শিক্ষক সমাবেশে পুলিশের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ ব্যবহার করেছে। রবিবার দুপুরে সংঘটিত এ ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষককে আটক করা হলেও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তিন দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর ব্যানারে শিক্ষকরা সকাল ৮টা থেকে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল মৌলিক বেতনের ওপর ২০ শতাংশ গৃহভাড়া ভাতা বাস্তবায়ন।
দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনকারীদের একাংশ শহীদ মিনারের দিকে যাত্রা ঘোষণা করে, অপর একটি অংশ সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রার ঘোষণা দেয় এবং কিছু শিক্ষক প্রেসক্লাবের সামনেই অবস্থান বজায় রাখেন।
উত্তেজনা ও সংঘর্ষের পরিস্থিতি
প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর পুলিশ জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই অভিযানটি বিকেল ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে শুরু হয়।
রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, “বেশিরভাগ শিক্ষক দুপুরের দিকে শহীদ মিনারের দিকে চলে গেলেও কিছু অংশ প্রেসক্লাব এলাকায় থেকে যায়। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বাধ্য হয়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।”
আন্দোলনকারীদের অঙ্গীকার
এর আগে শিক্ষকরা ঘোষণা দেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবির বিষয়ে লিখিত প্রজ্ঞাপন না পাওয়া পর্যন্ত তারা শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবেন না।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে সংগঠনের সদস্য সচিব প্রিন্সিপাল দেলোয়ার হোসেন আজিজি বলেন, “সরকারি নিশ্চয়তা ছাড়া আন্দোলন শেষ হবে না। আমরা কেবল
লিখিত প্রজ্ঞাপন পাওয়ার পরই কর্মসূচি প্রত্যাহার করব।”
তবে আন্দোলনকারীদের মধ্যে পরবর্তী করণীয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়—কেউ শহীদ মিনারের দিকে, আবার কেউ সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার পক্ষে মত দেন।
শিক্ষক সমাজের অভিযোগ
শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, অতীতে সরকার বারবার আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত তাদের ২০ শতাংশ গৃহভাড়া ভাতা কার্যকর করা হয়নি। তারা বলেন, দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
#শিক্ষকআন্দোলন #জাতীয়প্রেসক্লাব #ঢাকাপুলিশ #জলকামান #সাউন্ডগ্রেনেড #এমপিওশিক্ষক #সরকারিনীতিবিতর্ক #সারাক্ষণরিপোর্ট