পিটার শ্রোডার

২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি, তাঁর উদ্বোধনের পরের দিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ভার্জিনিয়ার ল্যাংলি অবস্থিত সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি সদর দফতরে গিয়েছিলেন। এটি তাঁর রাষ্ট্রপতির এক প্রথম অফিসিয়াল পদক্ষেপ ছিল এবং গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের একটি সুযোগ ছিল। মাত্র দশ দিন আগে, তিনি গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে এমন একটি রিপোর্ট ফাঁস করতে সহায়তার অভিযোগ করেছিলেন, যা দাবি করেছিল যে রাশিয়ান অপারেটিভরা তাঁর ব্যক্তিগত এবং আর্থিক তথ্য ধারণ করেছিল।

কিন্তু ট্রাম্প দ্রুত পথভ্রষ্ট হয়েছিলেন, যা তাঁর প্রথম মেয়াদের বাকি সময়ের জন্য গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের সাথে তাঁর সম্পর্কের সুর নির্ধারণ করে। সিআইএ মেমোরিয়াল ওয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে—এজেন্সির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং গম্ভীর স্থানে—ট্রাম্প এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন যা একটি প্রচারণা অনুষ্ঠানের মত লাগত, এক এলোমেলো বিষ থেকে অন্য বিষয়ে কথা বলেন, যার মধ্যে তাঁর উদ্বোধনে কত বড় জনসমাগম ছিল তা উল্লেখ করেছিলেন। ট্রাম্পের মাধ্যমে মিডিয়ার প্রতি অভিযোগ এবং সেবা কালীন মৃত্যুবরণকারী এজেন্সির কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী তারকাগুলির সারির মধ্যে এই সমান্তরাল দেখার পর অনেক কর্মকর্তারা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। এটি একটি নিজের গোল ছিল যা পরবর্তী চার বছরের জন্য সন্দেহ এবং অবিশ্বাস জন্ম দেয়।

যখন ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, গোয়েন্দা সম্প্রদায় আবারও অস্বস্তিতে থাকতে পারে। একটি আরও সংগঠিত এবং স্থিতিশীল ব্যবস্থাপনা দলের সাথে, নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য গোয়েন্দা সম্প্রদায়কে কাজে লাগানোর লক্ষ্য রাখতে পারেন। কিন্তু সিআইএ পরিচালক, জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক এবং ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) পরিচালকের জন্য তাঁর মনোনয়নগুলি ইঙ্গিত দেয় যে তিনি দক্ষতার চেয়ে আনুগত্যকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। রাজনৈতিক ক্ষোভ দ্বারা প্ররোচিত, ট্রাম্প এমন একটি “ডিপ স্টেট” এর উপর একটি পূর্ণ আক্রমণ চালাতে পারেন: দেখাশোনা করা একটি গোপন গোষ্ঠী যা ট্রাম্পের এজেন্ডাকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকারী কর্মচারীদের সহযোগিতা করছে, যার মধ্যে অবৈধভাবে আমেরিকানদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করা এবং মিডিয়ায় তথ্য ফাঁস করা অন্তর্ভুক্ত।

এজেন্সির কর্মকর্তাদের ট্রাম্পের শপথে আবদ্ধ না থাকার চেষ্টা করা উচিত। ইতিহাস দেখায় যে, যদিও গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের প্রেসিডেন্টের সাথে প্রায়ই কঠিন সম্পর্ক থাকলেও তারা প্রায়ই সফল হতে পেরেছে। এবং ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের চটকলে থাকা সত্ত্বেও, তিনি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সাফল্যগুলির তত্ত্বাবধান করেছিলেন, যেমন ইসলামিক স্টেট নেতা এবং প্রতিষ্ঠাতা আবু বকর আল-বাগদাদি হত্যাকাণ্ড।

কিন্তু গোয়েন্দা সম্প্রদায় আগামী প্রশাসনে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে তাদের কর্মী এবং সংস্থাগুলির প্রতি, তথ্য সংগ্রহ এবং ব্যবহারের প্রতি, কর্তৃত্ব এবং মিশনের প্রতি, এবং বিদেশী অংশীদারিত্বের প্রতি। এটি স্বল্পমেয়াদী সঙ্কটগুলি নেভিগেট করতে হবে এবং সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠান এবং ক্ষমতাগুলির উপর দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি এড়াতে হবে। গোয়েন্দা সম্প্রদায় এটি করতে পারে, বড় অংশে, তাদের মূল উদ্দেশ্যের উপর মনোনিবেশ করে: এমন তথ্য উদঘাটন করা যা দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং প্রমাণ করে যে তারা অপরিহার্য। কিন্তু এটিকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে যাতে ট্রাম্পের সাথে উত্তেজনা ক্ষুদ্র বুরোক্রেটিক লড়াই হিসাবে থাকে, না যে কোনো বাধা ছাড়াই আমেরিকান জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ণ করে এমন মারাত্মক সংঘর্ষে পরিণত হয়।

দ্যা সওয়াম্প শুকানোর

ট্রাম্পের গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের প্রতি হুমকি শুরু হয় এর সবচেয়ে মৌলিক সম্পদ: মানুষ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ব্যক্তির জাতীয় নিরাপত্তা বুরোক্রেসিগুলির প্রভাব কমানোর এবং ফেডারেল সরকারকে ছোট করার ইচ্ছা গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের মানব সম্পদ এবং, অতএব, এর সামগ্রিক কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। এলন মাস্ক এবং বিবেক রামাসওয়ামী, ট্রাম্পের নির্বাচনকৃত যারা একটি নতুন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি নেতৃত্ব দেবে, তারা ফেডারেল কর্মী শক্তি বড় মাপের হ্রাসের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন যা অবশ্যম্ভাবীভাবে গোয়েন্দা কর্মীদের প্রভাবিত করবে। ট্রাম্প নিজে জাতীয় নিরাপত্তায় “দুর্নীতিগ্রস্ত অভিনেতাদের” বরখাস্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এখনো পরিষ্কার নয় যে ফেডারেল কর্মী শক্তির হ্রাস গোয়েন্দা সম্প্রদায়ে কীভাবে এবং কতটুকু প্রয়োগ করা হবে। কিন্তু যদি ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস খুব গভীরভাবে কাটা দেয়, অথবা সমালোচনামূলক ক্ষেত্রগুলিতে কাটা করে, এটি গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের ক্ষমতাগুলি ক্ষুণ্ণ করবে। উদাহরণস্বরূপ, কর্মী হ্রাস গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের দক্ষতা সেটগুলিকে দুর্বল করতে পারে যা চীন-এর মত ভবিষ্যতের হুমকির মোকাবেলা করার জন্য বা উন্নত প্রযুক্তির মত খাতে বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। এমনকি তিনি কোনো কাটছাঁট না করলেও, ট্রাম্পের শত্রুতাপূর্ণ ভাষণ গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। তাঁর প্রথম মেয়াদের মতো, প্রতিভাবান এবং সক্ষম মধ্যস্তরীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা ট্রাম্পের জন্য কাজ না করার পরিবর্তে চলে যেতে পারেন, যা শুধুমাত্র নাগরিক কর্মচারীদের উপর বিস্তৃত চাপ দ্বারা আরো বাড়বে।

গোয়েন্দা কাজে কর্মীদের প্রতিস্থাপন কঠিন, কারণ এর কাজের অনন্য প্রকৃতি, বিশেষীকৃত ট্রেডক্রাফ্ট, জ্ঞান এবং দক্ষতার কারণে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৭৭ সালের অক্টোবর মাসে, সিআইএর তখনকার পরিচালক স্ট্যানসফিল্ড টার্নার হঠাৎ করে প্রায় ৮০০টি অপারেশন অফিসারকে বরখাস্ত করেছিলেন, যা এজেন্সির মনোবল কমিয়ে দিয়েছিল এবং মানব গোয়েন্দা কার্যক্রমকে বছরের পর বছর পিছিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর, গোয়েন্দা কর্মীরা ২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিলেন, সিআইএ বাজেট ১৮ শতাংশ কমে গিয়েছিল এবং এজেন্সি বিশ্লেষক, অপারেশন অফিসার এবং প্রযুক্তিবিদদের জন্য নিয়োগ স্থগিত করে দিয়েছিল। এই কাটছাঁটের প্রভাব ১৯৯০ এর শেষ এবং ২০০০ এর দশকে পৌঁছেছিল, যা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের বেড়ে ওঠা হুমকির মোকাবেলায় গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের ক্ষমতাকে ক্ষুণ্ণ করেছিল। আজ, হারানো কর্মীদের প্রতিস্থাপন করা হয়তো আরও কঠিন হতে পারে। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে, সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস উল্লেখ করেছিলেন যে, সিআইএ নতুন কর্মকর্তাদের প্রক্রিয়া এবং অনবোর্ডিং করতে গড়ে ৬০০ দিনেরও বেশি সময় নেয়। ট্রাম্প যোগ্য প্রার্থীদের আবেদন করতে শুরুতেই বিরত করতে পারেন। অবশেষে, খুব কম মানুষ এমন একজন রাষ্ট্রপতির জন্য কাজ করতে খুশি হবে যিনি তাদের কাজকে দানবীকরণ করেন।

যদিও ট্রাম্প গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের আকার কমান না, তাঁর সংস্কারগুলি এর মানব সম্পদকে খারাপ করতে পারে। প্রজেক্ট ২০২৫, হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের রাষ্ট্রপতি ট্রানজিশনের ব্লুপ্রিন্ট, যুক্তি দিয়েছে যে ট্রাম্প তাঁর সিআইএ পরিচালককে নির্দেশ করা উচিত মিশন সেন্টার এবং ডিরেক্টরেটের প্রধানদের প্রতিস্থাপন করতে—সেসব সংস্থা যা বিভিন্ন এলাকায় এজেন্সির কাজের তদারকি করে—যাতে সিআইএর কার্যক্রম ট্রাম্পের এজেন্ডার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়। যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, অনেক প্রতিভাবান ম্যানেজারকে প্রতিস্থাপিত করা হবে এমন অফিসারদের সাথে যারা পরিচালক দ্বারা আরও আনুগত্যপূর্ণ বা পার্টিজান হিসাবে দেখা হয়। প্রজেক্ট ২০২৫ এছাড়াও এজেন্সির কিছু অংশ স্থায়ীভাবে ওয়াশিংটন, ডিসি অঞ্চলের বাইরে স্থানান্তর করার পরামর্শ দিয়েছে যাতে সিআইএর প্রভাব কমে—একটি পদক্ষেপ যা, আবারও, প্রতিভাবান মানুষকে বের করে দিতে পারে এবং গোয়েন্দা ও নীতির মধ্যে সহাবস্থাপনাকে বিঘ্নিত করতে পারে। আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউট, একটি চিন্তাশীল দল যা ২০২০ সালে প্রাক্তন ট্রাম্প কর্মকর্তা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এমন আচরণের নিয়ম প্রস্তাব করেছে যা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করবে না “তাদের জাতীয় নিরাপত্তা পরিচয়পত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের জন্য অপব্যবহার করতে,” এমনকি সরকারী সেবামূলক ছাড়ার পরও। এই অস্পষ্ট এবং খোলা শেষ মানদণ্ডগুলি সম্ভবত গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের কর্মীদের মধ্যে অপারেশন এবং বিশ্লেষণে ঝুঁকি এড়ানোর প্রবণতা বাড়াবে।

নিম্নতম ক্ষেত্রে, প্রশাসনের প্রচেষ্টা সম্ভবত এমন একটি গতি সৃষ্টি করবে যা গোয়েন্দা সম্প্রদায়কে তার প্রধান মিশন থেকে বিভ্রান্ত করবে। এমনকি সম্ভাব্যভাবে উপকারী সংস্কারগুলি, যেমন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালককে সম্প্রদায়ের বাজেটের উপর বৃহত্তর কর্তৃত্ব দেওয়া, গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের ১৮টি এজেন্সির মধ্যে এলাকা লড়াই সৃষ্টি করবে। তাদের সম্পদ এবং বাজেট রক্ষা করার উপর মনোনিবেশিত নেতা—এবং তাদের নিজস্ব কাজও—কার্যকরভাবে একসাথে কাজ করার সম্ভাবনা কম।

প্রবাহ ঠান্ডা করা

তাঁর প্রথম মেয়াদে, ট্রাম্প গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের আউটপুটের প্রতি অগ্রাহ্যতা প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি একটি শ্রেণিবদ্ধ স্যাটেলাইট ছবি টুইটারে পোস্ট করেছিলেন। তিনি প্রকাশ্যে এজেন্সি প্রধানদের “স্কুলে ফিরে যাও” বলেছিলেন যখন তিনি ইরানের প্রতি তাদের বার্ষিক হুমকি শপথ সম্পর্কে কংগ্রেসের সামনে মত পার্থক্য করতেন। তাঁর প্রশাসনের শেষ দিনগুলিতে, তিনি মার-আ-লাগোতে অত্যন্ত শ্রেণিবদ্ধ গোয়েন্দা নথি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

এই প্রবণতাগুলি গোয়েন্দা পেশাজীবীদের উদ্বেগিত করেছিল। এবং, দুর্ভাগ্যবশত, এরা খুব সম্ভবত ফিরে আসবে। ট্রাম্পের প্রধান এজেন্সি মনোনয়নগুলি, উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রদায়ের আউটপুটের প্রতি তাঁর অগ্রাহ্যতা শেয়ার করে এবং রাজনৈতিক আনুগত্যকে মূল্য দেয়। জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক মনোনীত তুলসি গ্যাবার্ড যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা ফলাফলগুলির দীর্ঘমেয়াদী সমালোচক। এফবিআই পরিচালক মনোনীত কাশ প্যাটেল “ডিপ স্টেট” শত্রুদের একটি তালিকা তৈরি করেছেন যা নির্মূল করতে চান। এমনকি সিআইএ পরিচালক মনোনীত জন র্যাটক্লিফ, তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে কম বিতর্কিত, পার্টিজান ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে। র্যাটক্লিফ ট্রাম্পের প্রাক্তন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক, এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে, গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের বিশ্লেষক ওম্বুডসম্যান রিপোর্ট করেছিলেন যে ট্রাম্প দ্বারা নিয়োগকৃত গোয়েন্দা কর্মকর্তারা, যার মধ্যে র্যাটক্লিফও অন্তর্ভুক্ত, ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে চীন এবং রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সম্পর্কে বিশ্লেষণকে রাজনৈতিককৃত করেছেন। এই সপ্তাহে, হাউস স্পিকার মাইক জনসন রিপাবলিকান প্রতিনিধি মাইক টার্নারকে হাউস পার্মানেন্ট সিলেক্ট কমিটি অন ইন্টেলিজেন্সের চেয়ার হিসেবে প্রতিস্থাপন করেছেন কারণ, টার্নারের মতে, “মার-আ-লাগো থেকে উদ্বেগ ছিল।” টার্নার ২০২০ সালে বাইডেনের নির্বাচনকে র‍্যাটিফাই করার জন্য ভোট দিয়েছিলেন এবং ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের পক্ষে সমর্থক ছিলেন। ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের একজন সদস্য, রবার্ট গ্রিনওয়ে, যুক্তি দিয়েছেন যে রাষ্ট্রপতির বর্তমান দৈনিক গোয়েন্দা ব্রিফিং, যেখানে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সরাসরি রাষ্ট্রপতির কাছে সমন্বিত মূল্যায়ন প্রদান করে, নিম্ন-স্তরের হোয়াইট হাউস রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্তদের মাধ্যমে একটি সিস্টেম দ্বারা প্রতিস্থাপন করা উচিত। এমন একটি সিস্টেম ট্রাম্পকে কেবল যা শুনতে চান তা শোনার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে, যা তিনি শুনতে প্রয়োজন তার পরিবর্তে।

যদি ট্রাম্প এবং তাঁর দল এমনভাবে আচরণ করেন, তাদের গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের প্রতি মনোভাব সম্ভবত তথ্য ভাগাভাগি দুর্বল করবে, এজেন্সিগুলি পদার্থের প্রবাহ সীমিত করবে ভয়ে যে এটি অপব্যবহার হতে পারে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মানব এজেন্টের জীবনের পাশাপাশি মহংগা, প্রতিস্থাপনীয় সংগ্রহ প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য দায়িত্বশীল, এবং তারা হয়তো চিন্তা করবেন যে তাদের এজেন্সিগুলির তথ্যের সুরক্ষার ক্ষয় তাদের জীবন এবং সম্পদকে ঝুঁকিতে ফেলবে। এটি প্রধান জাতীয় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলির উপর সংযোগ স্থাপন কঠিন করে দেবে। ফলস্বরূপ পরিণতিগুলি বিপজ্জনক হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ৯/১১ কমিশনের রিপোর্ট, যা ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয়, দেখিয়েছে যে তথ্য ভাগাভাগির ব্যর্থতা (বিশেষ করে সিআইএ এবং এফবিআইয়ের মধ্যে) গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের হামলা উন্মোচন এবং প্রতিরোধে ব্যর্থতার একটি প্রধান কারণ ছিল।

রাজনৈতিককরণের ধারণা নিজেই আত্ম-সেন্সরশনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। কর্মকর্তােরা এমন তথ্য এগিয়ে নিয়ে যেতে দ্বিধাগ্রস্ত হতে পারেন যা রাষ্ট্রপতির এজেন্ডার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিকল্পভাবে, তারা তাদের মূল বিশ্লেষণে আরো অধিকভাবে জড়িয়ে পড়তে পারেন, যেকোনো অন্যান্য মূল্যায়নকে প্রশাসনের রাজনৈতিক স্বার্থকে সেবা করার জন্য উদ্দিষ্ট হিসাবে বিবেচনা করতে পারেন, উপলব্ধ তথ্যের উপর ভিত্তি করে একবস্তুউপাদান হিসাবে নয়। এই গতিশীলতা ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে চীনের হস্তক্ষেপের বিশ্লেষণে উপস্থিত ছিল, গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের বিশ্লেষক ওম্বুডসম্যানের ২০২১ সালের জানুয়ারি রিপোর্ট অনুযায়ী। ওম্বুডসম্যানের মতে, সিআইএ ম্যানেজাররা তাদের মতামনে এতটাই মগ্ন ছিলেন যে চীন ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে অবমাননা করার চেষ্টা করেনি এবং বিকল্প মূল্যায়নগুলি দমন করার চেষ্টা করেছিলেন। স্বার্থের সংঘর্ষের ধারণার মতো, রাজনৈতিককৃত গোয়েন্দার ধারণা বিশ্লেষণ প্রক্রিয়াকে বিকৃত করতে পারে, কঠিন সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় বিতর্ককে ক্ষুণ্ণ করে।

সীমারেখা ঠেলেড়ে

গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের রাজনৈতিককরণ শুধুমাত্র কর্মী হারানো এবং আন্তঃসংঘাতমূলক লড়াই সৃষ্টি করার চেয়ে আরও ঝুঁকি বহন করে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সম্ভবত দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকবেন যে ট্রাম্পের নীতিগুলি তাদের এজেন্সিগুলির ভূমিকা এবং কর্তৃত্বগুলির উপর কী প্রভাব ফেলবে, যা সাবধানতা এবং দ্বিধা সৃষ্টি করবে যা অপারেশনাল কার্যকারিতাকে ক্ষুণ্ণ করবে। সিআইএ, বিশেষ করে, হোয়াইট হাউস দ্বারা পরিচালিত অপারেশনের দীর্ঘ স্মৃতি রয়েছে যা শেষ পর্যন্ত এজেন্সির উপর ফিরে আসেছিল, যেমন ১৯৮০ এর দশকে ইরান-কনট্রা স্ক্যান্ডাল এবং “টেররের বিরুদ্ধে যুদ্ধে” যন্ত্রণার ব্যবহার। উভয়ই বছরের তদন্তের কারণ হয়েছিল এবং প্রকাশ্যে এজেন্সির সুনাম ক্ষুণ্ণ করে। ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য নীতিগুলি অনুসরণের ট্রাম্পের রেকর্ড দেওয়া হয়েছে—তাঁর প্রথম ইমপিচমেন্ট ঘটে যখন তিনি ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভোলডিমির জেলেনস্কিকে জো এবং হান্টার বাইডেনকে তদন্ত করতে বলেছিলেন—গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিশেষত উদ্বিগ্ন হবেন যে রাজনৈতিক প্রেরণা বা অতিরিক্ত ক্ষমতার কারণে তাদের অপারেশনগুলিতে তাঁর জড়িত থাকা বা নির্দেশনা তাদের কংগ্রেসের সামনে নিয়ে আসতে পারে। এমন দ্বিধা ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে বিদ্যমান ছিল। ওয়ায়ার অনুযায়ী, ট্রাম্প সিআইএকে ভেনেজুয়েলার গোয়েন্দা নরকাদের উপর অভ্যুত্থান করতে এনলিস্ট করার চেষ্টা করেছিলেন, শুধুমাত্র এমন একটি সমর্থনের মুখোমুখি হয়ে যা প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তিত বুরোক্রেটদের কাছ থেকে উষ্ণ সমর্থন এবং উদাসীন বাস্তবায়ন ছিল।

ট্রাম্পের অপ্রচলিত বৈদেশিক নীতি মতামত এবং মিত্রদের বিরোধিতার ইচ্ছা বিদেশী অংশীদারদের সাথে গোয়েন্দা শেয়ারিংয়ে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। প্রজেক্ট ২০২৫ সুপারিশ করেছে যে হোয়াইট হাউস বিদেশী গোয়েন্দা অংশীদারিত্বগুলির উপর আরও নিয়ন্ত্রণ এবং তদারকি করার চেষ্টা করবে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রণে রেখে না। গ্যাবার্ডের মনোনয়ন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, কারণ তাঁর তুলনামূলকভাবে রাশিয়া এবং প্রাক্তন সিরিয়ান রাষ্ট্রপতি বশর আল-আসাদ (যাকে তিনি ২০১৭ সালে দেখা করেছিলেন) প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, কয়েকজন বিদেশী কর্মকর্তারা পলিটিকোকে জানিয়েছেন যে ট্রাম্পের উপদেষ্টা দল তাঁদেরকে জানিয়েছে যে একসময় এবং ভবিষ্যতের রাষ্ট্রপতি ন্যাটো অংশীদারদের সাথে গোয়েন্দা শেয়ারিং কমানোর কথা ভাবছেন যা এলায়েন্সকে সমর্থন কমানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। মে ২০১৭ সালে, নিউ ইয়র্ক টাইমস রিপোর্ট করেছে যে ট্রাম্প এমনকি ইসরায়েল-উৎপন্ন গোয়েন্দা তথ্য রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে ওভাল অফিস মিটিংয়ে পাস করেছিলেন।

স্বাস্থ্যকর গোয়েন্দা অংশীদারিত্ব গোয়েন্দা সম্প্রদায়কে উপকৃত করে। বিদেশী সরকারগুলি তথ্য এবং অন্তর্দৃষ্টি সংগ্রহ করে এবং এগুলি পরবর্তী করতে দেয় যা যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সিগুলি সংগ্রহ করার জন্য প্রবেশাধিকার বা সম্পদের অভাব রয়েছে। কিন্তু যদি অংশীদাররা চিন্তা করেন যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বা জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক যা শেয়ার করেন তা রক্ষা করবেন না, অথবা যে এটি ক্ষতিকারক নীতিগুলির সমর্থনে ব্যবহৃত হবে, তারা বন্ধ করতে পারেন। যদি তাই হয়, শুধুমাত্র গোয়েন্দা সম্প্রদায়ই নয়, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। টানাপোড়েনযুক্ত গোয়েন্দা অংশীদারিত্ব এবং কমানো তথ্য শেয়ারিং প্রশাসনকে পুরোপুরি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা নীতিনির্ধারণ সরঞ্জাম হিসাবে ব্যবহার করা কঠিন করে দেবে, যেমন মিত্র সরকারগুলিকে উদ্যোগগুলির সমর্থনে প্রদান করা। ওয়াশিংটন, উদাহরণস্বরূপ, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির আগে দীর্ঘ সময় ধরে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসনের সতর্কতা দিয়েছিল, শক্তিশালী আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার জন্য গতি তৈরি করতে সহায়তা করেছিল।

শান্তি স্থাপন

অনেক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিঃসন্দেহে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ প্রত্যাশা করছেন উদ্বেগ সহ, তাঁর প্রথম চার বছরের শুরু এবং শেষ—তাঁর উদ্বোধনী সিআইএ সফর এবং ক্যাপিটোল বিদ্রোহ স্মরণ করে। কিন্তু গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক মতামত রয়েছে, এবং তাঁদের কাজের ক্ষেত্রে, বেশিরভাগই নিরপেক্ষ। বরং, তারা তাদের মিশনের উপর মনোনিবেশ করতে চায়: আমেরিকান জনগণের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

যদি ট্রাম্প চান, তিনি সেই ফোকাস এবং শক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রকে অভ্যন্তরীণ এবং বহিঃস্থভাবে সুরক্ষিত করতে ব্যবহার করতে পারেন। এবং একটি কম বিশৃঙ্খল ট্রানজিশনের সাথে, এবং আরও অভিজ্ঞতার সাথে, ট্রাম্প এইবার গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করতে তাঁর প্রথম মেয়াদের তুলনায় ভালোভাবে প্রস্তুত। কিন্তু ট্রাম্প ফেডারেল বুরোক্রেটদের প্রতি অবজ্ঞা রাখেন এবং রাশিয়ার ২০১৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হস্তক্ষেপের তদন্তে, যা গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের নেতৃত্বে ছিল, নিয়ে স্থায়ী ক্ষোভ ধারণ করেন। এবং তিনি যে পথ চিহ্নিত করছেন, তাঁর ভাষণ এবং মনোনয়নগুলির মাধ্যমে, তা সংঘর্ষ।

যদি ট্রাম্প অবশেষে বিরোধিতা বেছে নেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তাদের দৈনিক অপারেশন কার্যকর করতে এবং তাদের মূল মিশনে মনোনিবেশ করতে গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। কিন্তু গোয়েন্দা পেশাজীবীদের এখনও কাজ করার আছে, এবং হয়তো তাদের সেরা প্রতিরক্ষা হল এটি ভালোভাবে করা। ১৯৬১ সালে, ক্যুবার বেই অব পিগস অভিযান, যা সিআইএর নেতৃত্বে ব্যর্থ হয়েছিল, প্রায় এজেন্সির সম্পর্ক নতুন উদ্বোধিত রাষ্ট্রপতি জন এফ. কেনেডির সাথে ধ্বংস করেছিল। কিন্তু পরের বছরে, গোয়েন্দা সম্প্রদায় কিছুটা কেনেডির বিশ্বাস পুনরুদ্ধার করে, যখন তারা তথ্য প্রদান করে যে সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবার দিকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে। সন্দেহজনক, বিরোধিতাপূর্ণ রাষ্ট্রপতিরা প্রায়ই তাদের সুর তুলে নেন যখন তারা বুঝতে পারেন যে তাদের গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের অন্তর্দৃষ্টি বা ক্ষমতার প্রয়োজন।

গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের আরও অনেক নজরদারি প্রক্রিয়া রয়েছে যা ট্রাম্পের দলকে গোয়েন্দা অপব্যবহার করা কঠিন করে তুলতে পারে—এগুলি নীতিনির্ধারণের উদ্দেশ্য অগ্রসর করার বাইরে উপায়ে। তারা সেইসব যেগুলি এর অনন্য ভূমিকা এবং কর্তৃত্বের সাথে সমান্তরালভাবে বিকশিত হয়েছে। এর বিস্তৃত, গোপনীয় বুরোক্রেসি হোয়াইট হাউসের মাইক্রোম্যানেজিংয়ের জন্য উপযুক্ত নয়, বিশেষ করে ট্রাম্পের ফোকাস এবং স্থিতিশীলতার অভাবে। গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের কাজের বেশিরভাগ অংশ ছায়ায় অব্যাহত থাকবে, ট্রাম্প যে কোনো নীতি অনুসরণ করেন তা নির্বিশেষে।

এবং শেষ পর্যন্ত, ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি মেয়াদ মাত্র চার বছর। তিনি প্রচণ্ড, কিন্তু তাঁর গর্জন প্রায়শই তাঁর কামড়ের চেয়ে খারাপ। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জন্য মূল চাবিকাঠি হবে বিভ্রান্তি এড়ানো এবং মূল মিশনে মনোনিবেশ করতে একটি উপায় খোঁজা। এর মাধ্যমে, তারা নিশ্চিত করতে পারবেন যে ট্রাম্পের ব্যাঘাত সাময়িক—সম্প্রদায়ের জন্য একটি সমুদ্র পরিবর্তন নয়।