শশাঙ্ক মণ্ডল প্রথম অধ্যায় ভাটিদেশের সুন্দরবন নামে পরিচিত হবার পিছনের কারণ নানাভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা হয়েছে। অনেকে সুন্দরবন নামটির উৎপত্তির কারণ হিসাবে সুন্দরবনের সুন্দরী গাছের কথা উল্লেখ করেছেন। সুন্দরবনের জঙ্গলে
শশাঙ্ক মণ্ডল প্রথম অধ্যায় মোগলদের কাছে দক্ষিণ বাংলার এই অঞ্চল বুল্ল্গাখানা বিদ্রোহীদের আস্তানা। পরিপূর্ণ রূপে সমগ্র এলাকা কখনই মোগল অধিকারে আসেনি। আইন-ই-আকবরীতে উল্লেখ করা হয়েছে- Easan Afgan carried his conquests
শ্রী নিখিলনাথ রায় ইহার উপর আবার তাঁহাকে ঐতিহাসিকগণের চিত্রে কালিমামণ্ডিত হইতে হইয়াছে। খোশ বাগের সমাধিগৃহে আলিবন্দীর পার্শ্বে এক্ষণে সিরাজ চিরবিশ্রাম লাভ করিতে। ছেন। মুতাক্ষরীনকার বলেন যে, সিরাজের হত্যাসম্বন্ধে মীরজাফর কিছুই
রেহান ফজল সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার এবং জুতোর মালা পরিয়ে দেওয়ার দৃশ্য দেখেছে গোটা বিশ্ব। তবে বাংলাদেশে যে চিত্র দেখা গিয়েছে তা বিরল নয়। এর
শশাঙ্ক মণ্ডল প্রথম অধ্যায় রাষ্ট্রীয় ব্যবচ্ছেদে সুন্দরবনের এলাকা খর্বীকৃত হয়ে আজকের সীমা এসে দাঁড়িয়েছে ১৫টি থানা নিয়ে উত্তর দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মন্ডহারবার, আলিপুর ও বসিরহাট মহকুমার দক্ষিণের ২৫ লক্ষ মানুষের
শ্রী নিখিলনাথ রায় মুতাক্ষরীনকার প্রকারান্তরে এই ঘটনাটিকে ঈশ্বরকৃত বলিয়া, হোসেন, কুলী খাঁর মহত্ব ও সিরাজের নিষ্ঠুরতা প্রতিপাদনের প্রয়াস পাইয়াছেন। এরূপ ঘটনার ভিত্তি জনপ্রবাদ ব্যতীত আর কিছুই নহে। বাস্তবিক এরূপ ঘটনা
শ্রী নিখিলনাথ রায় এইরূপে কৃতঘ্ন চক্রান্তকারিগণের ষড়যন্ত্রে, বঙ্গের শেষ স্বাধীন নবাব হতভাগ্য সিরাজের জীবনলীলার অবসান হইল। এ স্থানে আমরা একটি কথা বলিয়া রাখি। সিরাজ মৃত্যুকালে হোসেন কুলী খাঁর মৃত্যুকে একটি
শ্রী নিখিলনাথ রায় আমরা মুতাক্ষরীন হইতে তাহার সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান- করিতেছি। মুতাক্ষরীনকার বলেন যে, যৎকালে সিরাজউদ্দৌলা মুর্শিদাবাদে আনীত হন, তৎকালে মীরজাফর সিদ্ধিপানে বিভোর হইয়া মধ্যাহ্ন-নিদ্রায় অভিভূত ছিলেন। তাঁহার পুত্র মীরণ
শ্রী নিখিলনাথ রায় ক্রমে ক্রমে মৃত্যুর করাল ছায়া আলিবদ্দীকে অভিভূত করিয়া ফেলিল। তিনি ১১৬৯ হিজরীর ৯ই রজব তারিখে (১৭৫৬ খৃঃ অব্দের ৯ই এপ্রেল) চিরদিনের জন্য চক্ষু মুদিত করিলেন। বাঙ্গলার আদর্শ
শ্রী নিখিলনাথ রায় হিজরী ১১৬৯ অব্দের জমাদিয়ল আউয়ল মাসের ৯ই হইতে তিনি শোথরোগে আক্রান্ত হইয়া পড়িলেন। নবাব প্রথমতঃ জলপান পরিত্যাগ করিয়াছিলেন; কিন্তু যখন বুঝিতে পারিলেন যে, তাঁহার ন্যায় বৃদ্ধ বয়সে