মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

প্রতি গিগায় প্রাথমিক গড় ব্যয় প্রায় ৪ টাকা বিক্রি ২৫-৩৫ টাকায়

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮.৪০ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “বিক্ষোভে প্রায় ২০০ শিল্প কারখানায় উৎপাদন বন্ধ”

শ্রমিক ও বহিরাগতদের বিক্ষোভে সাভার-আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চল গতকাল বুধবারও অশান্ত ছিল। বিক্ষোভ ও হামলার কারণে ১৬৭টি তৈরি পোশাক কারখানায় গতকাল ছুটি ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে ওষুধ খাতেও অস্থিরতা চলছে। তাতে অন্তত ২৫টি বড় ওষুধ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ আছে। সব মিলিয়ে প্রায় দুইশ শিল্প কারখানায় বন্ধ আছে উৎপাদন।

শিল্পাঞ্চলের অস্থিরতা নিরসনে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা জরুরি বৈঠকে বসেন। পরে শ্রম ও কর্ম সংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে আজকে (গতকাল) থেকে অ্যাকশন শুরু হবে। যারা ইন্ধন দিচ্ছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে যে তথ্য রয়েছে, সেটার ভিত্তিতে তাদের (ইন্ধনদাতাদের) গ্রেপ্তার করা হবে। সেখানে যে জনদুর্ভোগ তৈরি হয়েছে, সেটার জন্য পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’

আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক অসন্তোষে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বহিরাগতদের উসকানি রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে সহায়তার আশ্বাস পাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ছুটি হওয়া সব পোশাক কারখানা চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর কার্যালয়ে গতকাল বিকেলে আশুলিয়ার কারখানা মালিক, সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “সাড়ে ৪শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে নেয়ার আগেই”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গুলিতে নিহতদের মধ্যে হাসপাতালে নেয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে ৪৩৯ জনের। এছাড়া সবমিলে ৬১৭ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা গেছে। যদিও তথ্য সংগ্রহের এই প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্যসচিব তারেকুল ইসলাম।

এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের স্মরণে একটি সৌধ তৈরির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “প্রতি গিগায় প্রাথমিক গড় ব্যয় প্রায় ৪ টাকা বিক্রি ২৫-৩৫ টাকায়”

দেশের সেলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের ব্যবসায়িক উল্লম্ফন ঘটিয়েছে মোবাইল ইন্টারনেটের ডাটা বিক্রিতে। বিগত কয়েক বছরে এ বাবদ বড় মুনাফা আদায় করে নিয়েছে অপারেটররা। প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতি গিগাবাইট মোবাইল ইন্টারনেট ডাটা সরবরাহে ব্যয় হচ্ছে সোয়া ২ থেকে সোয়া ৫ টাকার মতো। গড়ে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪ টাকায়। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ব্যয় ২ টাকা ২৬ পয়সা। আর রবি আজিয়াটার ব্যয় হয় ৫ টাকা ২৮ পয়সা। বাংলালিংকের আর্থিক বিবরণীতে ডাটার ব্যয়সংক্রান্ত বিশদ কোনো তথ্য প্রকাশ না হলেও খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রতি গিগাবাইট মোবাইল ডাটায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যয় রবির কাছাকাছি।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “৩ শতাধিক প্রভাবশালী দুদকের নজরে”

৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে অনেকটা নীরব ছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে সরকারের পালাবদলে রাতারাতি পাল্টে যায় সংস্থাটির কার্যক্রম। গত মাস থেকেই একের পর এক প্রভাবশালী ব্যক্তি যারা দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে গত ১৬ বছরে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এরই মধ্যে তিন শ’ জনের তালিকা ধরে এগুতে শুরু করেছে মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন আবদুল্লাহ কমিশন। দুই সপ্তাহের বেশি সময়ে ৭০ জনের বেশি সংখ্যক আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও পুলিশের কর্মকর্তাসহ সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ, ব্যাংক ও শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, অর্থ পাচার, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্য, সরকারি ও বেসরকারি জমি-সম্পত্তি দখল, লুটপাটসহ নানা অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।

সূত্রে জানা যায়, অনুসন্ধান শুরুর আগেই সংস্থাটির পক্ষ থেকে ১২টির বেশি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। সংস্থাটির গোয়েন্দা ইউনিটের তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায় থেকে অভিযোগ গ্রহণ করে ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো যাচাই বাছাই করে তাৎক্ষণিকভাবে কমিশন থেকে অনুসন্ধানের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।

কর্মকর্তারা জানান, কমিশনের বর্তমান তৎপরতার ধারাবাহিকতায় গত দুই সপ্তাহের বেশি সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী অর্ধশত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। এরই মধ্যে ২৬ জন সাবেক এমপি-মন্ত্রী ও প্রভাবশালী ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। টানা তিন মেয়াদে বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ব্যাংক, বীমা, শেয়ারবাজার, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, তৎকালীন সরকারের মেগা প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট, দুর্নীতি ও পাচারের ঘটনা ঘটে। যদিও এসব অভিযোগ বিভিন্ন সময় দুদকের কাছে এলেও সংস্থাটির চেয়ারম্যান/কমিশনাররা তাদের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেননি।

দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, সরকারি দল ক্ষমতায় থাকার কারণে নানা সময়ে দুদকে অভিযোগ আসলেও তা আমলে নিয়ে কাজ করতে পারেনি দুদক।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024