দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ঢাকার কুর্মিটোলা ও তেজগাঁও-এ মার্কিন বিমান বাহিনীর সেনাদের উপরে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে রঙিন সচিত্র প্রেজেন্টেশন দেখাই
ইভো, আর্নল্ড ও কলিগরা
ইভো রডরিক গ্রীনওয়েলের সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ পরিচয় হয় ২০০৪ সালে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ঢাকায় ইন্ডোর পোস্টিং ছিল। প্রথম আলাপেই ইভোকে খুব সরল বন্ধুবৎসল বলে মনে হলো: আমি ঢাকার ছেলে শুনে তো আর কথা নেই, পারে তো তখনই সে আমাকে তার ঢাকা-জীবনের সব কাহিনি বলতে প্রস্তুত এবং অত্যন্ত কুণ্ঠাহীন। যুদ্ধ চলাকালে ঢাকা জীবনের ঘটনাগুলোর অভিজ্ঞতা ইভোর অন্তরের এক গভীরে এমন স্বচ্ছ, উজ্জ্বল জীবন্তভাবে শেলফবন্দী সাজানো রয়েছে যে শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল যে ঘটনাগুলো বুঝিবা মাত্র গতকাল ঘটেছে।

ইভো রডরিক গ্রীনওয়েল। ঢাকায় কর্মরত থাকাকালে।
আমি তখন- দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় কুর্মিটোলায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের “৪৯০তম বোম্বার্ডমেন্ট স্কোয়াড্রনের (বিএস)” উপরে গবেষণার্কম নিয়ে খুব ব্যস্ত। এই ব্যস্ততার মধ্যেই এক ফাঁকে আমি ইভোর সঙ্গে যোগাযোগ করি। ইভো সেসময়ে তার সহযোদ্ধাদের জন্য দ্বিবার্ষিক পুনর্মিলনের আয়োজনে ব্যস্ত ছিল; দুই বছর পর পর সহযোদ্ধাদের পুনর্মিলনের ব্যবস্থাটি ইভো গত শতাব্দির সত্তর দশক থেকে করে আসছে।
নানা কথার মধ্যে ইভো আমাকে অনুরোধ করে বলল যে, ২০০৪ সালের “৪৯০তম বোম্বার্ডমেন্ট স্কোয়াড্রন পুনর্মিলন ‘টি নিউ মেক্সিকো’র রুইডোসো’তে অনুষ্ঠিত হবে; তুমি আমাদের অতিথি হও! আর প্লিজ! আমাদের নিয়ে তুমি যে গবেষণাকর্ম করছ, অনুষ্ঠানে তার উপরে একটি প্রেজেটেশন নিয়ে এসো কিন্তু!
ইভোর আমন্ত্রণ আমি গ্রহণ করি। রুইডোসো’র পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে যাই এবং দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ঢাকার কুর্মিটোলা ও তেজগাঁও-এ মার্কিন বিমান বাহিনীর সেনাদের উপরে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে রঙিন সচিত্র প্রেজেন্টেশন দেখাই, উপস্থিত সবাইকে রঙিন প্রিন্ট-কপি উপহার দিই। এই অনুষ্ঠানে ইন্ডো আমাকে তার বন্ধু আর্নল্ড স্পিলবাগ ও অন্যান্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।
(চলবে)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৬)
নাঈম হক 



















