০১:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
২০২৬ সালের এপেক আয়োজন করবে চীনের শেনজেন, এআই সহযোগিতায় জোর দেওয়ার ঘোষণা আপনার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেরা দ্বীপ কোনটি? দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে তরুণদের আন্দোলন—পরিবর্তনের পথে নেপাল রিওতে ব্রাজিলের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী পুলিশ অভিযান গলে যাওয়া বরফে খুলে যাচ্ছে ‘নর্থওয়েস্ট প্যাসেজ’—বিশ্বশক্তিদের নতুন ঠান্ডা যুদ্ধ দাবার জগতে ধোঁকাবাজির অভিযোগ ও এক মর্মান্তিক মৃত্যু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে স্যামসাং অনলাইন প্রতারণা ও থাইল্যান্ডের সীমান্ত সংঘর্ষে কমছে পর্যটক— নতুন বিমানবন্দরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না কম্বোডিয়া ডিএসসিসির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া পদচ্যুত, দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব পদে বদলি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র: কুয়ালালমপুরে সই হলো ১০ বছর মেয়াদি প্রতিরক্ষা চুক্তি

রণক্ষেত্রে (পর্ব-১১৩)

একাদশ পরিচ্ছেদ

একে একে সব কথা খুলে বললুম কমরেডদের। কী করে শ্বেতরক্ষীদের সঙ্গে আমার দেখা হয়ে গিয়েছিল, কী করে ধরা পড়ে মারা গেলেন আমাদের বীর চুবুক

সব কথা। কেবল একটা কথা লুকিয়েছিলুম চুবুকের শেষ থুথু ছোড়ার কথাটা। আর গল্পটা বলার সময় শ্বেতরক্ষীদের স্থানীয় সদরঘাঁটিতে ওদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্বন্ধে যা যা শুনেছিলুম আর জিখারেভ আর শুভাৎসের বাহিনী দুটোকে আমাদের ধরার জন্যে যে-নির্দেশ দেয়া হয়েছিল সে সবকিছু রিপোর্ট করলুম।

‘হা’ যুদ্ধে অনবরত ব্যবহারের ফলে কালো-হয়ে-যাওয়া তরোয়ালখানার ওপর

শরীরের ভর রেখে বললেন শেবালভ, ‘চুবুক সম্বন্ধে যা কইলে, খুবই দুঃসংবাদ। লাল ফৌজের চমৎকার সেপাই ছিল চুবুক, আমাদের সেরা লড়য়ে, সেরা কমরেড আমাদের। খুব খারাপ খবর দিলে। তুমি মস্ত ভুল করেছিলে, ছেলে… মস্ত বড় ভুল।’ তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফের বললেন, ‘তবে যে মারা গেচে সে তো আর ফিরবে

না। কী করা। তোমারে কিছু বলার নেই আমার কর নি, সে তো ঠিকই। অন্য যে-কারো বেলায় এমনধারা হতি পারত।’

‘ঠিক। অন্য যে-কারো বেলায় এমনধারা হতি পারত,’ কয়েকটা গলায় প্রতিধ্বনি উঠল।

‘তবে তুমি জিখারেভের খবরটা যেমন বৃদ্ধি খরচ করি যোগাড় করেচ আর চটপট তোমার কমরেডদের কাছে রিপোর্ট করার জন্যি ছুটে এয়েচ তার জন্যি এই আমার হাত বাড়িয়ে দিচ্চি তোমার দিকি আর তোমারে ধন্যবাদ জানাচ্চি!’

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৬ সালের এপেক আয়োজন করবে চীনের শেনজেন, এআই সহযোগিতায় জোর দেওয়ার ঘোষণা

রণক্ষেত্রে (পর্ব-১১৩)

১০:০০:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

একাদশ পরিচ্ছেদ

একে একে সব কথা খুলে বললুম কমরেডদের। কী করে শ্বেতরক্ষীদের সঙ্গে আমার দেখা হয়ে গিয়েছিল, কী করে ধরা পড়ে মারা গেলেন আমাদের বীর চুবুক

সব কথা। কেবল একটা কথা লুকিয়েছিলুম চুবুকের শেষ থুথু ছোড়ার কথাটা। আর গল্পটা বলার সময় শ্বেতরক্ষীদের স্থানীয় সদরঘাঁটিতে ওদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্বন্ধে যা যা শুনেছিলুম আর জিখারেভ আর শুভাৎসের বাহিনী দুটোকে আমাদের ধরার জন্যে যে-নির্দেশ দেয়া হয়েছিল সে সবকিছু রিপোর্ট করলুম।

‘হা’ যুদ্ধে অনবরত ব্যবহারের ফলে কালো-হয়ে-যাওয়া তরোয়ালখানার ওপর

শরীরের ভর রেখে বললেন শেবালভ, ‘চুবুক সম্বন্ধে যা কইলে, খুবই দুঃসংবাদ। লাল ফৌজের চমৎকার সেপাই ছিল চুবুক, আমাদের সেরা লড়য়ে, সেরা কমরেড আমাদের। খুব খারাপ খবর দিলে। তুমি মস্ত ভুল করেছিলে, ছেলে… মস্ত বড় ভুল।’ তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফের বললেন, ‘তবে যে মারা গেচে সে তো আর ফিরবে

না। কী করা। তোমারে কিছু বলার নেই আমার কর নি, সে তো ঠিকই। অন্য যে-কারো বেলায় এমনধারা হতি পারত।’

‘ঠিক। অন্য যে-কারো বেলায় এমনধারা হতি পারত,’ কয়েকটা গলায় প্রতিধ্বনি উঠল।

‘তবে তুমি জিখারেভের খবরটা যেমন বৃদ্ধি খরচ করি যোগাড় করেচ আর চটপট তোমার কমরেডদের কাছে রিপোর্ট করার জন্যি ছুটে এয়েচ তার জন্যি এই আমার হাত বাড়িয়ে দিচ্চি তোমার দিকি আর তোমারে ধন্যবাদ জানাচ্চি!’