০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

প্রধান রায়: জরিমানা বাতিল, অভিযোগ বহাল

নিউ ইয়র্কের একটি আপিল আদালত সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি জরিমানা বাতিল করেছে। তবে আদালত একই সঙ্গে মামলার মূল অভিযোগ বহাল রেখেছে।
এটি ট্রাম্পের জন্য একটি বড় আইনি জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে, আর নিউ ইয়র্ক অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসের জন্য বড় ধাক্কা।

বিচারক প্যানেলে মতভেদ
পাঁচ সদস্যের বিচারক প্যানেল এই মামলায় একমত হতে পারেনি।

চারজন বিচারক মনে করেছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলেও জরিমানার পরিমাণ অযৌক্তিকভাবে বেশি।

তাদের মধ্যে দুইজন নতুন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পক্ষে ছিলেন।

একজন পুরো মামলাটি খারিজ করার পক্ষে ছিলেন।
তবে জরিমানা বাতিলের বিষয়ে সবাই একমত হন।

মূল মামলা ও ট্রায়ালের ফলাফল
মানহাটনের বিচারক আর্থার এঙ্গরনের নেতৃত্বে তিন মাসের বিচার শেষে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অভিযোগ ছিল, তিনি বহু বছর ধরে তার সম্পত্তি ও সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখিয়ে ঋণদাতা ও বীমা কোম্পানিকে প্রতারিত করেছেন।
এঙ্গরন প্রায় ৪৬৪.৬ মিলিয়ন ডলারের জরিমানা ধার্য করেন, যার মধ্যে ট্রাম্পের দায় ছিল প্রায় ৪৫৪.২ মিলিয়ন ডলার।

বিধিনিষেধ ও মনিটরের দায়িত্ব বহাল
আপিলের কারণে কিছু বিধিনিষেধ আগে স্থগিত ছিল। তবে নতুন রায় অনুযায়ী সেগুলো কার্যকর থাকবে। এছাড়া ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের কার্যক্রম তদারকির জন্য যে মনিটর নিয়োগ করা হয়েছে, তিনি দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাবেন।

বিচারকদের বিশ্লেষণ
বিচারক পিটার মোল্টন ও ডায়েন রেনউইক বলেছেন, অভিযোগ যথাযথ হলেও জরিমানার পরিমাণ অত্যধিক ছিল।

বিচারক হিগিট ও লিনেট রসাডো নতুন ট্রায়ালের দাবি জানান।

বিচারক ডেভিড ফ্রিডম্যানের মতে, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত এবং নতুন ট্রায়াল দেশের জন্য অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর হবে।
মোল্টনের মতে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের অবস্থান এমনিতেই বহু বাধার সম্মুখীন, এই মামলা তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

প্রতিক্রিয়া
রায়ের পর ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে এটিকে “পূর্ণ বিজয়” বলে উল্লেখ করেন এবং আদালতের “সাহস”কে প্রশংসা করেন।
অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস বলেছেন, মামলার বৈধতা বহাল রয়েছে এবং তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

সারসংক্ষেপ: এখন পরিস্থিতি কোথায়?
বিষয় অবস্থা
অভিযোগ জালিয়াতির দায় বহাল
জরিমানা বাতিল
ব্যবসায়িক বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে
মনিটর দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন
পরবর্তী পদক্ষেপ জেমস উচ্চ আদালতে আপিল করবেন
রাজনৈতিক গুরুত্ব ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের কাছে এটি বড় জয়

প্রধান রায়: জরিমানা বাতিল, অভিযোগ বহাল

০৪:০১:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

নিউ ইয়র্কের একটি আপিল আদালত সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি জরিমানা বাতিল করেছে। তবে আদালত একই সঙ্গে মামলার মূল অভিযোগ বহাল রেখেছে।
এটি ট্রাম্পের জন্য একটি বড় আইনি জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে, আর নিউ ইয়র্ক অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসের জন্য বড় ধাক্কা।

বিচারক প্যানেলে মতভেদ
পাঁচ সদস্যের বিচারক প্যানেল এই মামলায় একমত হতে পারেনি।

চারজন বিচারক মনে করেছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলেও জরিমানার পরিমাণ অযৌক্তিকভাবে বেশি।

তাদের মধ্যে দুইজন নতুন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পক্ষে ছিলেন।

একজন পুরো মামলাটি খারিজ করার পক্ষে ছিলেন।
তবে জরিমানা বাতিলের বিষয়ে সবাই একমত হন।

মূল মামলা ও ট্রায়ালের ফলাফল
মানহাটনের বিচারক আর্থার এঙ্গরনের নেতৃত্বে তিন মাসের বিচার শেষে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অভিযোগ ছিল, তিনি বহু বছর ধরে তার সম্পত্তি ও সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখিয়ে ঋণদাতা ও বীমা কোম্পানিকে প্রতারিত করেছেন।
এঙ্গরন প্রায় ৪৬৪.৬ মিলিয়ন ডলারের জরিমানা ধার্য করেন, যার মধ্যে ট্রাম্পের দায় ছিল প্রায় ৪৫৪.২ মিলিয়ন ডলার।

বিধিনিষেধ ও মনিটরের দায়িত্ব বহাল
আপিলের কারণে কিছু বিধিনিষেধ আগে স্থগিত ছিল। তবে নতুন রায় অনুযায়ী সেগুলো কার্যকর থাকবে। এছাড়া ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের কার্যক্রম তদারকির জন্য যে মনিটর নিয়োগ করা হয়েছে, তিনি দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাবেন।

বিচারকদের বিশ্লেষণ
বিচারক পিটার মোল্টন ও ডায়েন রেনউইক বলেছেন, অভিযোগ যথাযথ হলেও জরিমানার পরিমাণ অত্যধিক ছিল।

বিচারক হিগিট ও লিনেট রসাডো নতুন ট্রায়ালের দাবি জানান।

বিচারক ডেভিড ফ্রিডম্যানের মতে, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত এবং নতুন ট্রায়াল দেশের জন্য অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর হবে।
মোল্টনের মতে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের অবস্থান এমনিতেই বহু বাধার সম্মুখীন, এই মামলা তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

প্রতিক্রিয়া
রায়ের পর ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে এটিকে “পূর্ণ বিজয়” বলে উল্লেখ করেন এবং আদালতের “সাহস”কে প্রশংসা করেন।
অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস বলেছেন, মামলার বৈধতা বহাল রয়েছে এবং তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

সারসংক্ষেপ: এখন পরিস্থিতি কোথায়?
বিষয় অবস্থা
অভিযোগ জালিয়াতির দায় বহাল
জরিমানা বাতিল
ব্যবসায়িক বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে
মনিটর দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন
পরবর্তী পদক্ষেপ জেমস উচ্চ আদালতে আপিল করবেন
রাজনৈতিক গুরুত্ব ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের কাছে এটি বড় জয়