শ্রী নিখিলনাথ রায় আর একজন বলিয়াছেন যে, “কোন নিরপেক্ষ ইংরেজ ৯ই ফেব্রুয়ারী হইতে ২৩ শে জুন পর্যন্ত সমস্ত ঘটনাবলীর বিচার করিতে বসিয়া, একথা অস্বীকার করিবেন না যে, ক্লাইবের নাম অপেক্ষা
শ্রী নিখিলনাথ রায় নিরপেক্ষ ব্যক্তি- মাত্রেই স্বীকার করিয়া থাকেন যে, পলাশীতে প্রকৃত যুদ্ধ ঘটে নাই; ইংরেজেরা একরূপ বিনাযুদ্ধেই পলাশীতে জয়লাভ করিয়াছিলেন। কিন্তু সেই জয়লাভে তাঁহাদিগকে জগতের মধ্যে অজেয় করিয়া তুলিয়াছে।
শ্রী নিখিলনাথ রায় তাঁহারা বলেন, ক্লাইব স্বীয় সৈন্যদিগকে আম্রকুঞ্জমধ্যে প্রবেশ করিতে আদেশ প্রদান করিয়া স্বয়ং শিকারমঞ্চে বিশ্রাম করিতেছিলেন। মোহনলাল রণে ভঙ্গ দিলে, নবাবসৈন্যগণ যখন প্রতিনিবৃত্ত হইতে আরম্ভ করে, ঠিক সেই
শ্রী নিখিলনাথ রায় সম্মুখে একটি যৎসামান্য বুরুজ নির্মাণ করিয়া, তাহাতে কামানসকল রক্ষা করা হইল। ক্লাইব বামভাগের সৈন্যদিগের কতক অংশকে অগ্রসর হইয়া ৪ শত হস্ত দূরে দুইটি ইষ্টকের পাঁজার পশ্চাদ্ভাগে অবস্থিতি
শ্রী নিখিলনাথ রায় সে স্থলে ভাগীরথীর উভয় মুখের ব্যবধান অর্দ্ধক্রোশেরও এক চতুর্থাংশমাত্র হইবে। রায়দুর্লভ হুগলী হইতে পলাশীতে আগমন পূর্ব্বক প্রথমে আম্রকুঞ্জের উত্তরে শিবির সন্নিবেশ করিয়াছিলেন। তাঁহার শিবিরের দক্ষিণ দিকের পরিখা
শ্রী নিখিলনাথ রায় নবাব দুর্লভরামকে সসৈন্যে পলাশীতে অবস্থান করিতে আদেশ দিলে, দুর্লভরাম আপনার সৈন্য লইয়া পলাশী-প্রান্তরে আসিয়া শিবির সন্নিবেশ করিলেন। এই সময়ে সিরাজের বিরুদ্ধে এক ভীষণ ষড়যন্ত্র চলিতেছিল। জগৎশেঠ, মীরজাফর,
শ্রী নিখিলনাথ রায় মাতৃষগা ও জ্যেষ্ঠতাতপন্থী ঘসেটা বেগম বরাবরই সিরাজের বিরুদ্ধাচরণে প্রহর ছিলেন; তিনি গোপনে ইংরেজদিগের সহিত যোগ দিয়া সিরাজের অনিষ্ট সাধনের ইচ্ছা করেন। ঘসেটার দেওয়ান রাজা রাজবল্লভের পুত্র কৃষ্ণবল্লভ
পর্ব-৩ সারাক্ষণ ডেস্ক রোহিনতন নারিমান, একজন পার্সি যাজক ও ইন্ডিয়ান সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারক স্বীকার করেন যে, বিয়ের এই পক্ষপাত রীতি পার্সিদের শেষ করে দেবে। “ এখন নর্থ আমেরিকাই হলো
শ্রী নিখিলনাথ রায় ভারতে এক্ষণে জাতিও নাই, জাতীয় ভাবও নাই। সে রাজপুত নাই, সে মহারাষ্ট্রীয় নাই, সে শিখও -নাই-সে ধৰ্ম্মপিপাসা নাই, সে স্বদেশভক্তি ও স্বজাতিপ্রীতিও নাই। পুরাকালের কথা বলিতেছি না,
শ্রী নিখিলনাথ রায় অন্যান্য ইউরোপীরগণও ভারতে প্রাধান্য লাভের যে আশায় উৎফুর হইতেছিল, পলাশীপ্রান্তরে সে আশাও বিকলাঙ্গী হইয়া দীর্ঘনিঃশ্বাস পরিত্যাগ করিতে করিতে ভারত হইতে চিরবিদায় লইতে বাধ্য হয়। পলাশী হইতেই প্রাচ্য