Sarakhon Report 
সারাক্ষণ রিপোর্ট
ঘটনাপ্রবাহ সংক্ষেপ
- ২৭-২৮ এপ্রিল রাতেও কুপওয়াড়া ও পুঞ্চের বিপরীতে পাকিস্তানি চৌকি থেকে বিনা উসকানিতে গুলি,ভারতীয় সেনার “দ্রুত ও কার্যকর” জবাব।
• এর আগের রাত (২৬-২৭ এপ্রিল)-এ টুটমারি গলি ও রামপুর সেক্টরে একই ধরনের গুলিবর্ষণ; সেখানেও পাল্টা গুলি ছোড়ে ভারত।)
• ২২ এপ্রিল পাহেলগাম জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে।
সীমান্ত পরিস্থিতি
ভারতীয় সেনা জানায়, পরপর চার রাত লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ চালায় পাকিস্তান। লক্ষ্য ছিল কাশ্মীরের কুপওয়াড়া-পুঞ্চ ও টুটমারি গলি-রামপুর এলাকায় ভারতীয় পোস্ট। প্রত্যেক বারই দ্রুত পাল্টা জবাব দিয়ে ফায়ার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।)
নিরাপত্তা অভিযান
- পাহেলগাম হামলার তদন্তে দক্ষিণ কাশ্মীরে আরও তিন সন্দেহভাজন জঙ্গির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী;হামলার পর থেকে ভাঙা বাড়ির সংখ্যা এখন ৯।
• নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দাবি, অভিযানে জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল ও লজিস্টিক নেটওয়ার্ক ভাঙতে এ পদক্ষেপ জরুরি।
ভারতের জবাবি কূটনৈতিক ব্যবস্থা
- পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা আপাতত স্থগিত।
•১৯৬০-এর ইন্ডাস জলচুক্তি কার্যক্রমও স্থগিতের ঘোষণা।
পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া
- ১৯৭২-এর শিমলা চুক্তির কার্যকারিতা‘অস্থায়ীভাবে’ স্থগিত বলে ইসলামাবাদের ঘোষণা।
• ভারতীয় এয়ারলাইনের জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ করা হয়েছে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ লিখেছেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর লড়াই অপরিহার্য, তবে নিরপরাধ কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।” তিনি জনগণের সন্ত্রাস-বিরোধী অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে “ভুল পদক্ষেপ” এড়ানোর আহ্বান জানান।
পটভূমি
- ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের সামরিক গোপন আলোচনায় যুদ্ধবিরতি পুনর্বহাল হলেও গত বছর গ্রীষ্মের পর থেকেঅনিয়মিত সংঘর্ষ বাড়ছে।
• পাহেলগাম হামলার পর দীর্ঘদিনের অবিশ্বাস ফের চরমে; দুই পক্ষই কড়া ভাষায় একে অপরকে দোষারোপ করছে।
সারসংক্ষেপ
পাহেলগাম হামলার রক্তক্ষয়ী ঘটনার পর সীমান্তে টানা চার দিনের গোলাগুলি দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে। ভারত যেখানে কূটনৈতিক ও সামরিক দু’মুখী চাপ বাড়াচ্ছে, পাকিস্তানও কড়া প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। কাশ্মীরের রাজনীতিকরা সন্ত্রাস দমনে সমর্থন দিলেও সাধারণ মানুষকে আস্থা জোগাতে অতি সতর্ক পদক্ষেপের তাগিদ দিচ্ছেন। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে, তা নির্ভর করছে দুই প্রতিবেশীর পরবর্তী পদক্ষেপের উপর।
তথ্য সূত্র: রয়টার্স ও হিন্দুস্থান টাইমস
