০৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
‘সুইম শেডি’ নাম নিয়ে আইনি লড়াইয়ে এমিনেম দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের উপকূলীয় শহর ওওইতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল শতাধিক ঘর বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুতে এগোচ্ছে জাপান গ্রাহকদের ভোগান্তি কমছে না, এবার রবির বিরুদ্ধে অভিযোগ — জিপি ও বাংলালিংকের আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ইশতেহারে শিশু নিরাপত্তা জোরদারের প্রতিশ্রুতি ভারতের স্পষ্ট বার্তা: যেখানেই হোক, সন্ত্রাস দমনে অভিযান চালানোর পূর্ণ অধিকার আছে ইভি আর স্মার্ট গ্যাজেটের জোরে দ্বিগুণের বেশি মুনাফা দেখাল শাওমি ভারতের রেড ফোর্ট হামলার উদ্ধার হওয়া ভিডিও: আত্মঘাতী হামলার সাফাই দিচ্ছিলেন উমর উন-নবী ইন্দোনেশিয়ার শিশুদের ভিডিও গেমে জঙ্গি প্রভাব: পুলিশ গাজীপুরে কয়েল কারখানায় ভয়াবহ আগুনঃ আশে পাশের মানুষ সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন

রণক্ষেত্রে (পর্ব-১১৩)

একাদশ পরিচ্ছেদ

একে একে সব কথা খুলে বললুম কমরেডদের। কী করে শ্বেতরক্ষীদের সঙ্গে আমার দেখা হয়ে গিয়েছিল, কী করে ধরা পড়ে মারা গেলেন আমাদের বীর চুবুক

সব কথা। কেবল একটা কথা লুকিয়েছিলুম চুবুকের শেষ থুথু ছোড়ার কথাটা। আর গল্পটা বলার সময় শ্বেতরক্ষীদের স্থানীয় সদরঘাঁটিতে ওদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্বন্ধে যা যা শুনেছিলুম আর জিখারেভ আর শুভাৎসের বাহিনী দুটোকে আমাদের ধরার জন্যে যে-নির্দেশ দেয়া হয়েছিল সে সবকিছু রিপোর্ট করলুম।

‘হা’ যুদ্ধে অনবরত ব্যবহারের ফলে কালো-হয়ে-যাওয়া তরোয়ালখানার ওপর

শরীরের ভর রেখে বললেন শেবালভ, ‘চুবুক সম্বন্ধে যা কইলে, খুবই দুঃসংবাদ। লাল ফৌজের চমৎকার সেপাই ছিল চুবুক, আমাদের সেরা লড়য়ে, সেরা কমরেড আমাদের। খুব খারাপ খবর দিলে। তুমি মস্ত ভুল করেছিলে, ছেলে… মস্ত বড় ভুল।’ তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফের বললেন, ‘তবে যে মারা গেচে সে তো আর ফিরবে

না। কী করা। তোমারে কিছু বলার নেই আমার কর নি, সে তো ঠিকই। অন্য যে-কারো বেলায় এমনধারা হতি পারত।’

‘ঠিক। অন্য যে-কারো বেলায় এমনধারা হতি পারত,’ কয়েকটা গলায় প্রতিধ্বনি উঠল।

‘তবে তুমি জিখারেভের খবরটা যেমন বৃদ্ধি খরচ করি যোগাড় করেচ আর চটপট তোমার কমরেডদের কাছে রিপোর্ট করার জন্যি ছুটে এয়েচ তার জন্যি এই আমার হাত বাড়িয়ে দিচ্চি তোমার দিকি আর তোমারে ধন্যবাদ জানাচ্চি!’

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

‘সুইম শেডি’ নাম নিয়ে আইনি লড়াইয়ে এমিনেম

রণক্ষেত্রে (পর্ব-১১৩)

১০:০০:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

একাদশ পরিচ্ছেদ

একে একে সব কথা খুলে বললুম কমরেডদের। কী করে শ্বেতরক্ষীদের সঙ্গে আমার দেখা হয়ে গিয়েছিল, কী করে ধরা পড়ে মারা গেলেন আমাদের বীর চুবুক

সব কথা। কেবল একটা কথা লুকিয়েছিলুম চুবুকের শেষ থুথু ছোড়ার কথাটা। আর গল্পটা বলার সময় শ্বেতরক্ষীদের স্থানীয় সদরঘাঁটিতে ওদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্বন্ধে যা যা শুনেছিলুম আর জিখারেভ আর শুভাৎসের বাহিনী দুটোকে আমাদের ধরার জন্যে যে-নির্দেশ দেয়া হয়েছিল সে সবকিছু রিপোর্ট করলুম।

‘হা’ যুদ্ধে অনবরত ব্যবহারের ফলে কালো-হয়ে-যাওয়া তরোয়ালখানার ওপর

শরীরের ভর রেখে বললেন শেবালভ, ‘চুবুক সম্বন্ধে যা কইলে, খুবই দুঃসংবাদ। লাল ফৌজের চমৎকার সেপাই ছিল চুবুক, আমাদের সেরা লড়য়ে, সেরা কমরেড আমাদের। খুব খারাপ খবর দিলে। তুমি মস্ত ভুল করেছিলে, ছেলে… মস্ত বড় ভুল।’ তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফের বললেন, ‘তবে যে মারা গেচে সে তো আর ফিরবে

না। কী করা। তোমারে কিছু বলার নেই আমার কর নি, সে তো ঠিকই। অন্য যে-কারো বেলায় এমনধারা হতি পারত।’

‘ঠিক। অন্য যে-কারো বেলায় এমনধারা হতি পারত,’ কয়েকটা গলায় প্রতিধ্বনি উঠল।

‘তবে তুমি জিখারেভের খবরটা যেমন বৃদ্ধি খরচ করি যোগাড় করেচ আর চটপট তোমার কমরেডদের কাছে রিপোর্ট করার জন্যি ছুটে এয়েচ তার জন্যি এই আমার হাত বাড়িয়ে দিচ্চি তোমার দিকি আর তোমারে ধন্যবাদ জানাচ্চি!’