মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন

ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার

  • Update Time : বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০২৪, ৯.৪৭ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার”

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ১৫ সদস্যের একটি দল গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় বঙ্গভবনে যায়। এর দেড় ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন তিন বাহিনীর প্রধানগণ। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দীর্ঘ বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের নির্দেশ দেন।

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ১৫ সদস্যের একটি দল গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় বঙ্গভবনে যায়। এর দেড় ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন তিন বাহিনীর প্রধানগণ। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দীর্ঘ বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এই সরকার গঠন করতে যাচ্ছি। এই সময়ে এটাকে বিভিন্নভাবে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়ার সুযোগ আছে। নিয়ম আছে সেটা অনুসরণ করা হবে। সরকারের মেয়াদ এখনো ঠিক করা হয়নি।’ বঙ্গভবনে বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খানও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকালই ভোরে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছিলেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ দুপুরে”

রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন আরও জানান, সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখবেন।

সর্বস্তরের জনগণসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সবপর্যায়ের নেতা-কর্মীকে যথাসময়ে সমাবেশে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “দেশ ছাড়তে গিয়ে আটকে যাচ্ছেন ক্ষমতাচ্যুত মন্ত্রী-এমপিরা”

শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিলেও দেশে রয়ে গেছেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সরকারের অনেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। এসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারের অনেক আমলা এখন দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন। একই চেষ্টায় আছেন আওয়ামী লীগ ও দলটির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা। কিন্তু দেশ ছাড়তে গিয়ে বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে আটকে যাচ্ছেন তারা। এরই মধ্যে দেশ ছাড়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল জুনাইদ আহমেদ পলকের। এ লক্ষ্যে গতকাল বিমানবন্দরে যান তিনি। তাকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। বেলা ৩টার দিকে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে আটকে দেয়া হয় তাকে।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একটি সূত্র জানায়, দিল্লি যাওয়ার উদ্দেশে জুনাইদ আহমেদ পলক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে অপেক্ষা করছিলেন। বেবিচক কর্মচারীরা তাকে চিনতে পারেন। পরে বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা এসে পলককে নিয়ে যান।

একই বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয় ড. হাছান মাহমুদকে। তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদেও আছেন। গতকাল বিকালে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ড. হাছান মাহমুদ দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু সফল হননি। তাকে আটকে দেয়া হয়েছে। তবে আটকে দেয়ার পর হাছান মাহমুদকে কোথায় রাখা হয়েছে, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে ৫ আগস্ট বিকালে ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশী মিশন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থাপ্রধানদের ব্রিফ করার কথা ছিল হাছান মাহমুদের। কিন্তু ওইদিন দুপুরের আগে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা ঢাকার সড়ক দখলে নেয়া শুরু করার পর সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হয়। এর পর থেকে হাছান মাহমুদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

গতকাল বিমানবন্দরে ছাত্রলীগের দুই নেতাকেও আটকে দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মাহমুদ। এর মধ্যে সৈকতকে ইমিগ্রেশন থেকে আটক করা হয়। বর্তমানে তিনি ইমিগ্রেশনের হেফাজতে আছেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ রয়েছে এ দুই নেতার বিরুদ্ধে। ওইদিন শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা হয়। আহত হয় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। হামলার সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কোনো কোনো নেতাকর্মীর কাছে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “দ্রুত অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক নির্বাচনের তাগিদ মার্কিন সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির চেয়ার বেন কার্ডিনের”

দ্রুত অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি দায়িত্বশীল তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ফরেন রিলেশনস কমিটির চেয়ার বেন কার্ডিন। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। এর ফলে নতুন একটি নির্বাচনের পথ তৈরি হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বেন কার্ডিন ৬ই আগস্ট একটি বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, যেখানে বিশ্বে গণতন্ত্র এবং রাজনৈতিক মত প্রকাশ ক্রমবর্ধমান ভাবে হুমকিতে, সেখানে বাংলাদেশের জনগণ সাহসের সঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শক্তির রূপান্তর প্রদর্শন করেছে। নাগরিকরা ঐক্যবদ্ধ হলে তাদের কণ্ঠস্বর এমনকি সবচেয়ে দৃঢ় ও স্বৈরাচারী নেতাদেরও ক্ষমতা ত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারে। বেন কার্ডিন আরও বলেন, কিন্তু এত সহিংসতা ও রক্তপাত অগ্রহণযোগ্য। যেসব মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য আমরা শোক প্রকাশ করি। যে সরকার কমপক্ষে এক দশকেরও বেশি সময় পর্যায়ক্রমিকভাবে বিরোধীদের গলা টিপে ধরেছিল, আদালতকে ম্যানিপুলেট করেছে, নিজের নাগরিকদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা সার্ভিসকে হাতিয়ার বানিয়েছে। সেখানে এখন সাংবিধানিক নীতির ওপর ভিত্তি করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সামনে নতুন করে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা আমরা সেলিব্রেট করি।

বেন কার্ডিন আরও বলেন, আমি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর আহ্বান জানাই একটি দায়িত্বশীল তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের জন্য, যারা দ্রুত অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক নির্বাচন করবে। বাংলাদেশের জনগণ এমন একটি সরকারের দাবিদার, যারা তাদের কণ্ঠস্বরের প্রতি সম্মান দেখাবে, তাদের ইচ্ছের প্রতি সম্মান দেখাবে এবং জাতির মর্যাদাকে সমুন্নত রাখবে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024