শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন

উচ্চ ব্যয়ের বেশির ভাগ প্রকল্পে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র হয়নি

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯.৩৩ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “থানা চালু হলেও কাজ শুরু হয়নি পুরোদমে”

রাস্তাঘাটে আগের মতো পুলিশের উপস্থিতি নেই। পুলিশের টহল–তল্লাশিও কম। থানায় গেলে মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা গেলেও বেশির ভাগ ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার হচ্ছে না। পুলিশকে কাজে ফেরানোর তেমন উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে না। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের প্রায় দেড় মাসেও থানাগুলোর কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অধীন থানা রয়েছে ৫০টি। ডিএমপি সূত্র জানায়, ৫ ও ৬ আগস্ট ২১টি থানাসহ পুলিশের ২১৬টি স্থাপনায় হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আগুনে পুড়ে যায় ১৩টি থানা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের বেশ কিছু টহল গাড়িও। থানা ভবনগুলোর মেরামতকাজ চলছে। ভাটারা, যাত্রাবাড়ী ও মিরপুর মডেল থানার ভবনগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনে বসে কাজ করার মতো অবস্থা নেই। এই তিন থানার কাজ চলছে অন্য জায়গায় অস্থায়ী কার্যালয়ে।

ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, অস্থায়ী কার্যালয়ে বসে মামলা ও জিডি নেওয়া যায়; কিন্তু গাড়ি না থাকলে পুলিশ টহল ও তল্লাশি জোরদার করবে কীভাবে। রাস্তায় পুলিশের উপস্থিতি যত দিন না বাড়বে, তত দিন পুলিশি ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে না।

কর্মকর্তাদের অভিযোগ, মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের সক্রিয় করার চেয়ে বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বদলি বা পদোন্নতি নিয়ে। তাই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগছে।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “কাস্টমসে হয়রানি প্রতিরোধে এনবিআরের নির্দেশনা”

সেবার মান উন্নয়ন ও হয়রানি প্রতিরোধে বিভিন্ন কাস্টমস হাউজ, ভ্যাট কমিশনারেট এবং অন্যান্য কাস্টমস ও ভ্যাট-সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ১৪টি নির্দেশনা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বিনিয়োগ ও সেবাবান্ধব ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ তৈরি মাধ্যমে শৃঙ্খলাপূর্ণ, পেশাদারি ও সংস্কারমূলক কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই নির্দেশনাগুলো অনুসরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো-কমিশনার বা মহাপরিচালক তথা দপ্তর প্রধান কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নির্ধারিত সময়ে অফিসে আগমন ও উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন। পাশাপাশি, বিনা অনুমতিতে কেউ যেন কর্মস্থল ত্যাগ না করে সেটিও নিশ্চিত করবেন। দপ্তরের সব সেবার তালিকা (প্রযোজ্য আইন, বিধিমালা, এসআরও, প্রজ্ঞাপন, স্থায়ী আদেশ, বিশেষ আদেশ, অফিস আদেশ, প্রভৃতি হতে উদ্ভুত সিটিজেনস চার্টারে অন্তর্ভুক্ত করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিজ নিজ ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে হবে।

সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দপ্তরসমূহে ডি-নথি প্রবর্তন করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অবহিত করতে হবে। কাস্টমস অটোমেটেড সিস্টেম (অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড) এবং ভ্যাট অনলাইন সিস্টেম (আইভাস)-এর আওতার বাইরে যেসব সেবা ম্যানুয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদে ইনোভেশন কার্যক্রম অটোমেশনের মাধ্যমে প্রদান করা সম্ভব তার একটি তালিকা ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এনবিআরে প্রেরণ করতে হবে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”উচ্চ ব্যয়ের বেশির ভাগ প্রকল্পে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র হয়নি”

রাজধানীর দ্বিতীয় দ্রুতগতির উড়াল সড়ক ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। চীনের ঋণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জিটুজি পদ্ধতিতে। অন্যান্য জিটুজি প্রকল্পের মতো এটিতেও ঠিকাদার নিয়োগে কোনো দরপত্র প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। চীন ও বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সমঝোতার ভিত্তিতে ঠিকাদার হিসেবে চীনের ন্যাশনাল মেশিনারি করপোরেশনকে (সিএমসি) নিযুক্ত করেছে।

জিটুজি পদ্ধতিতে এভাবে ঠিকাদার নিয়োগ না করে তা প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ব্যয় অনেকটাই কমে যেত বলে মনে করছেন যোগাযোগ অবকাঠামো বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, পিপিপি (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব) পদ্ধতিতে সমজাতীয় ও প্রায় সমান দৈর্ঘ্যের ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। অথচ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে অর্থ ব্যয় হচ্ছে এর প্রায় দ্বিগুণ।

শুধু উচ্চ ব্যয় নয়, কাজ পাইয়ে দেয়ার নামে বড় অংকের কমিশনের কারণেও আলোচনায় এসেছে আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। প্রকল্পটি পরিকল্পনাধীন অবস্থায়ই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি বাংলাদেশের এপিক সলিউশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। চুক্তিতে বলা হয়েছিল, এপিক সলিউশন কাজটি পাইয়ে দিতে সিএমসিকে সহযোগিতা করবে। বিনিময়ে কাজের চুক্তি মূল্যের ৬ শতাংশ কমিশন পাবে এপিক সলিউশন, যা প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার সমপরিমাণ। সম্প্রতি চুক্তির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে প্রতিষ্ঠান দুটি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। জিটুজি পদ্ধতির এ ধরনের চুক্তিকে ‘‌অনৈতিক’ ও ‘‌নজিরবিহীন’ বলে অভিহিত করছেন অবকাঠামো বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম”খাদ্য সরবরাহে অস্থিরতা তৈরির পাঁয়তারা”

খাদ্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে একটি পক্ষ। খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা অস্থিতিশীল করার পেছনে খোদ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা ও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর যোগসাজশ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। গত ৫ই  আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর খাদ্য সরবরাহ নিয়ে ঘন ঘন সার্কুলার জারি ও পরিবর্তন করা হচ্ছে। এতে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত ২৪শে আগস্ট খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সরবরাহ-১ শাখার উপসচিব কুল প্রদীপ চাকমা স্বাক্ষরিত সার্কুলারে বলা হয়, বিভিন্ন কর্মসূচি কাবিখা, ভিডব্লিউবি, ভিজিএফ, ওএমএস, খাদ্যবান্ধব, টিআর, জিআরসহ অন্যান্য রেশনিং খাতে বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য খাদ্য মন্ত্রণালয় তথা খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন গুদাম হতে বিতরণ করা হয়। বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য গুদাম হতে উত্তোলন/বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা/জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে বিতরণ আদেশ (ডিও) জারি করা হয়। খাদ্যশস্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বিতরণ আদেশ (ডিও) জারি করার তারিখেই অর্থাৎ একই কর্মদিবসের মধ্যে গুদাম হতে খাদ্যশস্য বিতরণ/উত্তোলন করা আবশ্যক।
ওই সার্কুলারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা বলা হয়। যেমন: খাদ্যশস্যের বিতরণ আদেশ (ডিও) জারি করার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুদাম হতে খাদ্যশস্য বিতরণ/উত্তোলন করতে হবে; বিতরণ আদেশাধীন খাদ্যশস্য কোনোভাবেই গুদামে মজুত রাখা যাবে না; বিতরণ আদেশাধীন খাদ্যশস্য কোনো গুদামে মজুত পাওয়া গেলে অনিয়মের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আবার গত ৯ই সেপ্টেম্বর স্মারক নং ১৭২ মোতাবেক বলা হয়, খাদ্যশস্যের বিতরণ আদেশ (ডিও) জারি করার পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গুদাম হতে খাদ্যশস্য বিতরণ/উত্তোলন করতে হবে। একইসঙ্গে গত ২৪শে আগস্টের পত্রটি বাতিল করা হলো।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024