তাঁরা এক কন্যা ‘আনইয়া’ এবং দুই পুত্রসন্তান ‘আলেকসান্ডার’ ও ‘অ্যান্থনি’র জনকজননী ছিলেন।
১৯৭০ সালে, প্রতিবাদমুখর আনাতোল সিদ্ধান্ত নেন যে যুক্তরাষ্ট্রেই থাকবেন না আর; কারণ? কারণ যে দেশের বৈদেশিক নীতির বৈপরীত্বের বিরোধিতা করা আবশ্যক হয়, আনাতোলের ভাষায়: “রাজনৈতিক সংস্থার এবং বিরামহীন প্রবল তীব্র গণ-প্রতিবাদের” সে দেশে বসবাসের আকর্ষণ কোথায়? “একটা পন্থা হলো অন্য এমন এক দেশে গিয়ে বাস করা যে দেশ মানবজাতির ত্রাণকর্মের প্রতি অঙ্গিকারাবদ্ধ নয়- ছোট, শান্ত নিরিবিলি একটি দেশ যার নেই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতাধর স্টেটাস অর্জনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা।”

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে ডঃ আনাতোল র্যাপাপোর্ট, আনুমাগিক ১৯৬০ সাল।
আনাতোল তাই ১৯৭০ সালে ক্যানাডায় অভিবাসন করেন এবং টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ম্যাথেমেটিক্স এন্ড সাইকোলজি’র প্রফেসর হিসেবে যোগদান করেন।
গণিত সম্পৃক্ত ক্ষেত্রে আনাতোল মৌলিক অবদান রাখেন; যেমন: গাণিতিক জীববিজ্ঞান (ম্যাথেমেটিকেল বায়োলজি), গাণিতিক গেইম থিয়োরি (ম্যাথেমেটিকেল গেইম থিয়োরি) এবং গাণিতিক মডেলিং (ম্যাথেমেটিকেল মডেলিং)- ও সামাজিক মিথস্ক্রিয়া (সোস্যাল ইন্টারঅ্যাকশন)।
আনাতোল ১৯৪৯ সালে ‘গোয়েন গুডরিচ’ (Gwen Goodrich) নামক মহিলাকে বিবাহ করেন; তাঁরা এক কন্যা ‘আনইয়া’ এবং দুই পুত্রসন্তান ‘আলেকসান্ডার’ ও ‘অ্যান্থনি’র জনকজননী ছিলেন।
২০০৭ সালের ২০ জানুয়ারি আনাতোল ক্যানাডার টরোন্টোতে প্রয়াত হন।
(চলবে)
নাঈম হক 

















