ঢাকাবাসীদের কাছেও দর্শনীয় এক জায়গায় পরিণত হয় এই নিউমার্কেট, চালু হওয়ার পর কয়েক বছর যেতে-না- যেতেই।
নিউমার্কেট নিয়েও স্মৃতিচারণ করেছেন আনোয়ার হোসেন-

বর্তমান নিউমার্কেটের ভিতরের দৃশ্য
“ছোট ছোট কতগুলো দোকানঘর নিয়ে নিউমার্কেট যাত্রা শুরু করে, ১৯৫২ কি ‘৫৩-এর দিকে। তখন পাটুয়াটুলি বা ইসলামপুরে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুই পাওয়া যেত, তাই নিউমার্কেট চালু হওয়ার খবর শুনে অনেকেই বলল, ‘জিনিস কেনার জন্য কে যাবে ওখানে? রাতের বেলায় কবর থেকে উঠে মুর্দারাই যাবে বোধহয়।’ এমনকী মাওলানা ভাসানীও নাকি পল্টনের এক জনসভায় সরকারের সমালেচনা করেছিলেন এই নিউমার্কেট বানানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য।
প্রথমদিকে বেচাকেনা বলতে গেলে হতোই না নিউমার্কেটের দোকানগুলোতে। তখন মার্কেটের মাঝখানের দোকানগুলো ছিল না। সেখানে ছিল একটা গোলাপ বাগান। আজিমপুর, ধানমণ্ডি ছাড়িয়ে উত্তরদিকে যত বিস্তৃত হতে থাকে ঢাকা, তত বাড়তে থাকে নিউমার্কেটের জনপ্রিয়তা। তবে লোকজন কেনাকাটার জন্য যতটা না যেত, তারচেয়ে বেশি যেত ঘুরাঘুরি করার জন্য, আড্ডা দিয়ে সময় কাটানোর জন্য।

নিউ মার্কেটের প্রধান ফটক ১৯৬৬
যারা ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় আসত ঢাকা দেখার উদ্দেশ্যে তাদের কাছে তো বটেই, ঢাকাবাসীদের কাছেও দর্শনীয় এক জায়গায় পরিণত হয় এই নিউমার্কেট, চালু হওয়ার পর কয়েক বছর যেতে-না- যেতেই। তবে মফস্বলের মানুষরা একটা অসুবিধায় পড়ত মাঝে মধ্যে ভিতরে ঢুকে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর বের হওয়ার গেটটা কোনদিকে সেটা আর ঠাওর করতে পারত না।””
ঢাকা এখন অনেক বিস্তৃত হয়েছে। প্রচুর আধুনিক মল হয়েছে কিন্তু এখনও স্বস্তিতে, আনন্দে কেনাকাটা করতে চাইলে নিউ মার্কেটই উত্তম।
(চলবে)
মুনতাসীর মামুন 



















