মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন

৮ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি আল মামুন

  • Update Time : বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০.২৬ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “আওয়ামী লীগের দেড় দশকে ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা”

সদ্য ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকার ও ঋণখেলাপিরা গত দেড় দশক অনেকটা হাতে হাত রেখে চলেছে। একদিকে ব্যাংক থেকে প্রভাবশালীদের বড় অঙ্কের ঋণ দিতে নানা সুবিধা দিয়েছে সাবেক এই সরকার, অন্যদিকে কাগজে–কলমে খেলাপি ঋণ কম দেখাতে নেওয়া হয়েছে একের পর এক নীতি। এর পরও সাড়ে ১৫ বছরে খেলাপি ঋণ নথিপত্রে যতটা বেড়েছে, তা আর্থিক খাতের ভয়ংকর এক চিত্র তুলে ধরছে। এই সময়ে শুধু ব্যাংক খাতেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। এই ঋণের বড় অংশই আদায় অযোগ্য।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন মাস শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। ফলে দেশের ব্যাংকগুলো থেকে বিতরণ করা ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশই এখন খেলাপি হয়ে পড়েছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে, তখন মোট খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। ফলে দলটি টানা তিন মেয়াদ ও সাত মাস ক্ষমতায় থাকার সময় খেলাপি ঋণ যতটা বেড়েছে, তা দিয়ে ৬টি পদ্মা সেতু বা ৫টির বেশি মেট্রোরেল নির্মাণ করা যেত।
ব্যাংক খাত–সংশ্লিষ্টরা অবশ্য মনে করেন, প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বেশি। কারণ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হিসাবে অবলোপন করা ও আদালতের আদেশে স্থগিত থাকা ঋণ বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর ব্যাংক খাত সংস্কারে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতিমধ্যে ৯টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে, যার বেশির ভাগের নিয়ন্ত্রণ ছিল এস আলম গ্রুপের হাতে। পরিস্থিতি উত্তরণে ব্যাংকগুলোকে নানা নির্দেশনাও দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফলে প্রকৃত খেলাপি ঋণের চিত্র আগামী দিনে বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

খেলাপি ঋণ উদ্ধারে করণীয় সম্পর্কে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঋণখেলাপিদের প্রশ্রয় দেওয়ায় খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। প্রকৃত খেলাপি ঋণ এখন ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি। আদালতের স্থগিতাদেশ দেওয়া ঋণ ও অবলোপন করা ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে আসেনি। ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সব ব্যাংকের শীর্ষ ১০ খেলাপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের সম্পত্তি জব্দ করে টাকা আদায় করতে হবে। না হলে টাকা আদায় হবে না, খেলাপিরা আইনি ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাবেন।

মইনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ব্যাংক খাত থেকে শুধু এস আলম গ্রুপ যে দুই লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, তার বড় অংশই পাচার হয়ে গেছে। এসব ঋণ খেলাপির তালিকায় আসেনি। এখনই তাদের সম্পদ ও শিল্প অধিগ্রহণ করে বিক্রির মাধ্যমে টাকা আদায়ে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। এতে হয়তো অর্ধেক টাকা আদায় হতে পারে।’

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “৮ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি আল মামুন”

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনকে ৮ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালেরন দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পুলিশ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিল, কিন্তু আদালত ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে উত্তরা থেকে আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান (অতিরিক্ত কমিশনার) রেজাউল করিম মল্লিক গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাবেক এই আইজিপির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশ পুলিশের ৩১তম মহাপরিদর্শক ছিলেন। ২০২২ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর থেকে তাকে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এর পূর্বে তিনি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র‌্যাব) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ছিলেন।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “সবচেয়ে বেশি অর্থের কাজ পেয়েছে ম্যাক্স তমা এনডিই”

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়ন বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেত পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো খাত। নতুন সড়ক, সেতু, রেলপথ নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। খাতটিতে বিভিন্ন বিদেশী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছেন স্থানীয় ঠিকাদাররাও। গত দেড় দশকে স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি টাকার কাজ করেছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও তমা কনস্ট্রাকশন। অন্যদিকে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরে শীর্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই)।

তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে থাকা অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো রানা বিল্ডার্স, হাসান টেকনো বিল্ডার্স, মোজাহার এন্টারপ্রাইজ, ময়েনউদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড, মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স ও মুহাম্মদ আমিনুল হক।

বাংলাদেশ রেলওয়েতে কাজ করা স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। লাকসাম-চিনকি আস্তানা, কাশিয়ানি-গোপালগঞ্জ রেলপথসহ রেলওয়ের একাধিক অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নের কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে রেলের চলমান দুটি প্রকল্পে কাজ করছে ম্যাক্স। এর মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে ৩ হাজার ৫০২ কোটি টাকার। আর আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ প্রকল্পে চীন ও বাংলাদেশের দুই প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে ৩ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকার কাজ করছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। অভিযোগ আছে বিগত সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়া ঠিকাদারদের অন্যতম তিনি। এ বিষয়ে জানতে গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করেও গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রেলওয়ে ছাড়াও সম্প্রতি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ২ হাজার ৩২০ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ পেয়েছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার। চীনের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে সড়কটির একাংশের নির্মাণকাজ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “পুনঃতদন্তে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উন্মোচিত হবে”

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পুনঃতদন্তে আসল রহস্য উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা হৃদয়বিদারক, এ ঘটনায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন ঘটেছে। পুনঃতদন্তে এই ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের কয়েকজন অফিসার মিলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছিলাম, আমাদের সৃষ্ট এই সেনাবাহিনী জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেছিলো, প্রত্যেকটি আন্দোলনে-সংগ্রামে জনগণের সাথী হয়ে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছিলো। কিন্তু সেই সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার জন্যই প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো এই বিডিআর হত্যাকাণ্ড। আমরা আশা করবো, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্মোহভাবে নিরপেক্ষভাবে এই ঘটনার তদন্ত করবেন এবং বিচারের কাজ দ্রুত শুরু করবেন।

তিনি বলেন, ওই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অনেক নিরীহ ব্যক্তিকে দণ্ডিত করা হয়েছে, অনেক দোষী ব্যক্তি শাস্তির আওতার বাইরে চলে গিয়েছে। তবুও আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তারা বিএনপি’র অনুরোধে এই ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার রহস্য উন্মোচনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমার জন্য অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য যে সকল দেশ এবং প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দালাল হিসেবে অপকর্মে লিপ্ত ছিল তাদের সকলের চেহারা উন্মোচিত হোক জনগণের স্বার্থে। আমরা একটা নতুন যাত্রা শুরু করতে চাই। আমাদের দল থেকে ইতিমধ্যে বলা হয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করবো।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024