আজিমপুর প্রভৃতি এলাকার চাহিদা মেটানোর জন্য একটি বাজার/মার্কেট/মল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিউ পিকড়ার হাউজ
আরমানীটোলায় অবস্থিত ‘নিউ পিয়ার ঘাটন ঢাকার প্রাচীনতম প্রেক্ষাগৃহ। এখানে ছিল সেজন নামে এক ইংরেজের পাটের গুলাম। তিনি অপান্তর করেন দিনেমা হলে, নাম দেন’ পিকচার হাউজ । তাঁর থেকে এটি কিনে নেন উর্দুভাষী তরং নামে এক মাড়োয়ারী। তার থেকে এটি কিনে নেন মতিলাল বসু ও রাজেন্দ্রকুমার বসু। এটি নাম দেন ‘নিউ পিকচার হাউজ’। আরো পরে মে মোস্তফা এটি কিনে নাম যেন শাবিস্তান নামটিই বহাল ছিল শেষ পর্যন্ত।

নিউ পিকচার হাউজ/শানিস্তান।
নিউ মার্কেট
১৯৫২ সালে তৎকালীন পূর্ববঙ্গের প্রধানমন্ত্রী দুী গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। একটি শাহবগ হোটেল নির্মাণ ও অন্যটি নিউ মার্কেট স্থাপন। ঐ সময় এ দুটি স্থাপনাকে কেন্দ্র করে নন সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু, পরে প্রমাণিত হয়েছিন দুটি সিদ্ধান্তই সঠিক।
আমাদের যৌবনে ষাটের দশক থেকে সত্তরের শুরু পর্যন্ত অবসর কাটানোর জায়গা ছিল নিউ মার্কেট।
এক সারি বইয়ের দোকান, নভেলটি আইসক্রিম আর রেস্তোরা। ১৯৫২ সালে প্রধানত ধানমন্ডি, আজিমপুর প্রভৃতি এলাকার চাহিদা মেটানোর জন্য একটি বাজার/মার্কেট/মল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৩৫ একর জমিতে ৪৪০টি দোকান স্থাপনের জন্য নকশা করা হয়। এর বিশেষত্ব ছিল তিনটি আর্চওয়ে বা ফটক। এর মধ্যে গোলাকৃতি একতলা ভবন। চারদিকে ঘুরে বেড়াবার জন্য প্রচুর স্পেস। ভেতরে ছিল ত্রিকোণ একটি ঘাসের লন।
ইসলামীকরণের জেরে এখানে নির্মিত হয় মসজিদ। দোকানের শ্রেণিবিভাগ ছিল। যেমন শাড়ির দোকান একদিকে, বইয়ের ও স্টেশনারির দোকান আরেক দিকে। নিউ মার্কেটে যাবার রাস্তায় দুপাশে ছিল বটের সারি। এটির নাম দেয়া হয়েছিল নিউ মার্কেট। পঞ্চাশ দশক থেকে নিউ মার্কেট হয়ে ওঠে ঢাকার প্রধান বিপণন কেন্দ্র।
(চলবে)
মুনতাসীর মামুন 


















