হলিউড তারকা জর্জ ক্লুনি ও তাঁর স্ত্রী মানবাধিকার আইনজীবী আমাল আলামুদ্দিন ক্লুনি সন্তানদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রান্সের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ফ্রান্সের সরকারি গেজেটে প্রকাশিত ডিক্রিতে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর স্পষ্ট হয়ে ওঠে, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও পারিবারিক নিরাপত্তাই ছিল তাঁদের সিদ্ধান্তের কেন্দ্রে।
ফ্রান্সে কেন স্থায়ী টান
ক্লুনি আগেই ফরাসি সংস্কৃতি ও গোপনীয়তা আইনের প্রশংসা করেছিলেন। তাঁর ভাষায়, এখানে শিশুদের ছবি তোলার প্রবণতা নেই এবং বিদ্যালয়ের গেটে লুকিয়ে থাকা ক্যামেরার ভয়ও নেই। পরিবার হিসেবে এটিই তাঁদের প্রথম অগ্রাধিকার। ফরাসি ভাষা শেখার দীর্ঘ চেষ্টা সত্ত্বেও তিনি স্বীকার করেন, সংস্কৃতি ও সামাজিক শালীনতার দিকটি তাঁদের মন জয় করেছে।

ইউরোপের সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক
ইউরোপের সঙ্গে ক্লুনির সম্পর্ক নতুন নয়। বিয়ের আগেই ইতালির লেক কোমো অঞ্চলে তাঁর কেনা বাড়ি ছিল, পরে ইংল্যান্ডে ঐতিহাসিক এক বাড়িও নেন তাঁরা। ফ্রান্সে তাঁদের সম্পত্তি ডোমেইন দ্যু কানাদেল নামে পরিচিত একটি সাবেক দ্রাক্ষাক্ষেত্র, যা তাঁরা কিনেছিলেন দুই হাজার একুশ সালে। নিউইয়র্ক ও কেন্টাকিতেও তাঁদের সম্পত্তি রয়েছে, তবে গত এক দশকে লস অ্যাঞ্জেলেস ও মেক্সিকোর বাড়ি বিক্রি করা হয়েছে।
যেখানে পরিবার সবচেয়ে সুখী
আট বছর বয়সী যমজ সন্তানের বাবা-মা হিসেবে ক্লুনি জানান, ভ্রমণ নির্ভর জীবন থাকলেও ফ্রান্সের বাড়িটিই তাঁদের সবচেয়ে সুখের ঠিকানা। এখানকার শান্ত পরিবেশ, সামাজিক শিষ্টতা এবং আইনগত সুরক্ষা তাঁদের পারিবারিক জীবনে স্বস্তি এনেছে।

চলচ্চিত্রজীবন ও বহুমুখী সাফল্য
অভিনয়, পরিচালনা ও প্রযোজনায় সফল ক্লুনি দুইটি অস্কার জিতেছেন—একটি সহ-অভিনয়ের জন্য, আরেকটি প্রযোজক হিসেবে। চলচ্চিত্রের বাইরেও বিজ্ঞাপন ও ব্র্যান্ড সহযোগিতা থেকে উল্লেখযোগ্য আয় করেছেন তিনি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 








