শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

বাংলার শাক ( পর্ব-২)

  • Update Time : বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৪.৫৭ পিএম

কলমী শাক
Ipomoea aquatica (Convolvulaceae)

কলমী শাক সবসময় পাওয়া যায়। নিজে থেকে জলা জমিতে ও সিঞ্চিত জমিতে জন্মায়। লতানে গাছ। আজকাল একটি প্রজাতির চাষও করা হয়, সেক্ষেত্রে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বীজ লাগাতে হবে। লতার টুকরো কেটে বর্ষাকালে লাগানো যায়। বর্ষার শেষে বীজ সংগ্রহ করতে হয়।বাংলাদেশের মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলায় চাষ হচ্ছে কলমিশাক। আগে খাল-বিল, পুকুরসহ বিভিন্ন জলাশয়ে অযত্নে আর অবহেলায় কলমিশাক জন্মাত।

কলমী শাক ভেজে ও ঝোল করে খাওয়া যায়। এই শাকের ঝোল প্রসূতি মায়েদের স্তনে দুধ বাড়াতে পারে। হিষ্টিরিয়া ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত রোগীদের এর রস ৪ চামচ করে দিনে ২/৩ বার পান করালে উপকার পাওয়া যাবে। বসন্ত রোগের প্রথমেই এর রস পান করলে বসন্তের গুটিগুলি বের করে দেয় এবং এই রোগের বিষ নষ্ট করে দেয় ফলে প্রাণহানির ভয় কেটে যায়।

ফোঁড়া পাকাতে কলমী পাতার রস পান করতে হয়। ফোঁড়া পাকার পর এই শাক খাওয়া বারণ, কারণ এতে পুঁজ বেড়ে যায়। স্ত্রীলোকের সাধারণ শারীরিক দূর্বলতায় বিশেষ উপকারি। আফিং ও আর্সেনিক বিষের প্রতিষেধক। আষাঢ় থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত জলা জমির কলমী শাকে নানা রোগ হয় সেজন্য ঐসময় খাওয়া নিষেধ। এই শাক সবসময় টাটকা তুলে খাওয়া উচিত।

(চলবে)

বাংলার শাক ( পর্ব-১)

বাংলার শাক ( পর্ব-১)

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024