০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
রিওতে তালিপট পাম গাছ ফুলে উঠছে প্রথম এবং এক বার মাত্র আপনার অডিও বুক এ সিজনে এইবার সস্তা হতে পারে, প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের কারণে প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৩৫) মাইকেল ওভিটজ: এক প্রাক্তন হলিউড টাইটানের সংগ্রহশালা-স্টাইলের বাসা নেটফ্লিক্সের সঙ্গে একচেটিয়া আলোচনায় ওয়ার্নার ব্রোস ডিসকভারির স্টুডিও বিক্রি ডিসেম্বরে বাজারে আসছে অ্যামাজনের নতুন কালার কিণ্ডল স্ক্রাইব কঠিন অর্থনীতির মধ্যেও আলো ঝলমলে বুখারেস্টের ক্রিসমাস মার্কেট স্বপ্ন, পুরাণ ও কূটনীতি: শিল্পে নতুন সেতু গড়ছে ভারত–রাশিয়া ভারত বদলেছে, কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট: পুতিন যুক্তরাষ্ট্রে H-1B ভিসায় সোশ্যাল মিডিয়া পর্যালোচনা আরও কঠোর হচ্ছে

ঝুঁকিপূর্ণ-অতিঝুঁকিপূর্ণ কোনো ভবন নিয়েই ব্যবস্থা নেই

সমকালের একটি শিরোনাম “ঝুঁকিপূর্ণ-অতিঝুঁকিপূর্ণ কোনো ভবন নিয়েই ব্যবস্থা নেই”

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ‘আরবান রেজিলিয়েন্স’ প্রকল্পের আওতায় জরিপ চালিয়ে ২০২৩ সালের মার্চে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ভবনকে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেই সময় সাত দিনের মধ্যে ভবন খালি করে তিন মাসের মধ্যে ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়। তবে প্রায় আড়াই বছর পার হলেও এসব ভবন এখনও দাঁড়িয়ে আছে বহাল তবিয়তে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে চিঠি চালাচালিতেই আটকা ভবন ভাঙার কার্যক্রম।

শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চার ভবনই নয়, রাজধানীর সরকারি সংস্থার এ রকম ৪২ ভবন অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকায় নাম উঠলেও সেগুলো ভাঙার ব্যাপারে কোনো হেলদোল নেই কারোর।

রাজউক সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে দুই হাজার ৭০৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২০৭ হাসপাতাল, ৩৬ থানা ও ৩০৪ ভবনের মধ্যে জরিপ চালানো হয়। জরিপে ১৮৭ ভবনকে ভূমিকম্প প্রতিরোধী (রেট্রোফিটিং) করা এবং ৪২টি ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়। সেই তালিকায় ছিল বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিজি হাসপাতাল) তিনটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, মাদ্রাসা বোর্ডের তিনটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্মাণ করা ৩০টি ভবন।

রেট্রোফিটিংয়ের তালিকায় ছিল ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির তিনটি, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চারটি, মাদ্রাসা বোর্ডের ছয়টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ ভবন: ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন”

রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলার সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪৪টি ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবন ৭ দিনের মধ্যে খালি করে সিলগালা কিংবা ভেঙে ফেলতে দেড় বছর আগে নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। রাজউকের সুপারিশের ভিত্তিতে জারি করা নির্দেশনাটি এখনো শুধু কাগজেই রয়ে গেছে। এতে হাজারো শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে—বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশ ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। গত দুই দিনে চারটি ভূমিকম্পে দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অতি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকার ৪৪টি ভবন দ্রুত অচল না করলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

সংশ্লিষ্ট একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কেউ কেউ বলছেন, মাউশি ভবন সিলগালা অথবা ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দিলেও তা করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানোর বিকল্প কোনো উপায় নির্ধারণ না হওয়ায় নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। আবার কেউ কেউ বলছেন, এমন নির্দেশনার বিষয়টি তাঁরা এখনো জানেন না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাউশির এ-সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয় ২০২৪ সালের ৩ এপ্রিল। এতে বলা হয়, রাজউকের তালিকায় থাকা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবনগুলো মজবুত করতে হবে। ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ৪৪টি ভবন ৭ দিনের মধ্যে খালি করে সিলগালা করতে হবে অথবা ভেঙে ফেলতে হবে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে ইসিকে সরকারের চিঠি”

একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করা ইসির জন্য চ্যালেঞ্জিং বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘গণভোটের প্রস্তুতি নিতে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে।’

রাজধানীর গুলশানে গতকাল এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনসের আয়োজনে এক কর্মশালায় সিইসি এসব কথা বলেন।

একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করা চ্যালেঞ্জ হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট করার মতো এমন মুখোমুখি পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি পূর্ববর্তী কোনো নির্বাচন কমিশনকে।’

সিইসি আরো বলেন, ‘আগের নির্বাচন কমিশনকে এতটা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়নি, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে করতে হচ্ছে। কারণ আইন মেনেই সব প্রক্রিয়া হচ্ছে। আমাদের দ্বিতীয় কোনো অপশন নেই।’

গণভোটের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আইন না হওয়া পর্যন্ত কমিশন এ বিষয়ে কাজ করতে পারবে না। আগামী সপ্তাহেই গণভোট আইনটি পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইন পাস হলে সেই আইন অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুতি ও সিদ্ধান্ত নেয়া শুরু করবে।’

এদিকে গতকাল বিকালে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, গণভোট করা ইসির দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করার জন্য বলা হয়েছে।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের পক্ষে লড়বেন জেড আই খান পান্না”

আওয়ামী শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তারেক সিদ্দিকীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে এই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনাসহ অন্য পলাতকদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় সেনাবাহিনীর ১৩ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এ দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামি রয়েছেন ৩০ জন।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

রিওতে তালিপট পাম গাছ ফুলে উঠছে প্রথম এবং এক বার মাত্র

ঝুঁকিপূর্ণ-অতিঝুঁকিপূর্ণ কোনো ভবন নিয়েই ব্যবস্থা নেই

১০:০০:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “ঝুঁকিপূর্ণ-অতিঝুঁকিপূর্ণ কোনো ভবন নিয়েই ব্যবস্থা নেই”

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ‘আরবান রেজিলিয়েন্স’ প্রকল্পের আওতায় জরিপ চালিয়ে ২০২৩ সালের মার্চে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ভবনকে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেই সময় সাত দিনের মধ্যে ভবন খালি করে তিন মাসের মধ্যে ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়। তবে প্রায় আড়াই বছর পার হলেও এসব ভবন এখনও দাঁড়িয়ে আছে বহাল তবিয়তে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে চিঠি চালাচালিতেই আটকা ভবন ভাঙার কার্যক্রম।

শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চার ভবনই নয়, রাজধানীর সরকারি সংস্থার এ রকম ৪২ ভবন অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকায় নাম উঠলেও সেগুলো ভাঙার ব্যাপারে কোনো হেলদোল নেই কারোর।

রাজউক সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে দুই হাজার ৭০৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২০৭ হাসপাতাল, ৩৬ থানা ও ৩০৪ ভবনের মধ্যে জরিপ চালানো হয়। জরিপে ১৮৭ ভবনকে ভূমিকম্প প্রতিরোধী (রেট্রোফিটিং) করা এবং ৪২টি ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়। সেই তালিকায় ছিল বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিজি হাসপাতাল) তিনটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, মাদ্রাসা বোর্ডের তিনটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্মাণ করা ৩০টি ভবন।

রেট্রোফিটিংয়ের তালিকায় ছিল ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির তিনটি, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চারটি, মাদ্রাসা বোর্ডের ছয়টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ ভবন: ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন”

রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলার সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪৪টি ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবন ৭ দিনের মধ্যে খালি করে সিলগালা কিংবা ভেঙে ফেলতে দেড় বছর আগে নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। রাজউকের সুপারিশের ভিত্তিতে জারি করা নির্দেশনাটি এখনো শুধু কাগজেই রয়ে গেছে। এতে হাজারো শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে—বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশ ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। গত দুই দিনে চারটি ভূমিকম্পে দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অতি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকার ৪৪টি ভবন দ্রুত অচল না করলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

সংশ্লিষ্ট একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কেউ কেউ বলছেন, মাউশি ভবন সিলগালা অথবা ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দিলেও তা করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানোর বিকল্প কোনো উপায় নির্ধারণ না হওয়ায় নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। আবার কেউ কেউ বলছেন, এমন নির্দেশনার বিষয়টি তাঁরা এখনো জানেন না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাউশির এ-সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয় ২০২৪ সালের ৩ এপ্রিল। এতে বলা হয়, রাজউকের তালিকায় থাকা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবনগুলো মজবুত করতে হবে। ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ৪৪টি ভবন ৭ দিনের মধ্যে খালি করে সিলগালা করতে হবে অথবা ভেঙে ফেলতে হবে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে ইসিকে সরকারের চিঠি”

একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করা ইসির জন্য চ্যালেঞ্জিং বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘গণভোটের প্রস্তুতি নিতে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে।’

রাজধানীর গুলশানে গতকাল এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনসের আয়োজনে এক কর্মশালায় সিইসি এসব কথা বলেন।

একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করা চ্যালেঞ্জ হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট করার মতো এমন মুখোমুখি পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি পূর্ববর্তী কোনো নির্বাচন কমিশনকে।’

সিইসি আরো বলেন, ‘আগের নির্বাচন কমিশনকে এতটা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়নি, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে করতে হচ্ছে। কারণ আইন মেনেই সব প্রক্রিয়া হচ্ছে। আমাদের দ্বিতীয় কোনো অপশন নেই।’

গণভোটের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আইন না হওয়া পর্যন্ত কমিশন এ বিষয়ে কাজ করতে পারবে না। আগামী সপ্তাহেই গণভোট আইনটি পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইন পাস হলে সেই আইন অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুতি ও সিদ্ধান্ত নেয়া শুরু করবে।’

এদিকে গতকাল বিকালে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, গণভোট করা ইসির দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করার জন্য বলা হয়েছে।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের পক্ষে লড়বেন জেড আই খান পান্না”

আওয়ামী শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তারেক সিদ্দিকীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে এই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনাসহ অন্য পলাতকদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় সেনাবাহিনীর ১৩ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এ দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামি রয়েছেন ৩০ জন।