শিবলী আহম্মেদ সুজন ইস্ত্রি করা, রং করা ও সূচের কাজ করা যারা মসলিন ইস্ত্রি করত, তাদের ইস্ত্রিওয়ালা বলা হত; এদের সবাই মুসলমান ছিল। মসলিন কাগজের ভাঁজে রেখে ইস্ত্রি করা হত,
শিবলী আহম্মেদ সুজন সুতা সুবিন্যস্ত করা ও রিফু করা কাপড় ধোওয়া হলে তাকে সুবিন্যস্ত করার পালা। ধোওয়ার পরে অনেক সময় দেখা যেত যে মসলিনের সুতা অবিন্যস্ত হয়ে গেছে। যারা সুতাগুলি
শিবলী আহম্মেদ সুজন আনুষঙ্গিক কারিগরি তাঁতে মসলিন বুনা শেষ হলেই মসলিনের কাজ শেষ হতনা। এর পরে মসলিন রপ্তানী হওয়া পর্যন্ত আরও কয়েক স্তরের কাজ ছিল এবং এর প্রত্যেক স্তরের কাজের
ডিসেম্বরের এক সকালের গল্প। ভারতের একটি ছোট শহর উদ্ভারার একটি গেস্ট হাউস। পুনে থেকে সাত ঘন্টার পথ যেখানে সে অবস্থান করছিল সেই গেস্ট হাউসের বিছানাটা নিজের বাড়ির বিছানার মতো এতটা
শ্রী নিখিলনাথ রায় সেই সময়ে তাঁহার শোচনীয় অবস্থার কথা স্মরণ করিলে, পাষাণেরও হৃদয় বিগলিত হয়। তাঁহার প্রিয়তম স্বামী এক্ষণে ধরণীগর্ভে শায়িত; অন্যান্য আত্মীয় স্বজনও একে একে অনন্তপথে যাত্রা করিয়াছেন; আজ
শ্রী নিখিলনাথ রায় কিন্তু লুৎফ উন্নেসা তাহার প্রতিও বৃত্পাত না করিয়া, স্বামীর কণ্ঠ নিবারণার্থ অত্যন্ত ব্যাকুলা হইয়া উঠিলেন। এইরূপে তিন দিন তিন রাত্রি অনাহারে কাটাইয়া তাঁহারা রাজমহলের নিকট উপস্থিত হন।
শ্রী নিখিলনাথ রায় ভীষণ দ্বিপ্রহর রজনীতে বাঙ্গলা বিহার উড়িষ্যার অধিপতি ও অধীশ্বরী সামান্য যানে আরোহণ করিয়া, রাজধানী পরিত্যাগ করিলেন। নৈশান্ধকার তাঁহাদের মুখে আবরণ প্রদান করিল; মধ্যে মধ্যে শৃগাল ও পেচকের
শিবলী আহম্মেদ সুজন নারদ বাঁধা তারপর তাঁতের পিছন নারদের সাথে টানা সুতা বাঁধার পালা। সাধারণতঃ খোলা জায়গায়, বিশেষ করে টানা হোতানের স্থলে তাঁতের পিছলাধারগদের [endroll] সাথে টানা সুতা বাঁধার কাজ
শ্রী নিখিলনাথ রায় এইরূপ অবস্থায় তাঁহার হৃদয় কিরূপ অশান্তিকর হইয়া উঠিয়াছিল, তাহা সহজে অনুমান করা যাইতে পারে। কিন্তু, একজন মাত্র তাঁহার সেই দগ্ধহৃদয়ে শান্তিবারি প্রদান করিয়া তাঁহার চঞ্চল চিত্তকে কিয়ৎপরিমাণে
শিবলী আহম্মেদ সুজন কতগুলি বাঁশের ফলা গোল করে বেঁধে নিয়ে তার ভিতরে একটি বাঁশের কঞ্চি লাগিয়ে দেওয়া হয; কঞ্চির এক পাশে একটি নারিকেলের মালা গাঁথা থাকে। সুতা মোড়ান প্রথমে বাঁশের