শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার প্রয়োজন- অ্যাটর্নি জেনারেল

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬.৪৬ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট কর উল্লেখ করে এই অনুচ্ছেদের সংশোধনী জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, শাসন, আইন ও বিচার বিভাগের ভারসাম্য আনার জন্যই সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি তার এমন মতামত তুলে ধরেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতী সরকার এখন পর্যন্ত সব কাজ সংবিধান অনুসারে করছে। এই সরকার গঠনের আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে লিখিত বৈধতা দেওয়া হয়েছে।’ অন্তর্বতী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য যে ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে তাতে জন মানুষের আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার হোক। ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার হলে এতে ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা জেঁকে বসতে পারবে না।’সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়ে কোনও ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি যদি- (ক) উক্ত দল থেকে পদত্যাগ করেন, অথবা (খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহলে সংসদে তার আসন শূন্য হবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোনও নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হওয়ার অযোগ্য হবেন না।’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সাংবিধানিকভাবে বর্তমান অন্তবর্তী সরকার বৈধ। আইন মেনেই সবকিছু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হ্রাস এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ সংবিধান সংশোধন করা খুবই জরুরি বলেও মনে করেন তিনি। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নয়। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণেই কার্যত বাংলাদেশের আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। সংবিধান সংস্কার কমিশন বিষয়গুলো দেখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিচার বিভাগ ও সংবিধান সংস্কারে প্রধান উপদেষ্টা যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট শাসন ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রস্তাব সময়োপযোগী। প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ বিচারকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য বিচার বিভাগের সংস্কার জরুরি বলেও জানান মো. আসাদুজ্জামান।

রাজনৈতিক দল থেকে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া সংক্রান্ত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন তাহা হইলে সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সংসদ সদস্য ইবার অযোগ্য হইবেন না।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024