দুবাইয়ের রাতে আবারও বদলায়নি গল্প। যুগ বদলেছে, প্রজন্ম বদলেছে, ভূমিকাও বদলেছে। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের ফলাফলে একটি নাম একই থেকেছে—সারফরাজ আহমেদ। অনূর্ধ্ব উনিশ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিশাল জয়ের পেছনে মেন্টর হিসেবে থাকা সাবেক এই অধিনায়ক আবারও ভারতকে হারানোর স্মৃতিতে নিজের নাম যুক্ত করলেন।
দুবাই ফাইনালের একতরফা দৃশ্য
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের পুরুষ অনূর্ধ্ব উনিশ এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তান তোলে তিনশ সাতচল্লিশ রান। জবাবে ভারত অলআউট হয় একশ ছাপ্পান্ন রানে। ব্যবধান একশ একানব্বই রান। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ শুরুতেই নিয়ে নেয় পাকিস্তান। ওপেনার সামির মিনহাসের ব্যাট থেকে আসে একশ বাহাত্তর রানের বিধ্বংসী ইনিংস, যা লক্ষ্য তাড়ার আগেই প্রতিপক্ষের মানসিক ভীত নড়িয়ে দেয়।

২০১৭-এর প্রতিধ্বনি, একই ছক
এই দৃশ্য নতুন নয়। আট বছর আগে ওভালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালেও প্রায় একই ছবি দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। সেবার সারফরাজ ছিলেন অধিনায়ক। পাকিস্তানের বিশাল রান, ভারতের দ্রুত ধস, আর একশ আশি রানের হার। অনূর্ধ্ব উনিশ ফাইনাল যেন সেই পুরোনো নকশারই নতুন সংস্করণ।
গ্রুপে হার, ফাইনালে প্রতিশোধ
আরও মিল আছে পথচলায়। দুই টুর্নামেন্টেই গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে হার দিয়ে শুরু করেছিল পাকিস্তান। ২০১৭ সালে একশ চব্বিশ রানের হার, আর ২০২৫ সালে অনূর্ধ্ব উনিশ পর্যায়ে নব্বই রানের পরাজয়। কিন্তু শেষ ম্যাচে এসে বদলে যায় চিত্র। যেখানে শিরোপা নির্ধারিত হয়, সেখানেই পাল্টা আঘাত করে পাকিস্তান।

সারফরাজের ফাইনাল উত্তরাধিকার
মেন্টর হিসেবে কেউ ম্যাচ জেতেন না, এমন কথাই প্রচলিত। তবু ইতিহাস বলছে, সারফরাজ আহমেদের উপস্থিতি মানেই ভারত-ফাইনালের ভিন্ন পরিণতি। দুই হাজার ছয় সালে কলম্বোয় অনূর্ধ্ব উনিশ বিশ্বকাপ ফাইনালে অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে হারিয়েছিলেন তিনি। দুই হাজার সতেরোয় সিনিয়র পর্যায়ে সেই পুনরাবৃত্তি। আর এখন দুই হাজার পঁচিশে মেন্টর হিসেবে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আরেকটি শিরোপা।
তিন যুগ, তিন ফাইনাল, তিনটি জয়। কাকতাল বললে বলাই যায়। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্মৃতি আর ক্ষতের ইতিহাসে সারফরাজ আহমেদ এখন আর প্রান্তিক চরিত্র নন। তিনি হয়ে উঠছেন বারবার ফিরে আসা এক অস্বস্তিকর নাম।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















