মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আমলে না নিয়ে এখনো ঢালাওভাবে চলছে মামলা-গ্রেপ্তার

  • Update Time : শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯.২০ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “আওয়ামী লীগের মেয়াদে লাইসেন্স পাওয়া ১ হাজার ৬৫৪টি অস্ত্র এখনো জমা পড়েনি”

মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে শুরু হওয়া যৌথ অভিযানে কত সংখ্যক অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার এবং বৈধ অস্ত্র জমা পড়ল, তা গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত জানাতে পারেনি পুলিশ সদর দপ্তর। তবে এ সময় প্রথম আলোর প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, দেশের আট বিভাগে ৯ হাজার ১৯১টি বৈধ অস্ত্র থানাগুলোতে জমা পড়েছে। বাকি ১ হাজার ৬৫৪টি জমাযোগ্য বৈধ অস্ত্র এখনো জমা দেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন ও পরদিন (৫ ও ৬ আগস্ট) ১১ ধরনের মোট ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র লুট হয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬৩টি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা ছিল সব ধরনের বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়। উদ্ধার তালিকার মধ্যে বিভিন্ন থানা থেকে লুট করা অস্ত্র যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে লাইসেন্স স্থগিত করা বৈধ অস্ত্রও। অস্ত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষে সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসারের সমন্বয়ে যৌথ আভিযানিক দল গঠন করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।
অভিযানের আগে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর বলেছে, সারা দেশে পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে ৫ হাজার ৮২৯টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র লুট হয়। এর মধ্যে এখনো ২ হাজার ৬৬টি অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। গোলাবারুদের মধ্যে লুট হয় বিভিন্ন বোরের ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪২টি গুলি, যার মধ্যে এখনো উদ্ধার হয়নি ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি। লুট করা ৩১ হাজার ৪৪টি কাঁদানে গ্যাসের শেলের মধ্যে ৮ হাজার ৯০৫টি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। সাউন্ড গ্রেনেড লুট করা হয়েছিল ৪ হাজার ৬৯২টি। এর মধ্যে এখনো ২ হাজার ৫৭৬টি উদ্ধার করা যায়নি।

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আমলে না নিয়ে এখনো ঢালাওভাবে চলছে মামলা-গ্রেপ্তার”

ঢালাও মামলা নেওয়া বা মামলা হলেও গ্রেপ্তারের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু থানাগুলো মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনা আমলে নিচ্ছে না। ফলে নানা ধরনের মামলা এখনো হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার বাইরেও অনেকে নিজের স্বার্থে অন্যকে হয়রানি করতে মামলা করছেন। পুলিশ কোনো ধরনের যাচাই বাছাই ছাড়া এসব মামলা নিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ব্যাবসায়িক স্বার্থের দ্বন্দ্বের কারণে একজন ব্যবসায়ী অন্য ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করছেন। যার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। পুলিশ এসব মামলা আমলেও নিচ্ছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে যা ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি জনশক্তি রপ্তানিকারকদের বিরুদ্ধেও এমন মামলা হচ্ছে। এতে রেমিট্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মামলা হওয়ার অর্থ যত্রতত্র গ্রেফতার নয়। অতি উত্সাহী ও স্বার্থান্বেষী মহল ঢালাওভাবে মামলা গ্রহণে পুলিশের ওপর চাপ দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে। উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে, সরকার যখন বিচারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার নিয়ে জাতিসংঘকে সত্য অনুসন্ধানে আহ্বান জানিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, ঠিক সেই সময় কিছু অতি উত্সাহী ও স্বার্থান্বেষী মহল আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে এবং প্রতিবাদের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘেরাও, জোরপূর্বক পদত্যাগ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বেআইনি তল্লাশি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঢালাওভাবে মামলা গ্রহণে পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ, আদালতে আসামিকে আক্রমণ করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সরকার সবাইকে আশ্বস্ত করতে চায়, মামলা হওয়ার অর্থ যত্রতত্র গ্রেফতার নয়। এসব মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার পরদিন অর্থাত্ বুধবার রাজধানীর পল্টন থানায় একজন জনশক্তি ব্যবসায়ী তার ব্যাবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী ১০০ জন জনশক্তি রপ্তানিকারকের বিরুদ্ধে টাকা পাচারের একটি মামলা করেছে। এছাড়া সরকারি জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান বোয়েসেলকেও এই মামলার আসামি করা হয়েছে। আফিয়া ওভারসিসের স্বত্বাধিকারী আলতাব খান এই মামলা করেছেন। তিনি নিজেও মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি করেন। আসামি করা হয়েছে যে ১০০ জন জনশক্তি রপ্তানিকারককে তারাও মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠান। ব্যাবসায়িক দ্বন্দ্বে এই মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অন্য ব্যবসায়ীরা। অথচ পুলিশ যাচাই বাছাই না করেই মামলাটি রেকর্ড করেছে। এই মামলায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অন্য ব্যবসায়ীরা।

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চুক্তি পর্যালোচনা করবে সরকার”

২০১০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন পাস করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। আইনটি পরিচিত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশেষ আইন’ হিসেবে। ওই সময়ের পর এ আইনের আওতায় করা চুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মেগা প্রকল্পসহ অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। চলমান রয়েছে আরো কয়েকটি। বর্তমানে এ আইনের আওতায় সম্পাদিত চুক্তিগুলো পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এজন্য হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি করা হয়েছে। এ নিয়ে গতকালই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। পরে মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীকে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য চার সদস্য হলেন বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হাসিব চৌধুরী, কেপিএমজি বাংলাদেশের সাবেক সিওও আলী আশরাফ, বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন এবং ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ফ্যাকাল্টি অব ল অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক মোশতাক হোসেন খান।
কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাতীয় কমিটি যেকোনো সূত্র থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় যেকোনো নথি নিরীক্ষা করতে পারবে। কমিটি সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শুনানিতে আহ্বান করতে পারবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর আওতায় এরই মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিগুলোয় সরকারের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়েছে কিনা তা নিরীক্ষা করবে। এ নিরীক্ষার ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রমের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে। কমিটিকে সাচিবিক ও আনুষঙ্গিক সহায়তা দেবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “শহীদি মার্চ থেকে বিচারের প্রত্যয়”

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পূর্তিতে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই মিছিলে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার লাখো মানুষ অংশ নেন। গতকাল বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্য থেকে মার্চটি শুরু হয়ে রাজধানীর নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, ধানমণ্ডি, সংসদ ভবন, ফার্মগেট, শাহবাগ, টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। কর্মসূচি শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ৫ দফা দাবি পেশ করা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে। শহীদি মার্চে জাতীয় পতাকা হাতে অংশ নেয়া ছাত্র-জনতা স্লোগানে স্লোগানে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার দাবি করেন। তারা বৈষম্যমুক্ত দেশ গঠনের দাবি এবং ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধেও নানা স্লোগান দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্য থেকে বিকাল ৩টায় এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে টিএসসি অভিমুখে রওনা দেয় শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন টিএসসি এলাকায়। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষও যোগ দেয় মিছিলে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024