মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

সব থানা চালু হলেও পুলিশ আগের মতো তৎপর নয়

  • Update Time : শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৪, ৯.১০ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “সব থানা চালু হলেও পুলিশ আগের মতো তৎপর নয়”

রাজধানীর বিভিন্ন থানায় আবার শুরু হয়েছে পুলিশের কার্যক্রম। গতকাল দুপুরে তেজগাঁও থানায়ছবি: প্রথম আলো

ধানমন্ডি এলাকা থেকে তিন দিন আগে একজন ব্যবসায়ীর মুঠোফোন চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলিশ অবস্থান শনাক্ত করেও মুঠোফোনটি উদ্ধার করতে পারছে না।

তদন্ত–সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মুঠোফোনটি সক্রিয় রয়েছে। ফোন করে মুঠোফোনটি থানায় দিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু ফোন ধরে অপর প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি হুমকি দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাকে বলেন, সাহস থাকলে এসে ফোন নিয়ে যান। পুলিশ সাহস করে আর মুঠোফোনটি উদ্ধার করতে যায়নি।

শুধু মুঠোফোন চুরির এ ঘটনা নয়, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে আদাবর থানা এলাকার নবোদয় হাউজিংয়ে প্রকাশ্যে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। চাপাতি হাতে একদল ছিনতাইকারী এক বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীর রিকশা থামিয়ে মুঠোফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। আশপাশের লোকজন দাঁড়িয়ে দেখলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। ভুক্তভোগী ঝামেলা এড়াতে মামলায় যাননি, জিডি করেছেন।

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “গুমের অপসংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা”

গুমের অপসংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এ কারণে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই সনদে স্বাক্ষর করেন। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫টি দেশ এই সনদে যুক্ত হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ এর বাইরে ছিল।

বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ৭০০-এর বেশি মানুষ গুম হয়েছেন। এর মধ্যে ১৫০ জনের বেশি মানুষের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। গুমের শিকার পরিবারগুলোর সংগঠন মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশ গুমের আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হয়েছে। এখন আমরা বিচার পাওয়ার আশা রাখছি। আশা করি, সরকার এখন একটি কমিশন করে সবগুলো গুমের ঘটনার বিচার নিশ্চিত করবে।’

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বছরে ১,৪০০ কোটি টাকা আয়ের প্রাক্কলন, ছয় মাসে আয় হয়েছে ৩৭ কোটি”

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা-যশোরের মধ্যে নতুন ১৭০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষদিকে। গত বছরের নভেম্বর থেকে আংশিকভাবে ট্রেন চলাচলও শুরু হয়েছে। বর্তমানে চলছে তিনটি আন্তঃনগর ও দুটি মেইল ট্রেন। পণ্যবাহী কোনো ট্রেন চলছে না। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে যাত্রী পরিবহন করে রেলপথটি থেকে আয় হয়েছে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। যদিও রেলপথটি নির্মাণের আগে করা সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, চালুর প্রথম বছর যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে আয় হবে ১ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা। একই সঙ্গে ২০২৪ সালের মধ্যে রেলপথটির বার্ষিক আয় বেড়ে ১ হাজার ৪০২ কোটিতে দাঁড়ানোরও প্রাক্কলনও করা হয়েছিল।

রাজস্ব আয়ের এ প্রাক্কলন করা হয় মূলত পণ্য পরিবহনকে প্রাধান্য দিয়ে। সমীক্ষায় বলা হয়, চালুর প্রথম বছরে পদ্মার নতুন রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রতিদিন ১২ জোড়া কনটেইনার ট্রেন চলবে। ২০২৪ সালে শুধু পণ্য পরিবহন করেই রাজস্ব আয় হবে ১ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। কিন্তু রেলপথটি আংশিকভাবে চালুর ১০ মাস পার হলেও কোনো আন্তঃদেশীয় পণ্যবাহী ট্রেন চলেনি। এমনকি স্থানীয় পণ্যবাহী ট্রেনও চলেনি। আরো বলা হয়েছিল, ২০৩০ সালে চালু হবে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, যেখান থেকে প্রতিদিন আরো দুই জোড়ার বেশি ট্রেন (গড়ে ২ দশমিক ৩টি ট্রেন) চলবে। তখন পণ্য পরিবহন বাবদ বছরে আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। যদিও এরই মধ্যে বাতিল হয়েছে পায়রা গভীর সমুদ্র প্রকল্প। বন্দরটি না হওয়ায় ভবিষ্যতে রেলপথটিতে পণ্য পরিবহন বৃদ্ধির সুযোগও সীমিত হয়ে এসেছে।

পদ্মা সেতু সংযোগ রেলপথটি অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর করতে হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সমন্বিতভাবে শিল্পায়ন নিশ্চিত করা উচিত ছিল বলে মনে করেন অবকাঠামো বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সামছুল হক। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘‌পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতু রেল সংযোগ মিলে এ করিডোরে ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। বিনিয়োগ করার সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল—দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শিল্পায়ন হবে, পরিকল্পিত উন্নয়ন করা হবে। পদ্মা সেতু হয়েছে দুই বছর আগে। রেল আংশিক চালুর এক বছর হতে চলল। এখনো এ অঞ্চলে শিল্পায়নের কোনো উদ্যোগ নেই। পদ্মা সেতুর মতো ব্যয়বহুল একটি যোগাযোগ করিডোর অর্থনৈতিকভাবে কার্যকরের জন্য শিল্পায়ন দরকার ছিল। কারণ যাত্রী পরিবহন করে বিনিয়োগ তুলে আনা সম্ভব নয়। একমাত্র পণ্য পরিবহনই পারে রেলপথটির বিনিয়োগ তুলে আনতে।’

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “বিসিবির প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ, যা বললেন সভাপতি”

নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই বাংলাদেশক ক্রিকেট বোর্ডকে দূর্নিতী মুক্ত করার কথা বলেছিলেন ফারুক আহমেদ। ইতিমধ্যে দূর্নীতি যাচাই করতে স্বতন্ত্র অডিট ফার্ম নিয়োগের সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনের বিরুদ্ধে দূর্নীতিতে যোগসাজশের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আজ সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন ফারুক আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘এখন বোর্ডের ফান্ড থাকায় কিছু কিছু পদক্ষেপ বোর্ড নিতে পারে যেহেতু এখন ফান্ড আছে আল্লাহর রহমতে। দুর্নীতি তো আমি অস্বীকার করতে পারব না, কিছু দুর্নীতি হয়েছে। অডিট ফার্ম করেছি আমি…… । সিইও সে কিন্তু ১২ বছরে অনেক অভিজ্ঞ এখন। এখানে আগে তদন্ত না করে কিছু না বললে ভালো হয়। যদি কিছু বের হয় আমি নিশ্চিত তাকেও জবাবদিহিতা করতে হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024