শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন

প্রকৃতিবিদের কাহিনী (কাহিনী-০২)

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪, ৯.০০ পিএম

পিওতর মান্তেইফেল

মর, ভূমিতে

মরুভূমির বালিতে দিন কয়েক কাটালেই টের পেতে হয় নির্মল জলের সরোবর আর নদী ছাড়া জীবনধারণ আমাদের থেকে কত তফাৎ। সেখানে আকণ্ঠ পান করা যায় কেবল গ্রীষ্মের বিরল বৃষ্টিপাতের পর দ্রুত মিলিয়ে যাওয়া ডোবাগুলো থেকে। ১৯১৩ সালের গ্রীষ্মের শেষে ১০টি উটের ওপর মাল চাপিয়ে আমাদের আমু-দরিয়ার বদ্বীপ থেকে কিজিল-কুম (লাল বালি) মরুভূমি দিয়ে কাজালিনস্ক শহর পর্যন্ত একটা লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়েছিল। আরল সাগরে পড়া আরেকটা মহানদী, ঘোলা জলের সির-দরিয়ার কাছেই শহরটা। দুই কাঁজের পাঁচটা উটের পিঠে ছিল মাটি, জন্তু-জানোয়ার, উদ্ভিদ, পাখি, সাপ ইত্যাদির নমুনা। বাকিগুলোয় ছিল জলের পিপে আর বড়ো বড়ো ফ্ল্যাঙ্ক, কেননা গোটা পথে পাওয়া সম্ভব কেবল নোনা জল, তাও বহুকাল আগে খোঁড়া গভীর কুয়োগুলোয়। কোনো প্রস্রবণ বা নির্মল জলের সরোবর ছিল না এই জনহীন এলাকাটায়। ভুট্টা আর জোয়ারের ক্ষেত ছাড়িয়ে শেষ ক্যানেলটি পেরিয়ে আমরা চললাম প্রায় অলক্ষ্য হাঁটাপথ দিয়ে, বালিয়াড়িগুলোর মধ্যে তা কখনো মুছে গেছে, কখনো উঠেছে তাদের চুড়োয়। বালিতে নরম পদক্ষেপে যাচ্ছিল উটগুলো, ঝুরঝুরে বালিতেও তাদের চওড়া পায়ের পাতা ডুবছিল না। শেষে বালিয়াড়ি হয়ে উঠল নিচু-নিচু, প্রায়ই দেখা যেতে লাগল অদ্ভুত, প্যাঁচানো প্যাঁচানো সাকসাউল গাছ। জোর বাতাস বইছিল, মিহি বালিতে ঢাকা পড়ছিল সমস্ত চিহ্ন, উট যাবার পথটাও।

শুধু ঘন ঘন দেখা পাওয়া, রোদে শাদা হয়ে ওঠা উট, কখনো বা কুকুর কি অন্য কোনো গৃহপালিত জীবের কঙ্কাল থেকে বোঝা যাচ্ছিল পথটা কত কঠিন, তাহলেও কারাভান পথের সঠিক নিশানা মিলছিল তা থেকে। ঝোপ থেকে ঝোপে উড়ে যাচ্ছিল একঝাঁক মরুভূমির চড়ুই। কৌতূহল বোধ করে আমি তাদের পেছ পেছ পথ থেকে সরে যাই। সাকসাউল গাছের ডাল খাচ্ছিল কতকগুলো জাইরান হরিণ, তারা আমায় সরিয়ে নিয়ে যায় আরো দূরে… মোটের ওপর, আমার সহযাত্রীদের সঙ্গ ধরতে হয়েছিল চিহ্ন ধরে ধরে, তবে উটগুলো যাচ্ছিল অনেক তাড়াতাড়ি…

তাকিরে (বালিয়াড়ির মাঝখানে চেপ্টা ডাঙ্গা) নেমে দেখলাম, মাটিতে গলা বাড়িয়ে শুয়ে আছে একটা উট, একটু দূরে মনমরার মতো বসে আছে এক বৃদ্ধা, তার খানিকটা আগে নতনের দীর্ঘাঙ্গী এক কাজাখ তরুণ, মুখে তার চূড়ান্ত অবসন্নতার ছাপ। চুপ করে ছিল তারা।

‘কী ব্যাপার?’ কাজাখ ভাষায় যেমন পারি জিজ্ঞেস করলাম।

‘উটটা মারা যাচ্ছে, মারও অবস্থা খারাপ,’ ঘড়ঘড়ে গলায় বললে ছেলেটা, ‘জল নেই, জল দরকার।’

জানা গেল, কারাভানের সর্দার, কাজাখ দেলিম নবীন ভূতাত্ত্বিক ব. ন. সেমিখাতভের কথা শোনে নি, জল দেয় নি এদের। গোটা মরুভূমিটা তারা প্রায় পাড়ি দিয়ে এসেছে, এখন আমু-দরিয়ার উপত্যকায় পৌঁছবার মুখে তারা জলের অভাবে এতই কাহিল হয়ে পড়েছে যে হয়ত আদৌ গিয়ে পৌঁছবে না। যেমন পারলাম বুঝিয়ে বললাম যে কারাভানটার সঙ্গ ধরে আমি জল নিয়ে আসব, ওরা যেন অপেক্ষা করে। ভাগ্যি ভালো যে বেশি দূর যেতে হবে না, পাঁচ কিলোমিটার পথ। তিনজন কাজাখ আর নবীন ভূতাত্ত্বিকটি রাত কাটাবার জন্যে থেমেছিল, মাল খালাস করছিল উটগুলোর পিঠ থেকে।

‘লোককে জল দেন নি কেন?’ কড়া করে জিজ্ঞেস করলাম সর্দার কাজাখ দেলিমকে।

মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে সংক্ষেপে সে রুশীতে জানিয়ে দিলে:

‘মরুভূমি- বিস্তর পথ। সবাইকে জল খাওয়াতে হলে নিজেরাই মারা পড়ব।’

তাহলেও খানিকটা কথাবার্তার পর সে বড়ো একটা কেটলির আধখানা পর্যন্ত জল ঢাললে, আমি সেটা পুরো করে দিলাম। লাল সূরায় ঈষৎ টোকো জল আমরা নিয়ে গেলাম উটে করে। ছেলেটা প্রথমে জল খেতে চাইলে না, দেখালে মায়ের দিকে। অল্প অল্প করে চুমুক দিল সে, ভেজাল আশুষ্ক জিভ আর গলা। উটেরও মুখ শুকিয়ে গিয়েছিল ১২ দিন সে জল খায় নি, যেসব কুয়ো আমাদেরও ভরসা, তাতে জল ছিল না। শুকনো কুয়োতে পড়া সাপ, মরুভূমির তোলাই খরগোস আর অন্যান্য জীবজন্তর মৃতদেহ পূতিগন্ধ ছাড়ছিল। প্রথমে ন্যাকড়া ভিজিয়ে গুজে দেওয়া হল উটের মুখে, তারপর খানিকটা জল খাওয়ানো হল। সহনশীল জানটিয়া দাঁড়াল শিগগিরই। বাকি জলটা ওরা ঢেলে রাখলে খালি মগে। চাঙ্গীর চিয়ে উঠল সবাই, ছেলেটা বার কয়েক কোলাকুলি করলে আমার সঙ্গে, মায়ের চাঙ্গা হয়ে উঠল সরাই, দবদায় নিলাম আমরা। দামী জলের বেহিসাবী খরচায় ফোন ভরে উঠয় নি। এ সন্ধ্যায় আমার সঙ্গে কথা বলে নি সে। তবে যে দুই ছোলিম কালিখ তাকে ভয় করত ‘কারাভানের আকসাকাল’ (মোড়ল)-এর মতো তারা কিন্তু ইঙ্গিতে যথাকালে সাহায্যের জন্যে অনুমোদন জানিয়েছিল।

অন্ধকার হয়ে এল, থিতিয়ে এল বাতাস, ঠান্ডা পড়ল। মরুভূমিতে আমি ফেস্ট- বুট পরে পাড়ি দিয়েছি, সেটা খামোকা নয়- রোদে গরম বালির ছ্যাঁকা লাগে না, ঝুরঝুরে বালির গাদায় ডুবে যায় না পা, ঠান্ডা লাগে না রাত্রে।

“সোকসাউল কাঠের খুনি বেশ ভালো জ্বললেও সবাই যখন ঘুমুচ্ছিল, তখন তা নিবে যায়। সূর্য ওঠার সময় বালি একটু গরম হতেই দেখা দিল কালচিটে কাঁচপোকা। কে জানে কোথেকে উড়ে এল বড়ো বড়ো গুবরে পোকা; রাতের মধ্যে উটের কাছে যেসব গোবর জমেছিল, তা তারা নিঃশেষ করে গুলটি পাকিয়ে পেছনের পা দিয়ে ঠেলে নিয়ে গেল নানান দিকে।

সবাই ঘুমুচ্ছে, আমি এগিয়ে গেলাম একটু দূরে। চারিদিক এমন চুপচাপ যে বুকের স্পন্দনও শোনা যায়। একটা শব্দ নেই কোথাও! লোকে এখানে যে মৃদু স্বরে কথা বলে, সেটা খামোকা নয়। কিন্তু এটা কী? সোজাসুজি আমার দিকে আসছে কী-একটা যেন ফোলা-ফোলা বালির ফালি। শুধু কাছে আসতেই আমার চোখে পড়ল বেশ মোটা একটা বেলে বোড়া সাপের চোখ আর মাথার একাংশ। গিরগিটি আর ই’দুরের খোঁজে বালির তল দিয়ে আসছিল সে। আমার হাতের একটা অসতর্ক ভঙ্গিতে সাপটা মুহূর্তের মধ্যে তলিয়ে গেল বালিয়াড়ির গভীরে।

গোল-মাথা চটপটে গিরগিটিরা বিপদ টের পেয়েই লুকিয়ে যাচ্ছিল বালির মধ্যে, সবকটা চার পা আর গা দিয়ে বালি খুঁড়ে যেন তলিয়ে যাচ্ছিল তাতে। বড়ো বড়ো আগামা গিরগিটিগুলো তামারিস্ক ঝোপের ওপরে উঠে সোনাপোকা ধরছিল। মাকড়সার মতো দেখতে বড়ো বড়ো বিষাক্ত ফালাঙ্গ কীটগুলো দ্রুত লুকিয়ে পড়তে চাইছে দিনের আলো থেকে। বাতাসে বালি উড়ে পাশেই যে একটা খাদের মতো হয়েছে, সেখানে শোনা গেল যেন পাখির ডাকাডাকি। সন্তর্পণে তার ধারে গিয়ে দেখলাম ধেড়ে ই’দুরের মতো আকারের বাদামী রঙা বহ মূষিকজাতীয় প্রাণী। এগুলো হল বড়ো বড়ো বেলে ই’দুর। আমার প্রতিটি পদক্ষেপেই ‘গান’ তাদের বেড়ে উঠে একেবারে ঐকতান শুরু করল, শেষে গড়িয়ে-ওঠা একটা ই’দুরের তীক্ষা চিৎকারের পর হঠাৎ সব থেমে গেল, লেজ নেড়ে তারা উধাও হয়ে গেল তাদের বিবরে।

দিনে যে মরুভূমিকে মনে হয় ঢেউ-খেলা প্রাণহীন বালুর স্তর, সকালে সেখানে সাপ, গিরগিটি, কাছিম, কীট, জেরবোয়া, পাখি প্রভৃতি নানা প্রাণীর পদচিহ্নের আশ্চর্য নক্সা।

বেলে ই’দুরের শত্রু মেঠো বেড়ালের চিহ্নও দেখা গেল, আর নোনা সরোবরের তীরে, যেখানে সবুজ শস্য গজায়, সেখানকার বালিটা ছোটো ছোটো খরগোসের মতো দেখতে এক ধরনের প্রাণী তোলাইয়ের পায়ে পায়ে মাড়ানো।

সূর্য ওপরে উঠল, বালিতে তপ্ত বাতাসের ফোয়ারা ছুটল। দেখা দিল অদ্ভুত সব মরীচিকা। আতপ্ত হয়ে উঠল পুবের ঢালুর বালি, ঝড়ে মুছে গেল জন্তুদের রাখা সমস্ত চিহ্ন, যেভাবে ব্ল‍্যাকবোর্ড থেকে মুছে যায় খড়ির দাগ। গরম বালি থেকে আত্মরক্ষা করে জীবজন্তুরা খানিকটা ঠান্ডা স্তরে গিয়ে ঢোকে। হাওয়ার জোর কেবলি বাড়ে, উড়িয়ে নিয়ে যায় ঝোপঝাড়ের গোল গোল বীজ। বালির সঙ্গে মিশে তা সেই সঙ্গে নিয়ে আসে এ’টুলি, শুধু খরগোস, হরিণ, উটের নয়, মানুষেরও রক্ত খায় সে এ’টুলি। বীজ আর এ’টুলি সাধারণত আটকে থাকে ঘাসে, আর যেখানে ঘাস, সেখানেই জল। আর ঘাস আর জল যেখানে, জীবজন্তুও সেখানে বেশি। মরুভূমিতে এ’টুলিরা শুধু বাতাসেই বাহিত হয় না, নিজেরাই তারা বেশ তাড়াতাড়ি দৌড়য়, জীবজন্তুর চিহ্ন অনুসরণ করে তাদের পাকড়াও করে।

মাঝে মাঝে আমরা একদিন জিরবার জন্যে থামতাম। কতবার তখন দেখেছি, মরুভূমির ঝোপঝাড় থেকে বেরিয়ে পড়েছে কতগুলো এ’টুলি, ছুটে এসেছে আমার চিহ্ন ধরে। হাঁটার গতি কমিয়ে খানিকটা ঘন গাছপালার কাছ দিয়ে যাবার সময় কয়েক গণ্ডা করে অনুসরণকারী এ’টুলি দেখেছি আমি। রুমাল ছুড়ে দিলে তারা সঙ্গে সঙ্গেই তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ত, কিন্তু তক্ষুনি তা ছেড়ে দিয়ে ফের অনুসরণ চালাত।

এই পরজীবীগুলো যাতে পেছ পেছ ক্যাম্পে না আসে তার জন্যে আশেপাশে লাফ দিয়ে পদচিহ্ন গুলিয়ে দিতে হত। উট, জাইরান প্রভৃতি যেসব জন্তু মরুভূমির সাকসাউল, তামারিস্ক ইত্যাদি গাছ খেতে আসে, এ’টুলিগুলো তাদের পা বেয়ে উঠে রক্ত খেতে শুরু করে।

মরুভূমিতে স্বতঃই একটা প্রশ্ন জাগে: কাঁটাগাছ, কালিগনুম ঝাড়ের মতো ছোটো ছোটো উদ্ভিদগুলো জল পায় কোত্থেকে?

হাওয়ায় যেখানে মাটির কণা উড়ে গিয়ে গর্তের মতো হয়েছে, সেখানে ভাঙাচোরা মাটির গায়ে এমন সব শিকড় বেরিয়ে থাকে, যা মাটির ওপরকার ডালের চেয়ে বহুগুণ মোটা, যেন গাছের সত্যিকারের এক কান্ড রয়েছে মাটির নিচে, বহ ডজন মিটার গভীরে তা নামে। গভীর ভূস্তর থেকে এইসব শিকড় জল জোগায় মাটির ওপরকার শাখাগুলোয়।

দক্ষিণ-পূর্বের দিকে উড়ে চলা ছোটো ছোটো পাখির ঝাঁক দেখেও অবাক লেগেছিল আমাদের। তাদের মধ্যে ছিল কিঙ্গলেট, এমনকি সিনিচুকা পাখিও, যাদের ধরা হয় স্থিতু পাখি বলে। উল্টো দিক থেকে হাওয়া বইছিল, তাই মাটিতে নেমে ঝোপ থেকে ঝোপে উড়ে যেতে হচ্ছিল তাদের। খুবই কষ্টকর ওদের পরিযাণ! মরুভূমির সব ব্যাপারই অসাধারণ এবং অবিস্মরণীয়।

কিজিল-কুম দিয়ে তিন সপ্তাহের যাত্রায় পথের দূরুহতা, মরুভূমির উদ্ভিদ ও প্রাণীদের স্বকীয় ধরনের জীবনযাত্রার স্মৃতি যে ছাপ রেখে গেছে তা মুছবার নয়। কাজাখরা ছিল আমাদের কারাভানের উটগুলোর মালিক। আমাদের সঙ্গে তারা এই প্রথম এল রেলপথে, আগে এ সম্পর্কে তারা শুনেছিল কেবল লোকমুখেই। ধোঁয়া আর আগুন উদ্গীরণ করে, প্ল্যাটফর্ম কাঁপিয়ে যখন আমাদের সামনে দিয়ে সগর্জনে চলে গেল এক্সপ্রেস ইঞ্জিনটা, থামল রিজার্ভ করা সাঁটের গাড়িগুলো, তখন তারা দাঁড়িয়ে রইল একেবারে আড়ষ্ট হয়ে। ‘শয়তানের গাড়িটা’ সম্পর্কে তাদের ধারণা ছিল একেবারেই অন্য রকম। আমাদের মালপত্রগুলো ওয়াগনে ওঠাতে সাহায্য করে তারা। সেখানে লিফট্ বাঙ্ক, ছাইদানি, জানলার ওঠানো-নামানো কপাট দেখে তাজ্জব বনে যায়। শুধু দ্বিতীয় ঘণ্টির পরেই তারা বহু কষ্টে বিদায় নেয় এই অদৃষ্টপূর্ব অদ্ভুতের কাছ থেকে। আমার পথ তো তুলনায় সংক্ষিপ্ত কাজালিনস্ক মস্কো, কিন্তু ওদের সামনে এখন সীমাহীন বালি আর সাকসাউল ঝোপ আর প্রাচীন সমুদ্রের বিদঘুটে সব অবশেষ, রোদে ঝলমলে ঝিনুক-শাঁখ পেরিয়ে দীর্ঘ পাড়ি।

আর গিয়ে বহুদিন ধরে শোনাবে ‘শয়তানের গাড়ি’র গল্প। এই ছিল আগের অবস্থা!

তারপর থেকে কাটল প্রায় ৫০ বছর, কিন্তু কী বদলে গেছে সবকিছু! কিজিল- কুম মরুভূমি দিয়ে এখন নিয়মিত চলছে বাস; সেচ-ব্যবস্থায় ও ক্ষেতে যন্ত্র এখন স্বাভাবিক; কাজাখরা পড়ছে উচ্চ শিক্ষায়তনে, আছে তাদের নিজস্ব বিজ্ঞান আকাদমি; হাজারো বছর ধরে লোকে যেখানে ভুগেছে গোলামি আর নিঃস্বতায়, সোভিয়েত ব্যবস্থা মারফত আজ সেখানে সংস্কৃতির জয়যাত্রা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024