প্রদীপ কুমার মজুমদার
নয়-১, পদ্ম, মহাপদ্ম, শঙ্খ, মকর, কচ্ছপ, মুকুন্দ, কুন্দ, নীল ও গর্ব এই নয়টি ধনভাণ্ডার কুবের ছিল সেইহেতু নিধ (ধন) -৯ ধরা হয়। বজ্র, বৈদুর্য, গোমেদ, পুষ্পরাগ, পদ্মরাগ, মরতক, নীল, মুক্তা ও প্রবাল এই নয়টি রত্নের কথা প্রাচীন শাস্ত্রকাররা জানতেন বলে রত্ন-৯ ধরতেন। অবশ্য আগেই বলেছি জৈনশাস্ত্রে রত্ন-৩ ধরা হয়।
মগধরাজে নয়জন নন্দ বাস করতেন। সেইজন্য নন্দ ১ ধরা হয়। মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি, রাহু, কেতু, সূর্য, ও চন্দ্র এই নয়টি গ্রহের কথা প্রাচীন শাস্ত্রকারের। বলে গিয়েছেন। সেইজন্য গ্রহ-৯ ধরা হয়। বিষ্ণু নয়জন ছিলেন সেইজন্য বিষ্ণু -১ ধরা হয়। জৈনরা পদার্থের নয়টি শ্রেণী বিভাগ করেছেন।
সেইহেতু তাঁরা নয় এর পরিবর্তে পদার্থ লিখে থাকেন। শ্রুতি ও পুরাণে স্বর্গের সংখ্যা নিয়ে মতভেদ দেখা যায়। তবে তৈত্তিরীয় ও ঐতরেয় ব্রাহ্মণে বলা হয়েছে-“নব স্বর্গ লোকাঃ”। অর্থাৎ স্বর্গলোক নয়টি। স্বর্গের বিপরীত হচ্ছে নরক। হয়তো এটির উপর ভিত্তি করে নরক-১ অনেকক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকবে। শরীরের নয়টি ছিদ্র থাকায় রক্ত ৯ ধরা হয়।
অনন্তদর্শন, অনন্তজ্ঞান, ক্ষায়কসম্য, কত্বক্ষায়কচরিত্র, অনন্তদান, অনন্তলাভ, অনন্তভোগ, অনন্তপভোগ এবং অনন্তবীর্য এই নয়টি শক্তির কথা জৈনশাস্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। সেইজন্য লব্ধ-১ ধরা হয়।
এ ছাড়াও ৯, এর পরিবর্তে নিম্নলিখিত নাম সংখ্যাগুলি ধরা হয়: অঙ্ক, ছিদ্র, দ্বার, গো, উপেন্দ্র, কেশব, দুর্গা, তাক্ষ্যধ্বজ, লব্ধি প্রভৃতি।
(চলবে)