মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন

অলিম্পিকের অদম্য

  • Update Time : শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪, ৮.০০ এএম

 মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান

বিশ্বক্রীড়ার সবচেয়ে বড় আসর অলিম্পিকের ৩৩ তম আসর বসেছে ফ্রান্সে। অলিম্পিক গেমস প্রতিবার বিশ্বসেরা অনেক তারকার জন্ম দেয়। তবে একবার যিনি পদকজিতে পরিচিত হচ্ছেন পরের বছর অন্য আরেকজন সে জায়গায় চলে আসেন। এতোপ্রতিযোগিতামূলক জীবনের মধ্যেও কিছু মানুষ তাদের অদম্য আচরণ ও অসম সাহসীমনোবল দিয়ে নিজেদের আলাদা অবস্থান তৈরি করেন। পদক জয়ের চেয়েও তাদেরউদাহরণ প্রেরণা জোগায় যুগের পর যুগ। এমনই দু’জন ক্রীড়াবিদের কথা বলা হলোএখানে:

.   

ক্যারলি  টাকাক্স

হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে ১৯১০ সালে জন্ম নেয়া ক্যারলি টাকাক্স সেনাবাহিনীতে যোগ দেন১৯৩৬ সালে। হাঙ্গেরিয়ান সেনাবাহিনীতে তিনি পরিচিতি পান সবচেয়ে সেরা পিস্তলশুটার হিসেবে। জাতীয় পর্যায়েও তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। খুবই অল্প বয়সে তিনিনিজেকে তৈরি করেছিলেন আন্তর্জাতিক মানের একজন শুটার হিসেবে। শুরু থেকেই তারমনছবি ছিল তিনি অলিম্পিকে অংশ নেবেন এবং গোল্ড মেডেল জয় করবেন।

সেনাবাহিনী থেকে যারা ভালো খেলতেন তারা জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেলেও একটিনিয়ম তখন প্রচালিত ছিলÑ শুধু কমিশনড অফিসাররাই অলিম্পিক বা আন্তর্জাতিকখেলায় জাতীয় দলের হয়ে অংশ নিতে পারবেন। কম বয়সী নন-কমিশনড সার্জেন্টক্যারলি তার অসাধারণ দক্ষতা সত্ত্বেও এই নিয়মের কারণে ১৯৩৬ সালের অলিম্পিকেজাতীয় দলে স্থান পান নি  কিছুদিন পর সেনাবাহিনী এই নিয়ম তুলে নিলে ক্যারলিঅলিম্পিকে অংশ নেয়ার মনছবিকে লালন করতে থাকেন। তার লক্ষ্য থাকে ১৯৪০সালের অনুষ্ঠিতব্য টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেয়া। নিজেকে সেভাবেই তৈরি করা শুরুকরেন।

মানুষ যেভাবে ভাবে তাতে অনেক সময়ই ছন্দপতন হয়ে থাকে। ১৯৩৮ সালেসেনাবাহিনীর এক মহড়া চলাকালে ক্যারলির ডান হাতে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়। যাতেতার ডান হাত পুরোটাই উড়ে যায়। এই দুর্ঘটনা ক্যারলির জীবনকে পুরো বদলে দেয়।

তীব্র শারীরিক যন্ত্রণার পাশাপাশি অলিম্পিকে অংশ নেয়ার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন শেষ হয়েযাবে- এটা ভেবে ক্যারলি গভীর হতাশায় ভেঙ্গে পড়েন। তার কাছে জীবনের অর্থ শূন্য হয়েযায়। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। নিজেকে সব কিছু থেকে গুটিয়ে নেন। পাশাপাশি তারযারা পরিচিত ছিলেন তারাও ব্যস্ততা এবং প্রয়োজনের কারণে দূরে সরে যান। ক্যারলিপরিণত হন যোগাযোগবিহীন এক নিঃসঙ্গ মানুষে।

এক বছর পরের কথা।

জাতীয় পর্যায়ের শুটিং প্রতিযোগিতা শুরু হবে। দেশের সেরা শুটাররা একত্রিত হয়েছেন।উৎসবমুখর পরিবেশ চারদিকে। এমন এক মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত হলেন ক্যারলি। তাকেদেখে কেউ বিস্মিত, কেউ অবাক কেউবা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। কয়েকজন তারকাছে গেলেন। তাকে বললেন, অনেকদিন পর তোমাকে দেখে খুব ভালো লাগছে। তোমারস্পোর্টিং স্পিরিটের প্রশংসা না করলেই নয়। এই অবস্থাতেও তুমি আমাদের উৎসাহ দিতেএসেছ। আমরা খুব খুশি হয়েছি।

ক্যারলি খুব কম কথায় উত্তর দিলেন, ধন্যবাদ তোমাদের। তবে এখানে আমি তোমাদেরউৎসাহ দিতে আসি নি। আমি এসেছি তোমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে।

অবাক চোখে সবাই দেখল, ক্যারলি তার একমাত্র হাতটিতে পিস্তলের ব্যাগটি ধরেরেখেছেন।

প্রতিযোগিতা শুরু হলো। সবাই যে যার সেরা পারফরমেন্স করলেন। ক্যারলি বাঁ হাতেঅংশ নিলেন প্রতিযোগিতায়। সবাইকে বিস্মিত করে প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন ক্যারলি!

পেছনের কথা

হাত হারিয়ে প্রথমে হতাশায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন ক্যারলি। তার পরিচিত জগৎ হঠাৎ করেইবদলে যায়। তিনি অসীম শূন্যতায় ডুবে যান। এক পর্যায়ে তার মনে দুটো প্রশ্ন কাজ করে।

এক. আমি কি বাকি জীবন হতাশার মধ্যে চোখের জল ফেলেই যাবো?

দুই. নাকি আমার যেটুকু আছে তাই আমি ব্যবহার করবো?

নিজের কী আছে সেটা ভাবতে গিয়ে ক্যারলি দেখলেন, তার সবচেয়ে অবহেলিত অঙ্গটিহলো বাঁ হাত। তিনি ভাবলেন এই বাঁ হাতকেই তার গুরুত্ব দিতে হবে। তার ডান হাতবিহীনশরীরে চিকিৎসার জন্যে সময় লাগলো এক মাস। এরপর তিনি আর দেরি করেন না।শুরু করলেন অনুশীলন। বাঁ হাত ব্যবহারে মোটেও অভ্যস্ত ছিলেন না তিনি। যখনলিখতে যান হাত থেকে কলম খসে পড়ে। কোনো কাজ সহজভাবে করতে পারেন না। বাঁহাত দিয়ে পিস্তল ধরা শুরু করলেন। কিন্তু নিশানা ঠিক রাখতে পারেন না তিনি। কান্নায়ভেঙ্গে পড়েন ক্যারলি। আবার শুরু করেন। আবার হতাশা আসে। আবার শুরু করেন।দিন-রাত তার একই সাধনা। যেভাবেই হোক তাকে আগের অবস্থায় যেতে হবে। তাকেসেরা পারফর্মমেন্স দেখাতে হবে।

ক্যারলি তার একমাত্র হাত দিয়ে অসাধারণ সাফল্য দেখালে অনেকে তাকে বাহবা দিলেওতিনি আবেগের প্রকাশ ঘটালেন খুব কম। কারণ তার স্বপ্ন থেমে নেই। তিনি শুরু করলেনআরো কঠিন সাধনা। কারণ তার লক্ষ্য, জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিকভাবে নিজেকেসেরা প্রমাণ করা। ১৯৪০ সাল। জাপানে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিককে সামনে রেখে তিনিতার সাধনা করে চললেন। অনেকেই বিশ্বাস করা শুরু করলেন ক্যারলি হয়তো ভালোফলাফল করবেন।

ক্যারলি যা ভাবছিলেন তার বাস্তবতা বদলে গেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ায়। ১৯৪০সালের অলিম্পিক বাতিল  ঘোষিত হলো।

ক্যারলি স্বপ্নভঙ্গের অভিজ্ঞতা আবারো অর্জন করলেন। কিন্তু তিনি থেমে থাকার পাত্রনন। তার লক্ষ্য দাঁড়ালো ১৯৪৪ সালের লন্ডন অলিম্পিক। তিনি তার প্রচেষ্টা চালাতেলাগলেন। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থামলো না। যুদ্ধ চলমান থাকায় ১৯৪৪ সালেরঅলিম্পিকও বাতিল হলো। আবারো ক্যারলির জীবনে হতাশা ভর করলো তীব্রভাবে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে সবকিছুই আবার নতুন করে শুরু হলো। ক্যারলি চাইলেন আবারোনতুন করে সব শুরু করতে। কিন্তু এবার তার সামনে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াল বয়স। সাধারণতখেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার অল্প সময় থাকে। আট বছর সময়ে হাঙ্গেরিতেও অনেক তরুণশুটার ততোদিনে তৈরি হয়ে গিয়েছে। কর্তৃপক্ষ ক্যারলিকে জানালেন, জাতীয় পর্যায়েআসতে হলে এই তরুণদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আসতে হবে।

ক্যারলি ছিলেন এই তরুণ শুটারদের আদর্শ। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার কথা শুনেতিনি দমে যান নি। কেননা তার স্বপ্ন দেখা তখনো থামেনি। প্রতিযোগিতা হলো।তরুণদের হারিয়ে তিনি স্থান পেলেন জাতীয় দলে। তার সারা জীবনের স্বপ্ন অলিম্পিকেঅংশ নেয়ার সুযোগ এলো তার সামনে। পরপর তিনটি অলিম্পিক সিজন অপেক্ষা করেক্যারলি ১৯৪৮ সালের লন্ডন অলিম্পিকে গেলেন। পৃথিবীর সেরা শুটারগণ তাদের সেরাহাতের কাজ দেখাতে লাগলেন। ক্যারলি তার একমাত্র হাত নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশনিলেন।

পিস্তলে ২৫ মিটার র‌্যাপিড ফায়ার ইভেন্টে সবাইকে বিস্মিত করে স্বর্ণপদক জয় করলেনক্যারলি।

ঘটনার এখানেই শেষ নয়। ১৯৫২ সালে চার বছর পর হেলসিংকি অলিম্পিকে হাঙ্গেরিরপক্ষে অংশ নিলেন ক্যারলি। এবার আর বিস্ময় নয়  সবার আগ্রহী চোখের সামনেক্যারলি একমাত্র হাতে প্রতিযোগিতায় নামলেন।

অলিম্পিকের ইতিহাসে ২৫ মিটার র‌্যাপিড ফায়ার ইভেন্টে একই ব্যক্তির পর পর দুইবার স্বর্ণ জয়ের অনন্য রেকর্ড সৃষ্টি করলেন ক্যারলি।

একজন অদম্য মানুষ যে কোনো বিস্ময় সৃষ্টি করতে পারেন, ক্যারলি তার অন্যতমউদাহরণ।

.   

স্টিফেন অ্যাকওয়ারি

তানজানিয়ার দৌড়বিদ জন স্টিফেন অ্যাকওয়ারি জন্মেছেন ১৯৩৮ সালে। ১৯৬৮ সালেমেক্সিকো সিটিতে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় তিনি তার দেশেরপ্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে মেক্সিকো সিটির উচ্চতা ২,২৪০ ফিট। যারফলে এর আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে অনেক প্রতিযোগীরই সমস্যা হয়ে পড়ে।অ্যাকওয়ারি নিজেও ছিলেন তাদের মধ্যে। কেননা এমন পরিবেশে তার দেশে অনুশীলনকরার কোনো সুযোগ তার ছিল না। ৪২ কিলোমিটারের এই দৌড় যখন তারা শুরু করতেগেলেন তখন বেশ গরম ছিল। রৌদ্রজ্জ্বল দিনে দুপুর তিনটার সময় প্রতিযোগিতা শুরুহয়। ৭৫ জন প্রতিযোগী ম্যারাথনে অংশ নেন। কিন্তু তাদের জন্য বিরূপ প্রকৃতির কারণে১৮ জন প্রতিযোগীই সরে যেতে বাধ্য হন প্রতিযোগিতা থেকে।

অ্যাকওয়ারি নিজে একজন যোগ্য দৌড়বিদ হওয়ার পরেও আবহাওয়ায় তার মাসলক্র্যাম্প দেখা দেয়। তার পক্ষে দৌড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি অনেক কষ্ট করেইম্যারাথন চালিয়ে যান। এভাবে ৩০ কিলোমিটার যাওয়ার পর ঘটে আরেক দুঃখজনকঘটনা। একজন প্রতিযোগী তাকে পেছন থেকে এসে হঠাৎ আঘাত করেন। তিনি গুরুতরআহত হন। তার হাঁটুর বাটি সরে যায় এবং কাঁধেও ব্যথা পান  প্রাথমিক চিকিৎসা শেষেচিকিৎসকরা পরামর্শ দেন তিনি যেন দৌড়ানো বাদ দিয়ে তখনই হোটেলে ফিরে যান।কেননা এরপরও তিনি যদি ম্যারাথনে অংশ নেন তাহলে তার আরো ক্ষতি হতে পারে।

এদিকে অলিম্পিক মাঠে চলছে বিজয়ীকে বরণ করার পালা। ইথিওপিয়ার ম্যারাথনবিদমোমো উডে ২ ঘণ্টা: ২০ মিনিট: ২৬ সেকেন্ডে ম্যারাথন শেষ করে প্রথম হন। জাপানেরকেনজি কিমিহারা দ্বিতীয় (২:২৩:৩১) এবং নিউ জিল্যান্ডের মাইক রায়ান তৃতীয়(২:২৩:৪৫) হন। স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকের সামনে বিজয়ীদের পদক পরিয়ে দেয়া হয়।

ধীরে ধীরে দর্শক, সাংবাদিকসহ অন্যান্য যারা ছিলেন তাদের বড় অংশই স্টেডিয়াম ছেড়েচলে যান। কিছু মানুষ গল্প করছিলেন বসে। সূর্য ডুবে যায়। হঠাৎ স্টেডিয়ামের মাইকেঘোষণা এলো, স্টেডিয়ামে কেউ একজন আসছেন।

যারা ছিলেন নড়েচড়ে বসলেন। দেখা গেল সময় অতিক্রম হওয়ার অনেক পরে একজনদৌড়বিদ স্টেডিয়ামে ঢুকেছেন। তার হাঁটু এবং পায়ে ব্যান্ডেজ। আঘাত পাওয়া অংশ থেকেরক্ত ঝরছে! দু’একজন সাংবাদিক যারা তখনো ছিলেন তারা কিছুটা বিস্ময় নিয়ে অপেক্ষাকরতে লাগলেন। একজন টিভি ক্যামেরাম্যান পুরো দৃশ্য ধারণ করলেন। সেই দৌড়বিদধীরে ধীরে স্টেডিয়ামের ভেতর একেবারেই ফাঁকা টার্ফে ফিনিশিং লাইনের দিকে এগিয়েযেতে লাগলেন। অল্প কয়েকজন দর্শক দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে তাকে উৎসাহিতকরলেন  জন স্টিফেন অ্যাকওয়ারি তার ম্যারাথন শেষ করলেন স্বর্ণ বিজয়ীর একঘণ্টারও বেশি সময় পর। তিনি সময় নিলেন ৩ ঘণ্টা ২৫ মিনিট ২৭ সেকেন্ড! অবস্থানেরদিক দিয়ে ৫৭ তম!

দৌড় শেষ করার পর অল্পসংখ্যক উপস্থিত ব্যক্তি তার কাছে গেলেন। অভিনন্দনজানালেন। তাদের কেউ কেউ জানতে চাইলেন, শারীরিক এই অবস্থা নিয়ে কেন তিনিএতো বড় ঝুঁকি নিলেন? যেখানে জানা যাচ্ছে প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা অনেক  গেইপৌঁছে গিয়েছেন। তার স্থান তো কোথাও হবে না। তার নাম কোথাও আলোচিত হবে না।নানা প্রশ্ন।

জন স্টিফেন অ্যাকওয়ারি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটিই উত্তর দেন, ‘আমার দেশআমাকে এখানে শুধু প্রতিযোগিতা শুরু করার জন্যই পাঠায় নি, আম কে ৫,০০০ মাইলদূর থেকে পাঠিয়েছে প্রতিযোগিতা শেষ করার জন্যও।’

পাঁচ ফিট তিন ইঞ্চির উচ্চতার ক্ষীণকায় অ্যাকওয়ারি অলিম্পিকের রেকর্ড বুকের জন্যকোনো স্মরণীয় ব্যক্তি হয়তো ছিলেন না কিন্তু মানুষের হৃদয়ের রেকর্ড বুকে তার জায়গাস্থায়ী হয়ে গিয়েছে। গুগলে ১৯৬৮ সালের অলিম্পিকের ম্যরাথন লিখে সার্চ দিলে প্রথমস্থান অধিকারীর বদলে অ্যাকওয়ারির ছবি বা সংবাদই বেশি আসে।

১৯৭০ সালে কমনওয়েলথ গেমসে ২ ঘণ্টা ১৫মিনিট ০৫ সেকেন্ডে ম্যরাথন শেষ  করেনঅ্যাকওয়ারি। অলিম্পিকের আগে পরে তার ম্যারাথনের গড় সময় ছিল ২ ঘণ্টা ২০মিনিট। সত্তরের দশক পর্যন্ত তিনি মাঠে সক্রিয় ছিলেন  অবসর জীবনে দরিদ্র অবস্থায়অ্যাকওয়ারি তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে গ্রামে বসবাস করেন। গ্রামে তিনি কৃষিকাজকরতেন। অলিম্পিকে দৌড়ের ১৫ বছর পর ১৯৮৩ সালে তাকে তানজানিয়া সরকার‘ন্যাশনাল হিরো মেডাল অফ অনার’প্রদান করে। এরপর তার নামে জন স্টিফেনঅ্যাকওয়ারি অ্যাথলেটিক ফাউন্ডেশন গঠন করা হয় যার মধ্যেমে তানজানিয়ার তরুণঅ্যাথলিটদের অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুত করা হয়। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকেতিনি গুডউইল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আমন্ত্রিত হন এবং নিজ দেশে অলিম্পিক মশালবহন করেন।

 লেখক পরিচিতি : সাংবাদিক ও গবেষক

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024