ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতিতে বৈশ্বিক অর্থনীতি অস্থির

দ্য টাইমস,

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫% এবং অন্যান্য দেশের ওপর ১০% শুল্ক আরোপ করে একপাক্ষিকভাবে “পাল্টা শুল্ক” চালু করেছেন। এই হঠাৎ সিদ্ধান্ত ও পরবর্তী আংশিক প্রত্যাহার বিশ্ববাজারে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। S&P 500 সূচক উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। হোয়াইট হাউসের একাংশ এটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখলেও অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করছেন—এই ধরনের অনিশ্চিত নীতি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। চীনের পাল্টা ব্যবস্থা, যেমন আমেরিকান কোম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা বা মুদ্রানীতি চালু করা, পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

দারফুর গণহত্যা ইন্ধনের অভিযোগে আইসিজেতে ইউএই-এর বিরুদ্ধে সুদান

রয়টার্স,

সুদান আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) একটি মামলা দায়ের করেছে, যেখানে তারা দাবি করেছে যে সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) ২০২৩ সালে পশ্চিম দারফুরে মাসালিত জাতিগোষ্ঠীর ওপর র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (RSF)-এর আক্রমণে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে গণহত্যা সঙ্ঘটনে সহায়তা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই এসব ঘটনাকে জাতিগত নিধন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউএই এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে আন্তর্জাতিক আইন বিশ্লেষকদের মতে, ইউএই যখন গণহত্যা কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছিল, তখন তারা কিছু শর্ত রেখেছিল, যা এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

মহাকাশ যুদ্ধ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ সতর্কবার্তা

দ্য সান,

ব্রিটিশ সাবেক এয়ার মার্শাল অ্যান্ড্রু টার্নার সতর্ক করেছেন, ভবিষ্যতে মহাকাশে যুদ্ধ শুরু হলে আমাদের আধুনিক সমাজ এক ধাক্কায় কয়েক শত বছর পিছিয়ে পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া ইতিমধ্যে স্যাটেলাইট ধ্বংসকারী অস্ত্র তৈরি করছে, যা জিপিএস, ব্যাংকিং, যোগাযোগসহ মূলধারার বহু সেবা বন্ধ করে দিতে পারে। তিনি বলেন, মহাকাশ এখন একপ্রকার ‘ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’—আইনহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অনুপস্থিতি একে ভয়াবহ সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা মানব সভ্যতাকে একেবারে এডওয়ার্ডিয়ান যুগে ফিরিয়ে নিতে পারে।

ট্রাম্পের শুল্ক নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বৈদেশিক পুঁজি প্রত্যাহার শুরু

অ্যাক্সিওস,

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির ফলে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে, এবং তারা ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বিক্রি করে নিচ্ছে। এই পুঁজি প্রত্যাহার ডলারের ওপর আস্থা কমিয়ে দিয়েছে এবং ট্রেজারি বন্ডের সুদের হার বাড়িয়েছে। চীন পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে মার্কিন পণ্যে নতুন শুল্ক আরোপ ও কৌশলগত খনিজ সম্পদে নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ নিচ্ছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শুল্কহার নির্ধারণকারী দেশ হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদে বৈশ্বিক মন্দা ডেকে আনতে পারে।

বাজার অস্থিরতার মধ্যেও বিলাসবহুল রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে

নিউ ইয়র্ক পোস্ট,

ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিলাসবহুল রিয়েল এস্টেট খাত বিপরীত চিত্র দেখাচ্ছে। উচ্চবিত্ত বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ ও দৃশ্যমান সম্পদ হিসেবে এক মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করছেন। ২০২৪ সালে মার্কিন বাড়িঘরের মোট মূল্য ৪৮.১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বিশেষত রাশিয়ান বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ পুনরায় বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ ট্রাম্প প্রশাসন তাদের প্রতি তুলনামূলকভাবে নরম মনোভাব নিয়েছে। এই প্রবণতা অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে বিলাসবহুল সম্পদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে গুরুত্ব তুলে ধরছে।