মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ১০৫)

  • Update Time : বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪, ১১.৫১ পিএম

পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।

সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।

নীরবতার শক্তি

নীরবতা হিরম্ময়। বাস্তবে ধাতুর ভেতর যেমন স্বর্ণ অন্যতম মূলবান তেমনি সময়ের চলমান পথে নীরবতা সব চেয়ে মূল্যবান। কোন কোন সময়ে অনেক বেশি মূল্যবান। আর যে কোন নেতার জন্য নীরবতা অবশ্যই মূল্যবান।

নেতাকে যেমন কথা বলতে জানতে হয় তেমনি তার থেকে বেশি জানতে হয় সে কতটা সময় এবং কোন সময়ে নীরব থাকবে। তাকে মনে রাখতে হয় উম্মত্ত যে সমুদ্র বা মহাসমূদ্র সেও মাঝে মাঝে শান্ত হয়। প্যাসিফিকের আবিস্কারক যখন তার পাশে এসে পৌঁছেছিলো তখন সে ছিলো নীরব। তাই তো তার নাম হয় প্যাসিফিক।

 

পৃথিবীর এতবড় একটা মহাসাগরও যেখানে মাঝে মাঝে নীরব হয় সেখানে যে কোন নেতাকে নীরবতা শিখতে হয়। বিশেষ করে যদি কেউ বড় নেতা বা স্মার্ট নেতা হতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই জানতে হবে কখন কখন সে নীরব থাকবে।

কোন নেতা যদি নীরব থাকতে না জানে তাহলে সে কখনই নেতা নয়।

১. যে কোন ক্রাইসিসে ও বিজয়ে নীরতাই সব থেকে বড় শক্তি।

২. ক্রাইসিসে ভেঙ্গে পড়া যেমন সাধারণ মানুষের কাজ আর ক্রাইসিসে সরব হওয়াও তেমনি অতি সাধারণ মানুষের কাজ। ক্রাইসিসে যদি নেতা নীরবভাবে এগুতে না পারে তাহলে ধরে নিতে হবে ওই নেতা ক্রাইসিসকে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে বা তার বোঝার মতো শক্তি নেই বা নলেজ নেই।

৩. ক্রাইসিসে নীরবতাই মূলত ব্রেইনের কোষগুলো, নার্ভগুলোকে শান্ত করে। যা একজন মানুষকে ক্রাইসিসের চরিত্র বুঝতে সহায়তা করে।

৪. ক্রাইসিসের চরিত্র না বুঝে যে নেতা অনর্গল কথা বলে তাকে হয় পাগল না হয় অযোগ্য হিসেবে ধরে নিতে হবে। বড়জোর তাকে মনে করা যেতে পারে একজন অতি সাধারণ মাপের মানুষ।

৫.  তাছাড়া নীরবতার নিজস্ব একটা শক্তি আছে তা অনেকটা সময়ের শক্তির মতো, এই শক্তিই স্বাভাবিকভাবে যে কোন ক্রাইসিসকে উত্তরণের জন্যে অনেক বেশি সহায়ক হয়।

৬. একটা বিষয় সব সময় মনে রাখতে হয় শক্তি কোন বাহুবল নয়। শক্তি সময়, কৌশল ও প্রজ্ঞা মিলে হয়।

৭. সময় নীরবে বহমান, কৌশল নীরবে কাজ করে আর প্রজ্ঞা আরো বেশি গভীরে যার কোন শব্দ কেউ কোনদিন পায়  না।

৮. এই তিন নীরবতা মিলেই পৃথিবীর অন্যতম বড় শক্তির সৃষ্টি হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024