আধুনিক সেমিকন্ডাক্টর বিপ্লবের অন্যতম স্থপতি চি-তাং সা’র অস্থি যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে আনা হয়েছে। তাঁর উদ্ভাবনেই আজকের প্রায় সব মাইক্রোচিপ প্রযুক্তির ভিত্তি গড়ে উঠেছে।
সেমিকন্ডাক্টর বিপ্লবের পথিকৃৎ
চি-তাং সা এবং তাঁর সহকর্মী ফ্র্যাঙ্ক ওয়ানলাস যৌথভাবে কমপ্লিমেন্টারি মেটাল–অক্সাইড সেমিকন্ডাক্টর (সিএমওএস) ট্রানজিস্টরের ধারণা দেন। এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতের স্বল্প-বিদ্যুৎচালিত ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের ভিত্তি তৈরি করে এবং আধুনিক সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে।
২০১১ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ সেমিকন্ডাক্টর চিপ সিএমওএস প্রযুক্তি দিয়েই তৈরি হচ্ছিল বলে তথ্য রয়েছে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিকস অধ্যাপক সোরিন ভইনিগেস্কুর বই ‘হাই-ফ্রিকোয়েন্সি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটস’-এ।
প্রযুক্তির বিস্তৃত জগতে সা’র অবদান
সা’র উদ্ভাবনের ছাপ রয়েছে ডিজিটাল লজিক সার্কিট, মেমোরি চিপ, স্মার্টফোন, কম্পিউটার, মহাকাশ প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ব্যবহৃত চিপসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই।
চীন–যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তি উত্তেজনার কেন্দ্রে থাকা উন্নতমানের চিপ—যেমন এনভিডিয়ার এইচ–২০০ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিপ—তৈরির প্রক্রিয়াতেও তাঁর কাজের প্রভাব সুস্পষ্ট।
শেষ ইচ্ছা ও সমাহিতকরণ
বেইজিংয়ে জন্ম নেওয়া এই বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী ৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে শান্তিপূর্ণভাবে মৃত্যুবরণ করেন। জিয়ামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী অস্থি নিজ মাতৃভূমি ফুজিয়ান প্রদেশে আনা হয় এবং সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
#চিটাংশা #সেমিকন্ডাক্টর #সিএমওএস #চিপপ্রযুক্তি #চীনযুক্তরাষ্ট্রউত্তেজনা #সারাক্ষণরিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















