একাদশ পরিচ্ছেদ
একে একে সব কথা খুলে বললুম কমরেডদের। কী করে শ্বেতরক্ষীদের সঙ্গে আমার দেখা হয়ে গিয়েছিল, কী করে ধরা পড়ে মারা গেলেন আমাদের বীর চুবুক
সব কথা। কেবল একটা কথা লুকিয়েছিলুম চুবুকের শেষ থুথু ছোড়ার কথাটা। আর গল্পটা বলার সময় শ্বেতরক্ষীদের স্থানীয় সদরঘাঁটিতে ওদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্বন্ধে যা যা শুনেছিলুম আর জিখারেভ আর শুভাৎসের বাহিনী দুটোকে আমাদের ধরার জন্যে যে-নির্দেশ দেয়া হয়েছিল সে সবকিছু রিপোর্ট করলুম।
‘হা’ যুদ্ধে অনবরত ব্যবহারের ফলে কালো-হয়ে-যাওয়া তরোয়ালখানার ওপর
শরীরের ভর রেখে বললেন শেবালভ, ‘চুবুক সম্বন্ধে যা কইলে, খুবই দুঃসংবাদ। লাল ফৌজের চমৎকার সেপাই ছিল চুবুক, আমাদের সেরা লড়য়ে, সেরা কমরেড আমাদের। খুব খারাপ খবর দিলে। তুমি মস্ত ভুল করেছিলে, ছেলে… মস্ত বড় ভুল।’ তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফের বললেন, ‘তবে যে মারা গেচে সে তো আর ফিরবে
না। কী করা। তোমারে কিছু বলার নেই আমার কর নি, সে তো ঠিকই। অন্য যে-কারো বেলায় এমনধারা হতি পারত।’
‘ঠিক। অন্য যে-কারো বেলায় এমনধারা হতি পারত,’ কয়েকটা গলায় প্রতিধ্বনি উঠল।
‘তবে তুমি জিখারেভের খবরটা যেমন বৃদ্ধি খরচ করি যোগাড় করেচ আর চটপট তোমার কমরেডদের কাছে রিপোর্ট করার জন্যি ছুটে এয়েচ তার জন্যি এই আমার হাত বাড়িয়ে দিচ্চি তোমার দিকি আর তোমারে ধন্যবাদ জানাচ্চি!’
আর্কাদি গাইদার 
















