১০:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
রাজেশপুর শালবন: কুমিল্লার সবুজ হৃদয়ে প্রকৃতির নিঃশব্দ সিম্ফনি রাশিয়ার হুমকির মুখে পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষা জোরদার — সামরিক ব্যয়ে জিডিপির প্রায় ৫ শতাংশে পৌঁছেছে ওয়ারশ সৌদি আইনপ্রণয়ন: স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৬) আনন্যা পান্ডের সোনালি আভা: মানিশ মলহোত্রার উৎসব-রূপ আরামকো: সৌদি আরবের রত্ন এখন জনগণের হাতে এইচএসসি ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন ১৭ অক্টোবর থেকে মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্য সিএমএইচে নারীদের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ২৩২—ব্যাটিংয়ের পর এবার রক্ষণে স্পিন ভরসা মুন্সীগঞ্জে বাস–অটোরিকশা সংঘর্ষে প্রবীণ দম্পতি নিহত, আহত ৩

টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে নেওয়ার ‘গুজব’ ঘিরে বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ অর্ধঘণ্টা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলাকে ঢাকা বিভাগ থেকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্তির একটি ‘গুজব’ ছড়িয়ে পড়ার পর আক্রোশে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। সোমবার সকালে যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তের গোলচত্বর এলাকায় ছাত্র–জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ হয় এবং প্রায় আধা ঘণ্টা ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ থাকে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি ‘ভিত্তিহীন’ বলে জানানো হয়েছে।

গুজবের উৎস ও প্রশাসনের অবস্থান

স্থানীয়দের দাবি, শনিবার রাত থেকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের নামে স্বাক্ষরবিহীন একটি প্রতিবেদনের অনুলিপি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকে, যেখানে টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে যুক্ত করার কথা দেখানো হয়। তবে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, টাঙ্গাইলকে অন্য বিভাগে নেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনো সরকারি তথ্য নেই—এটি গুজব।

মাঠে ক্ষোভ, সড়কে অবরোধ

গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর রোববার থেকে শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় আলোচনা-উদ্বেগ বাড়তে থাকে। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যমুনা সেতুর পূর্ব পাশে বিক্ষোভ হয়; ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল আংশিক বন্ধ থাকে। পরে আলোচনার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

সামাজিক মাধ্যমের প্রতিক্রিয়া

কবি অনার্য অধীরের ভাষ্য, টাঙ্গাইলের ৪২ লাখ মানুষের একজনও ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্তি চান না। আয়ারল্যান্ডপ্রবাসী সংগীতশিল্পী ফরিদ আহমেদ লিখেছেন, ‘টাঙ্গাইল বিভাগ চাই; ময়মনসিংহ হবে টাঙ্গাইল বিভাগের জেলা।’ স্থানীয় সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবীরাও স্ট্যাটাসে টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগেই রাখার দাবি জানান।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও স্মারকলিপি

আত্মগোপনে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ ফেসবুক পোস্টে প্রস্তাবটি বাতিলের আহ্বান জানান। জেলা আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা টাঙ্গাইলকে ঢাকাতেই রাখার দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেন। বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতারা বিষয়টিকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন।

২০১৪ সালের স্মৃতি ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সতর্কতা

২০১৪ সালে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনের সময় টাঙ্গাইলকে সেখানে যুক্ত করার চেষ্টা হলে জেলায় ব্যাপক আন্দোলন হয়েছিল; পরে সরকার সরে আসে। টাঙ্গাইল নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি জানায়, ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগ এলে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

#টাঙ্গাইল #ময়মনসিংহ #ঢাকা_বিভাগ #গুজব #বিক্ষোভ #মহাসড়ক_অবরোধ #যমুনা_সেতু #জেলা_প্রশাসন #সামাজিকযোগাযোগমাধ্যম #স্মারকলিপি #আইনশৃঙ্খলা #বাংলাদেশ #জাতীয়সংবাদ #Breaking #DhakaDivision

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজেশপুর শালবন: কুমিল্লার সবুজ হৃদয়ে প্রকৃতির নিঃশব্দ সিম্ফনি

টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে নেওয়ার ‘গুজব’ ঘিরে বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ অর্ধঘণ্টা

০৭:২২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলাকে ঢাকা বিভাগ থেকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্তির একটি ‘গুজব’ ছড়িয়ে পড়ার পর আক্রোশে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। সোমবার সকালে যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তের গোলচত্বর এলাকায় ছাত্র–জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ হয় এবং প্রায় আধা ঘণ্টা ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ থাকে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি ‘ভিত্তিহীন’ বলে জানানো হয়েছে।

গুজবের উৎস ও প্রশাসনের অবস্থান

স্থানীয়দের দাবি, শনিবার রাত থেকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের নামে স্বাক্ষরবিহীন একটি প্রতিবেদনের অনুলিপি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকে, যেখানে টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে যুক্ত করার কথা দেখানো হয়। তবে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, টাঙ্গাইলকে অন্য বিভাগে নেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনো সরকারি তথ্য নেই—এটি গুজব।

মাঠে ক্ষোভ, সড়কে অবরোধ

গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর রোববার থেকে শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় আলোচনা-উদ্বেগ বাড়তে থাকে। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যমুনা সেতুর পূর্ব পাশে বিক্ষোভ হয়; ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল আংশিক বন্ধ থাকে। পরে আলোচনার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

সামাজিক মাধ্যমের প্রতিক্রিয়া

কবি অনার্য অধীরের ভাষ্য, টাঙ্গাইলের ৪২ লাখ মানুষের একজনও ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্তি চান না। আয়ারল্যান্ডপ্রবাসী সংগীতশিল্পী ফরিদ আহমেদ লিখেছেন, ‘টাঙ্গাইল বিভাগ চাই; ময়মনসিংহ হবে টাঙ্গাইল বিভাগের জেলা।’ স্থানীয় সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবীরাও স্ট্যাটাসে টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগেই রাখার দাবি জানান।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও স্মারকলিপি

আত্মগোপনে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ ফেসবুক পোস্টে প্রস্তাবটি বাতিলের আহ্বান জানান। জেলা আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা টাঙ্গাইলকে ঢাকাতেই রাখার দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেন। বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতারা বিষয়টিকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন।

২০১৪ সালের স্মৃতি ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সতর্কতা

২০১৪ সালে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনের সময় টাঙ্গাইলকে সেখানে যুক্ত করার চেষ্টা হলে জেলায় ব্যাপক আন্দোলন হয়েছিল; পরে সরকার সরে আসে। টাঙ্গাইল নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি জানায়, ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগ এলে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

#টাঙ্গাইল #ময়মনসিংহ #ঢাকা_বিভাগ #গুজব #বিক্ষোভ #মহাসড়ক_অবরোধ #যমুনা_সেতু #জেলা_প্রশাসন #সামাজিকযোগাযোগমাধ্যম #স্মারকলিপি #আইনশৃঙ্খলা #বাংলাদেশ #জাতীয়সংবাদ #Breaking #DhakaDivision