসকে একই সাথে যোগ্য ক্যারিয়ার সিভিল সার্ভেন্টদের — বিশেষ করে যারা জাতীয় নিরাপত্তা, কূটনৈতিক, গোয়েন্দা এবং আইন প্রয়োগকারী অবস্থানে রয়েছে তাদেরকে  পার্টিজান প্রভাব থেকে রক্ষা করতে হবে। আর সেজন্য এমন আইন প্রণয়নের প্রয়োজন যাতে শুধু বর্তমানে  নয় ভবিষ্যত প্রশাসনের সম্ভাব্য রাজনীতিকরণনের হাত থেকে তারা রক্ষা পাবে এবং কোনরূপ ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।
৩. কংগ্রেসকে এছাড়াও ক্যারিয়ার সিভিল সার্ভেন্টদের দ্বারা এপলিটিকাল প্রশাসন এবং একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রশাসনের নিয়োগপ্রাপ্তদের দ্বারা তাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে। আর এটি একটি নিদ‍র্লীয় সংস্থা দ্বারা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন যা প্রতিটি সংস্থায় মিশ্রণের প্রয়োজন, সম্ভবত মার্কিন সামরিক বাহিনীর কোয়াড্রেনিয়াল রিভিউ কমিশনের প্যার্টানে হতে পারে।

আমরা মনে করি আমাদের ক্যারিয়ার সিভিলি সার্ভেন্টরা আমাদের জাতীয় সম্পদ। তারা বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। তাদেরকে আসলে অর্থ বা অন্য কোন  পরিচয় দিয়ে মূল্যায়ন করা যায় না।

অন্যদিকে যে কোনও প্রস্তাব যা রাজনৈতিক আনুগত্য যদি তাদের ভিতরের এ সম্পদকে নষ্ট করার পথে ঠেলে দেয় বা সেটা তাদের মধ্যে প্রবেশ করার পরিবশে সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক আনুগত্যের এমনকি বৃহত্তর জবাবদিহিতার নামে তাহলে তা এখনই বন্ধ করতে হবে।

লেখকদের পরিচিত- 

*মাইক হেইডেন:  ২০০৬ থেকে ২০০৯ সা পর্যন্ত সিআইএ এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার পরিচালক ছিলেন। 

*জেমস লয় ২০০৩ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ডেপুটি সেক্রেটারি এবং১৯৯৮ থেকে ২০০২সাল পর্যন্ত ইউএস কোস্ট গার্ডের কমান্ড্যান্ট ছিলেন। 

*জে. মাইকেল মাইক ম্যাককনেল ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক এবং ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত NSA-এর পরিচালক ছিলেন। 

* জন নেগ্রোপন্টে ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত রাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি এবং ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের ডিরেক্টর ছিলেন। 

*শন ও’কিফি  এনএএসএ-এর প্রশাসক ছিলেন২০০১ থেকে ২০০৫ এবং ১৯৯২ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত নৌবাহিনীর সচিব ছিলেন

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024