১২:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
অন্ধকার ভ্রমণের উত্থান: অতীতের ক্ষত দেখতেই কেন বাড়ছে পর্যটকের ভিড় সেনেগালে দুর্নীতি দমন না রাজনৈতিক প্রতিশোধ? ফায়ে–সোঙ্কো সরকারের কড়াকড়িতে বিতর্ক তুঙ্গে মরক্কোর দাখলা অ্যাটলান্টিক বন্দর: আফ্রিকা-সাহেল বাণিজ্যের নতুন প্রবেশদ্বার বিশ্বের ৯৯% চিপ প্রযুক্তির নায়ক: সেমিকন্ডাক্টর কিংবদন্তি চি-তাং সা’র অস্থি চীনে সমাহিত রাশিয়ায় নির্বাসন থেকে সিরীয় উপকূলে নতুন বিদ্রোহের ছক আঁকছেন আসাদের সাবেক গুপ্তচরপ্রধান ও কোটিপতি চাচাতো ভাই সপ্তাহের শুরুতেই শেয়ারবাজারে সূচকপতন ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৫১৬ জন ভর্তি যে ভারী বোঝা নামে না কখনও বিশ্বায়নের যুগে নেতার নতুন ভূমিকা মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভে আগারগাঁও সড়ক অবরোধ

যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ৩০টির বেশি দেশে বিস্তারের পরিকল্পনা

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৫৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 22

যুক্তরাষ্ট্র ৩০টির বেশি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বিস্তারের পরিকল্পনা করছে। মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোম জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন তালিকা চূড়ান্ত করতে কাজ করছেন, যা দেশটির অভিবাসন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।

দুবাই: যুক্তরাষ্ট্র ৩০টির বেশি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বিস্তৃত করার পরিকল্পনা করেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোম। এর মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম বিস্তৃত অভিবাসন নীতির পরিধি আরও বড় হতে যাচ্ছে।

ফক্স নিউজের দ্য ইনগ্রাহাম অ্যাঙ্গেল–এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নোম জানান, তালিকাটি ৩২টি দেশে পৌঁছাতে পারে এমন প্রতিবেদন তিনি নিশ্চিত না করলেও মোট সংখ্যা ৩০–এর বেশি হবে। তিনি বলেন, “আমি নির্দিষ্ট সংখ্যা বলব না, তবে এটি ৩০–এর বেশি, এবং প্রেসিডেন্ট দেশগুলোর তালিকা পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।”

গত জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এবং আরও সাত দেশের ভ্রমণকারীদের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করে একটি প্রস্তাবনায় স্বাক্ষর করেন। এর ভিত্তি হিসেবে তিনি “বিদেশি সন্ত্রাসী” ও অন্যান্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেন। এ নিষেধাজ্ঞা অভিবাসী এবং অ–অভিবাসী উভয় ধরনের ভ্রমণকারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, যার মধ্যে পর্যটক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীরাও অন্তর্ভুক্ত।

নোম নতুন করে কোন কোন দেশকে তালিকায় যোগ করা হতে পারে তা উল্লেখ করেননি। তবে তিনি বলেন, প্রশাসনের মানদণ্ড কঠোরই থাকবে। তাঁর ভাষায়, “যদি কোনও দেশে স্থিতিশীল সরকার না থাকে… যদি তারা আমাদের জানাতে না পারে ওই ব্যক্তিরা কারা এবং যাচাই–বাছাইয়ে সহায়তা করতে না পারে, তাহলে আমরা কেন সেই দেশ থেকে মানুষকে এখানে আসতে দেব?”

এর আগে রয়টার্স জানিয়েছিল, একটি অভ্যন্তরীণ স্টেট ডিপার্টমেন্ট নথি অনুযায়ী প্রশাসন অতিরিক্ত আরও ৩৬ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

তালিকা বিস্তৃত হলে এটি প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী কঠোর অবস্থানকে আরও জোরদার করবে। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলি করে হত্যার ঘটনার পর এ দমনে আরও গতি এসেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি একজন আফগান নাগরিক, যিনি ২০২১ সালে একটি পুনর্বাসন কর্মসূচির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, ওই কর্মসূচিতে যথাযথ যাচাই–বাছাইয়ের অভাব ছিল।

ঘটনার পরবর্তী দিনগুলোতে ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, তিনি তাঁর বর্ণনা অনুযায়ী “থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিজ” থেকে অভিবাসন “স্থায়ীভাবে স্থগিত” করবেন। তবে তিনি কোন কোন দেশকে বোঝাচ্ছেন তা স্পষ্ট করেননি।

ডিএইচএস কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্রাম্প তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেনের প্রশাসনকালে অনুমোদিত আশ্রয় আবেদন এবং ১৯ দেশের নাগরিকদের দেওয়া গ্রিন কার্ড পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প কঠোর অভিবাসন প্রয়োগকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তিনি বড় বড় শহরে ফেডারেল এজেন্ট মোতায়েন করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন। যদিও প্রশাসন বহিষ্কার কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেছে, বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়া পুনর্গঠনে এর আগে তেমন জোর দেওয়া হয়নি।

#travelban #USpolicy #immigrationnews #Sarakhon

জনপ্রিয় সংবাদ

অন্ধকার ভ্রমণের উত্থান: অতীতের ক্ষত দেখতেই কেন বাড়ছে পর্যটকের ভিড়

যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ৩০টির বেশি দেশে বিস্তারের পরিকল্পনা

০৪:৫৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র ৩০টির বেশি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বিস্তারের পরিকল্পনা করছে। মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোম জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন তালিকা চূড়ান্ত করতে কাজ করছেন, যা দেশটির অভিবাসন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।

দুবাই: যুক্তরাষ্ট্র ৩০টির বেশি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বিস্তৃত করার পরিকল্পনা করেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোম। এর মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম বিস্তৃত অভিবাসন নীতির পরিধি আরও বড় হতে যাচ্ছে।

ফক্স নিউজের দ্য ইনগ্রাহাম অ্যাঙ্গেল–এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নোম জানান, তালিকাটি ৩২টি দেশে পৌঁছাতে পারে এমন প্রতিবেদন তিনি নিশ্চিত না করলেও মোট সংখ্যা ৩০–এর বেশি হবে। তিনি বলেন, “আমি নির্দিষ্ট সংখ্যা বলব না, তবে এটি ৩০–এর বেশি, এবং প্রেসিডেন্ট দেশগুলোর তালিকা পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।”

গত জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এবং আরও সাত দেশের ভ্রমণকারীদের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করে একটি প্রস্তাবনায় স্বাক্ষর করেন। এর ভিত্তি হিসেবে তিনি “বিদেশি সন্ত্রাসী” ও অন্যান্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেন। এ নিষেধাজ্ঞা অভিবাসী এবং অ–অভিবাসী উভয় ধরনের ভ্রমণকারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, যার মধ্যে পর্যটক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীরাও অন্তর্ভুক্ত।

নোম নতুন করে কোন কোন দেশকে তালিকায় যোগ করা হতে পারে তা উল্লেখ করেননি। তবে তিনি বলেন, প্রশাসনের মানদণ্ড কঠোরই থাকবে। তাঁর ভাষায়, “যদি কোনও দেশে স্থিতিশীল সরকার না থাকে… যদি তারা আমাদের জানাতে না পারে ওই ব্যক্তিরা কারা এবং যাচাই–বাছাইয়ে সহায়তা করতে না পারে, তাহলে আমরা কেন সেই দেশ থেকে মানুষকে এখানে আসতে দেব?”

এর আগে রয়টার্স জানিয়েছিল, একটি অভ্যন্তরীণ স্টেট ডিপার্টমেন্ট নথি অনুযায়ী প্রশাসন অতিরিক্ত আরও ৩৬ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

তালিকা বিস্তৃত হলে এটি প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী কঠোর অবস্থানকে আরও জোরদার করবে। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলি করে হত্যার ঘটনার পর এ দমনে আরও গতি এসেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি একজন আফগান নাগরিক, যিনি ২০২১ সালে একটি পুনর্বাসন কর্মসূচির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, ওই কর্মসূচিতে যথাযথ যাচাই–বাছাইয়ের অভাব ছিল।

ঘটনার পরবর্তী দিনগুলোতে ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, তিনি তাঁর বর্ণনা অনুযায়ী “থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিজ” থেকে অভিবাসন “স্থায়ীভাবে স্থগিত” করবেন। তবে তিনি কোন কোন দেশকে বোঝাচ্ছেন তা স্পষ্ট করেননি।

ডিএইচএস কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্রাম্প তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেনের প্রশাসনকালে অনুমোদিত আশ্রয় আবেদন এবং ১৯ দেশের নাগরিকদের দেওয়া গ্রিন কার্ড পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প কঠোর অভিবাসন প্রয়োগকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তিনি বড় বড় শহরে ফেডারেল এজেন্ট মোতায়েন করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন। যদিও প্রশাসন বহিষ্কার কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেছে, বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়া পুনর্গঠনে এর আগে তেমন জোর দেওয়া হয়নি।

#travelban #USpolicy #immigrationnews #Sarakhon