০৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩৩) কলম্বিয়ার সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ সাকিব ও মাশরাফি ছাড়া পারফরম্যান্স, শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের পর পথ কি? রাষ্ট্রে কখন ও কেন সংখ্যালঘুরা সংগঠিত ধর্ষণের শিকার হয় গ্রামীণ গর্ভবতী নারীদের আয়রন ঘাটতি: অর্ধেকের বেশি রক্তস্বল্পতায় আরব আমিরাত, মরুভূমি শহরে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মুরাদনগরে সংখ্যালঘু নারী ধর্ষণ: ‘এরপর সরকার ক্ষমতায় থাকার যোগ্য নয়’—জাপা চেয়ারম্যান ইরান ও পাকিস্তান থেকে আফগানদের গণনির্বাসনে উদ্বেগ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্যে নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতের, প্রভাব কেমন হবে ইরানে চীনা বিনিয়োগ অনিশ্চিত, তবু মধ্যপ্রাচ্যের আহ্বান অটুট

জেনারেশন Z কেন সরকারি চাকরি ছাড়ছে?

  • Sarakhon Report
  • ০১:৩২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 13

আনা জিওন পার্ক

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কম বেতন, কঠোর কাজের পরিবেশ এবং অকার্যকর ব্যবস্থাপনা তরুণ প্রজন্মের কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। মিলেনিয়াল এবং জেনারেশন জেডের তরুণরা সরকারি চাকরির নিরাপত্তা এবং পেনশন সুবিধা সত্ত্বেও দ্রুত এই চাকরি থেকে সরে আসছে।

কম বেতন ও সাংগঠনিক সংস্কৃতির অমিল  

সরকারি চাকরির একসময়ের প্রধান আকর্ষণ ছিল নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীল পেনশন ব্যবস্থা। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশার সঙ্গে কম বেতন এবং কঠোর সাংগঠনিক সংস্কৃতি মানিয়ে নিতে পারছে না। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পাঁচ বছরের কম চাকরির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রায় ২৮,৯৩৪ জন সরকারি কর্মচারী চাকরি ছেড়েছেন।

নতুন কর্মচারী নিয়োগে সংকট

সরকারি চাকরিতে প্রতিযোগিতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ২০২৪ সালে গ্রেড ৯ জাতীয় পরীক্ষার প্রতিযোগিতা হার ছিল ২১.৮:১, যা ১৯৯২ সালের পর সর্বনিম্ন। গ্রেড ৭ পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের ৭৬.৭:১ থেকে ২০২৪ সালে ৪০.৬:১ এ নেমে এসেছে।

 বেতন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা  

তরুণ কর্মীদের ধরে রাখতে কোরিয়ার সরকার ২০২৫ সালের জন্য বেতন ৩ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এই বৃদ্ধি সামান্য মনে হতে পারে, এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য।

সাংগঠনিক সংস্কৃতির পরিবর্তন  

সরকার তরুণ কর্মীদের অভিজ্ঞতা এবং মতামত শুনতে একটি কমিটি গঠন করেছে, যা ১০টি সংস্কার সুপারিশ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

১. বাধ্যতামূলক ওভারটাইম নিষিদ্ধ করা
২. সুনির্দিষ্ট কাজের হস্তান্তর ব্যবস্থা
৩. কর্মঘণ্টার বাইরে অপ্রয়োজনীয় যোগাযোগ এড়িয়ে চলা
৪. শ্রদ্ধাপূর্ণ যোগাযোগ
৫. র‌্যাংক এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কাজের বরাদ্দ
৬. সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিম্নস্তরের কর্মচারীদের মতামত শোনা
৭. তরুণ কর্মচারীদের উপর অপ্রিয় কাজ চাপানো নিষিদ্ধ
৮. ছুটির পরিকল্পনায় উৎসাহ প্রদান
৯. নতুন দায়িত্ব যোগ হলে আগের কাজ পুনর্বিন্যাস
১০. প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা


প্রণোদনা প্রদান  

কিছু স্থানীয় সরকার নতুন প্রণোদনা ব্যবস্থা চালু করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ডেগু মেট্রোপলিটন সিটি পাঁচ থেকে দশ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ছুটির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ইয়ংইন সিটি নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য বিশেষ ছুটির ব্যবস্থা করেছে।

সরকারি চাকরির প্রতি তরুণদের আকর্ষণ পুনরুদ্ধারে এই ধরনের সংস্কারমূলক পদক্ষেপগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩৩)

জেনারেশন Z কেন সরকারি চাকরি ছাড়ছে?

০১:৩২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আনা জিওন পার্ক

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কম বেতন, কঠোর কাজের পরিবেশ এবং অকার্যকর ব্যবস্থাপনা তরুণ প্রজন্মের কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। মিলেনিয়াল এবং জেনারেশন জেডের তরুণরা সরকারি চাকরির নিরাপত্তা এবং পেনশন সুবিধা সত্ত্বেও দ্রুত এই চাকরি থেকে সরে আসছে।

কম বেতন ও সাংগঠনিক সংস্কৃতির অমিল  

সরকারি চাকরির একসময়ের প্রধান আকর্ষণ ছিল নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীল পেনশন ব্যবস্থা। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশার সঙ্গে কম বেতন এবং কঠোর সাংগঠনিক সংস্কৃতি মানিয়ে নিতে পারছে না। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পাঁচ বছরের কম চাকরির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রায় ২৮,৯৩৪ জন সরকারি কর্মচারী চাকরি ছেড়েছেন।

নতুন কর্মচারী নিয়োগে সংকট

সরকারি চাকরিতে প্রতিযোগিতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ২০২৪ সালে গ্রেড ৯ জাতীয় পরীক্ষার প্রতিযোগিতা হার ছিল ২১.৮:১, যা ১৯৯২ সালের পর সর্বনিম্ন। গ্রেড ৭ পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের ৭৬.৭:১ থেকে ২০২৪ সালে ৪০.৬:১ এ নেমে এসেছে।

 বেতন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা  

তরুণ কর্মীদের ধরে রাখতে কোরিয়ার সরকার ২০২৫ সালের জন্য বেতন ৩ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এই বৃদ্ধি সামান্য মনে হতে পারে, এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য।

সাংগঠনিক সংস্কৃতির পরিবর্তন  

সরকার তরুণ কর্মীদের অভিজ্ঞতা এবং মতামত শুনতে একটি কমিটি গঠন করেছে, যা ১০টি সংস্কার সুপারিশ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

১. বাধ্যতামূলক ওভারটাইম নিষিদ্ধ করা
২. সুনির্দিষ্ট কাজের হস্তান্তর ব্যবস্থা
৩. কর্মঘণ্টার বাইরে অপ্রয়োজনীয় যোগাযোগ এড়িয়ে চলা
৪. শ্রদ্ধাপূর্ণ যোগাযোগ
৫. র‌্যাংক এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কাজের বরাদ্দ
৬. সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিম্নস্তরের কর্মচারীদের মতামত শোনা
৭. তরুণ কর্মচারীদের উপর অপ্রিয় কাজ চাপানো নিষিদ্ধ
৮. ছুটির পরিকল্পনায় উৎসাহ প্রদান
৯. নতুন দায়িত্ব যোগ হলে আগের কাজ পুনর্বিন্যাস
১০. প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা


প্রণোদনা প্রদান  

কিছু স্থানীয় সরকার নতুন প্রণোদনা ব্যবস্থা চালু করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ডেগু মেট্রোপলিটন সিটি পাঁচ থেকে দশ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ছুটির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ইয়ংইন সিটি নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য বিশেষ ছুটির ব্যবস্থা করেছে।

সরকারি চাকরির প্রতি তরুণদের আকর্ষণ পুনরুদ্ধারে এই ধরনের সংস্কারমূলক পদক্ষেপগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।