মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ে থাকছে না আওয়ামী লীগ ও জোটসঙ্গীরা

  • Update Time : শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪, ৯.৪৯ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “চৌধুরী নাফিজ সরাফাত: রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যাঁর উত্থান”

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ১৯৯৯ সালে চাকরিজীবন শুরু করেন চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। বিদেশি এ ব্যাংকে থাকার সময় হঠাৎ করেই বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক হন তিনি। এক ব্যাংকে চাকরি আর অন্য ব্যাংকে পরিচালক—এমন প্রশ্ন ওঠার পর তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দেন।

২০০৮ সালে তিনি যোগ দেন আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে। হন কনজ্যুমার ব্যাংকিংয়ের প্রধান। ভিজিটিং কার্ডে তিনি নিজের পরিচয় ‘এমডি, কনজ্যুমার ব্যাংকিং, আইসিবি গ্লোবাল হোল্ডিংস’ ব্যবহার করতেন।

তার আগেই চৌধুরী নাফিজ সরাফাত একটি মিউচুয়াল ফান্ডের লাইসেন্স নেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে। লাইসেন্সের জন্য প্রথমে নিজের নামে আবেদন করেছিলেন। যেহেতু ব্যক্তির নামে লাইসেন্স দেওয়া হয় না, তাই বিএসইসি সদস্য মোহাম্মদ আলী খানের পরামর্শে পরে তিনি কোম্পানি গঠন করেন। এ কোম্পানিরই নাম বাংলাদেশ রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, যাতে তাঁর মালিকানা ২৫ শতাংশ। বাকি মালিকানা অন্য অংশীদার হাসান ইমামের। বিএসইসিতে তখন থেকে যাঁরা চাকরি করতেন, তাঁরা এসব তথ্য জানিয়েছেন, যা নিশ্চিত করেন নাফিজ সরাফাতও।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ে থাকছে না আওয়ামী লীগ ও জোটসঙ্গীরা”

সার্বিক পরিস্থিতি, দেশ সংস্কার এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকাল ৩টায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় শুরু হবে এ মতবিনিময় সভা, যা রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। তবে মতবিনিময় সভায় থাকছে না আওয়ামী লীগ ও জোটসঙ্গীরা।

সূত্র জানিয়েছে, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, সংস্কার এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনা হবে। তবে আগের বৈঠকের এই বৈঠকেও আওয়ামী লীগসহ তাদের জোটের কোনো দল থাকবে না বলে জানা গেছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। বৈঠকে রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টাকে সংলাপে বসার আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা।

সূত্র জানায়, বৈঠকে আগামী দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন ইস্যুতে একটি রোডম্যাপ জনগণের সামনে পেশ করতে পারেন বলে বিএনপি প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আলোচনার পর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করবে সরকার। এরপর নির্বাচন সম্পন্ন করার রোডম্যাপ জনগণের সামনে পেশ করবেন প্রধান উপদেষ্টা।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “উচ্চ শিক্ষাকে নিচে নামিয়েছেন যারা”

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়কে। দেশে বিগত কয়েক দশকে উচ্চ শিক্ষায় পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত দেড় দশকে। দেশে এখন সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৬৩। এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৫৩টি। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১১০টি।

অভিযোগ আছে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য-রেজিস্ট্রারসহ উচ্চ পর্যায়ের নিয়োগগুলোর ক্ষেত্রে একাডেমিক যোগ্যতার চেয়ে দলীয় আনুগত্যই গুরুত্ব পেয়েছে সবচেয়ে বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের নীতিনির্ধারকদের খুশি করে এসব পদ বাগানোরও অভিযোগ আছে। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরেও উপাচার্যদের বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়ম থেকে শুরু করে অবকাঠামো দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। আবার শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম নিয়েও রয়েছে বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ। শিক্ষাবিদরা বলছেন, গত দেড় দশকে দেশে উচ্চ শিক্ষার মান না বেড়ে উল্টো অবনমন হয়েছে। শিক্ষার মানহীনতার পাশাপাশি হানাহানি-কোন্দল আর দুর্নীতিতে কলুষিত হয়েছে উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রম। এক্ষেত্রে প্রধানতম ভূমিকা রেখেছিলেন দেশের শিক্ষা খাতের নীতিনির্ধারক, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী শিক্ষকরা।

দেশে উচ্চ শিক্ষা খাতের বর্তমান দৈন্যদশার পেছনে সবচেয়ে দায়ীদের অন্যতম মনে করা হয় নুরুল ইসলাম নাহিদকে। নবম ও দশম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তার মেয়াদকালে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নিয়োগে দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনা ব্যাপকভাবে বাড়ে বলে অভিযোগ আছে। এমনকি বেশকিছু নিয়োগে সরাসরি মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের মধ্যে একটি ছিল সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার হিসেবে বদরুল ইসলাম শোয়েবের নিয়োগ।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “বাংলাদেশ যেভাবে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হতে পারে”

একটি ঐতিহাসিক মোড়ে এসে বাংলাদেশের ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছে।
যিনি ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে লৌহমুষ্টি দিয়ে দেশ শাসন করেছেন। নিরাপত্তা বাহিনী এবং তার দল আওয়ামী লীগের কর্মীদের নৃশংস দমন-পীড়ন ও পরবর্তী সহিংসতার ফলে শত শত মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়। হাসিনার পতনের পর এই মাসের শুরুতে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথগ্রহণ করে। ছাত্র আন্দোলনকারীরা সংঘাত-বিধ্বস্ত দেশে আশার আলো জাগিয়েছে। স্বাধীনতা লাভের অর্ধ শতাব্দী পরে বাংলাদেশের অনেকেই এটিকে ‘দ্বিতীয় মুক্তি’ বলে অভিহিত করছেন। বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের অনলাইনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এসব কথা বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের এই দ্বিতীয় মুক্তির সফলতা নিশ্চিত করতে এখন দরকার আমূল সংস্কার। তার জন্য গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায় বসে থাকা উচিত নয়। পুরনো ও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। তবে ভবিষ্যতে, নবনির্বাচিত সরকার তাদের সুবিধার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের চেষ্টা করতে পারে। মূল প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন এখন যেকোনো ভবিষ্যতের সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক পথ গঠনে সাহায্য করবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024