সারাক্ষণ রিপোর্ট

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত এই প্রোগ্রামে বাঙালি সমাজকে “আমার মুক্তি, আলোয় আলোয়” মন্ত্রের মাধ্যমে মুক্তির পথে পা বাড়ানোর বার্তা প্রেরণ করা হবে। ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী প্রভাত অনুষ্ঠান আসলে মানবতা, মূল্যবোধ ও পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার সুর ছড়িয়ে দেয়।

আয়োজনে বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস

• স্থান ও সময়:
  • ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবন মিলনায়তনে শুক্রবার বিকেল চারটায় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে।

• অনুষ্ঠানের সূচনা:
  • ‘আমার মুক্তি, আলোয় আলোয়’ গানটি দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের সূচনা করে মূল ভাব ফুটে উঠবে।
• অনুষ্ঠানের অংশগুলি:
  • ৯টি সম্মেলক গান
  • ১২টি একক কণ্ঠের গান
  • ৩টি পাঠ
  • ভৈরবীতে রাগালাপের মাধ্যমে প্রাতঃকালের সূচনা (প্রায় সকাল ৬:১৫ মিনিট)
• প্রচার মাধ্যম:
  • দুই ঘণ্টার অনুষ্ঠানটি ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।

প্রধান ব্যক্তিত্ব ও বক্তব্য

• উপস্থিত ব্যক্তিত্ব:
  • ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী
  • সহসভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল
  • সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা
  • যুগ্ম সম্পাদক পার্থ তানভীর নভেদ
  • জয়ন্ত রায়
• বক্তাদের বার্তা:
  • লাইসা আহমদ বলেন, ছায়ানটের ৫৮তম বর্ষবরণের এই আয়োজনে মানবতা ও মূল্যবোধের হ্রাসের বিরুদ্ধে একতা এবং আশাবাদের প্রতীক তুলে ধরা হয়েছে। তিনি আশাবাদী যে বাঙালি সমাজ চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সুন্দর দিনের প্রত্যাবর্তন ঘটাবে।
  • ডা. সারওয়ার আলী স্মরণ করিয়ে দেন যে, সংগীতজ্ঞ সন্‌জীদা খাতুনের অনুপ্রেরণায় ছায়ানট অবিচল পথে এগিয়ে যাবে, যদিও তিনি আমাদের মাঝে নেই।

সাংস্কৃতিক ও জাতীয় চেতনার উদ্দীপনা

• উদ্দেশ্য:
  • এই অনুষ্ঠান শুধুমাত্র এক দিনের ঐক্য উদযাপন নয়, বরং সংগীত ও পাঠের মাধ্যমে জাতিসত্তার বীজ বপন করবে।
  • মানুষের জীবনে থাকা নেতিবাচকতা দূর করে মানবিক উন্নয়নের প্রেরণা যোগাবে।

প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা

• প্রশ্নোত্তর পর্ব ও প্রস্তুতি:
  • পার্থ তানভীর নভেদের উল্লেখ অনুযায়ী, মঞ্চ প্রস্তুতিতে কোনো সমস্যা নেই এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

• • সমন্বিত প্রচেষ্টায় সবাই আশাবাদী যে আয়োজনে কোনো সমস্যা ছাড়া সফলভাবে সম্পন্ন হবে।

সাংগীতিক পরিবেশনা ও সমাপনী

• সঙ্গীতের ভুমিকা:
  • অনুষ্ঠান শুরু ও শেষের মুহূর্তে শিল্পীরা একত্রে ‘মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান’ এবং ‘এই বাংলা রবি ঠাকুরের, এই বাংলা কবি নজরুলের’ গান পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক ঐক্যবদ্ধতার বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।