সারাক্ষণ রিপোর্ট 
ঈদের আনন্দে বৃষ্টির সম্ভাবনা
ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ঈদুল আজহার দিন ও আগের দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলমান নিম্নচাপ ও মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে এবারের ঈদ হতে পারে বৃষ্টিমাখা, যা উৎসব উদযাপনে আনতে পারে কিছুটা অনিশ্চয়তা। তবে বৃষ্টির মধ্যেও ঈদের উৎসবে বাধা নেই, প্রয়োজন শুধু একটু বাড়তি প্রস্তুতি।
ঈদের আগের দিন: শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
ঢাকায় ঈদের আগের দিন তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ৩৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত, যা বছরের অন্যতম উষ্ণতম দিনগুলোর মধ্যে একটি। তবে বিকেলের দিকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে, যা গরমের তীব্রতা কিছুটা প্রশমিত করবে।
সারাদিনই থাকতে পারে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, আর বাতাসে থাকবে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হওয়া দমকা হাওয়া, যা সময়ে সময়ে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।
ঈদের দিন
ঈদের দিন সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদিন বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে, যা ঘণ্টায় ঘণ্টায় ভারী রূপ নিতে পারে।
ঢকায় তাপমাত্রা থাকবে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে এবং বাতাসে আর্দ্রতা থাকবে প্রায় ৭৭ শতাংশ। বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ, এবং গড়ে ৩১ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।
সকাল ৫টা ১১ মিনিটে সূর্যোদয় এবং সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে সূর্যাস্ত হতে পারে।
বৃষ্টির চরিত্র: তীব্রতা ও বৈশিষ্ট্য
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, বৃষ্টির ধরন হবে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টি। এর অর্থ, হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রপাতসহ মুষলধারে বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে বিকেলের দিকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে।
এই ধরনের বৃষ্টি সাধারণত শহরের নিম্নাঞ্চলগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। ফলে ঈদের জামা পরে বের হলে ভোগান্তি হতে পারে।
ঈদের প্রস্তুতিতে বাড়তি সতর্কতা
ঈদের নামাজ ও কোরবানির পরিকল্পনা যারা বাইরে করার কথা ভাবছেন, তাদের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস জরুরি। ছাতা, রেইনকোট, জলরোধী জুতা এবং দ্রুত পানি শুকাতে পারে এমন কাপড় ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাস্তায় যানবাহন চলাচলেও ধীর গতি লক্ষ্য করা যেতে পারে। বিশেষ করে পুরান ঢাকা,মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী এবং খিলগাঁও এলাকার নিচু রাস্তাগুলোতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য
আবহাওয়াবিদদের মতে, এবার মৌসুমী বায়ু কিছুটা আগে থেকেই সক্রিয় হয়েছে। এর ফলে সারা দেশে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এবং তা ঈদের দিন পর্যন্ত চলতে পারে। ঈদের পরবর্তী দিনগুলোতেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
শেষ কথা
ঈদের আনন্দ বৃষ্টির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বরং বৃষ্টিকে উপভোগ করাই হতে পারে এবারের উৎসবের মূলমন্ত্র। অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ায়ও যদি প্রস্তুতি থাকে, তবে ঈদ হবে নিরাপদ, আনন্দময় ও সুন্দর।
সবার ঈদ হোক নিরাপদ ও ভেজা আনন্দে পূর্ণ।
