শিবলী আহম্মেদ সুজন কতগুলি বাঁশের ফলা গোল করে বেঁধে নিয়ে তার ভিতরে একটি বাঁশের কঞ্চি লাগিয়ে দেওয়া হয; কঞ্চির এক পাশে একটি নারিকেলের মালা গাঁথা থাকে। সুতা মোড়ান প্রথমে বাঁশের
শ্রী নিখিলনাথ রায় সিরাজ-জননী ওয়াট্স সাহেবের পত্নী ও পুত্রকন্তাদিগকে নিজ মহলে ৩৭ দিবস পর্যান্ত সযত্নে রক্ষা করেন। তাহার পর লুৎফ উন্নেসার সহিত পরামর্শ করিয়া তাঁহাদিগকে জলপথে চন্দন নগরের ফরাসী শাসন-
শিবলী আহম্মেদ সুজন অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখেছেন যে মসলিনে ব্যবহৃত সুতার সবটুকু সমপরিমাণ মসৃণ ছিলনা, এবং ম্যানচেস্টারের কলে প্রস্তুত সুতার চেয়ে সূক্ষ্মতর হলেও ঐ সুতার চেয়ে অমসৃণ ছিল।
শ্রী নিখিলনাথ রায় প্রসঙ্গক্রমে একটি কথা বলিয়া রাখি, লুৎফ উন্নেসা অথবা ফৈজী কেহই সিরাজের বিবাহিতা স্ত্রী নহেন। সিরাজের বিবাহিতা স্ত্রীর নাম ওমদাৎ উন্নেসা। তিনি কোন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির কন্যা; তাঁহার পিতার
শিবলী আহম্মেদ সুজন আলোচনায় দেখা যায় যে ঢাকাই মসলিন ঢাকায় উৎপাদিত কার্পাস দ্বারা তৈরী হত এবং ঢাকার দক্ষ কাটুনীরা ঢাকার কার্পাসকে সূক্ষ্ম সুতায় পরিণত করত। প্রশ্ন উঠে ঢাকাই মসলিনের সূক্ষ্মতা
শ্রী নিখিলনাথ রায় তদীয় অলোকসামান্ত সৌন্দর্য্য দেশময় রাষ্ট্র হইয়া পড়ে। মুর্শিদাবাদে এইরূপ প্রবাদ প্রচলিত ছিল যে, তৎকালে ফৈজীর ন্যায় সুন্দরী সমগ্র ভারতবর্ষে দৃষ্ট হইত না। তাহার উত্তপ্তকাঞ্চনবর্ণ, কৃশ অঙ্গযষ্টি ও
শিবলী আহম্মেদ সুজন সুতা তৈরীর পালা। সাধারণতঃ মেয়েলোকেরাই সুতা কাটত। সুতা কাটার জন্য চারটি জিনিসের দরকার ছিল- ১। একটি টাকু- এটি লম্বায় প্রায় এক হাত বা তারও কিছু কম বা
শিবলী আহম্মেদ সুজন বীজ বপনের প্রণালীও মোটামুটি ভাবে নির্দিষ্ট ছিল। জমি বেশ গভীর ভাবে চাষ করার পর জমিতে প্রায় দেড় ফুট অন্তর আড়াআড়িভাবে রেখা টানা হত এবং ঐ রেখায় প্রতি
শ্রী নিখিলনাথ রায় প্রারম্ভে সাধারণতঃ ঐশ্বর্য্যশালী লোকের সন্তানগণ যেরূপ বিকৃত হয়, সিরাজেরও ‘সেই রূপ বিকৃতি ঘটিয়াছিল; কিন্তু ইহা জানা আবশ্যক যে, নবাব আলিবর্দ্দদী খাঁর সে বিষয়ে সবিশেষ দৃষ্টি ছিল। যাঁহারা
শিবলী আহম্মেদ সুজন যে কোন বস্ত্র বুননের তিনটি স্তর আছে-কার্পাস সংগ্রহ, সুতা কাটা এবং কাপড় বোনা। ঢাকাই মসলিনের বৈশিষ্ট্য এই ছিল যে, কার্পাস উৎপাদন থেকে আরম্ভ করে কাপড় তৈরী হওয়া