শ্রী নিখিলনাথ রায় দুই বংশ উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ বলিয়া এইরূপ ভ্রম হওয়ার সম্ভাবনা; কিন্তু ডাহাপাড়াবংশীয়েরা মিত্র ও ভট্টবাটীবংশীয়েরা সিংহ। মুর্শিদাবাদের মধ্যে সম্মানে ক্রমান্বয়ে নবাব, জগৎশেঠ ও বঙ্গাধি- কারিবংশীয়েরা শ্রেষ্ঠ ছিলেন।
শ্রী নিখিলনাথ রায় লক্ষ্মীনারায়ণ মৃত্যুসময়ে গঙ্গাগোবিন্দ সিংহকে স্বীয় নাবালক পুত্র সূর্য্যনারায়ণের তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত করিয়া যান। বঙ্গাধিকারিগণ বলিয়া থাকেন যে, গঙ্গাগোবিন্দ সিংহের তত্ত্বাবধানে তাঁহারই স্বার্থ- সিদ্ধির জন্য তাঁহাদিগের অনেক জমীদারী হস্তান্তরিত
শ্রী নিখিলনাথ রায় আলিবন্দীর সময় হইতে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পর্যন্ত লক্ষ্মী- নারায়ণ ও মহেন্দ্রনারায়ণ এই দুই জনে কাননগোর কার্য্য করিতেন। সিরাজউদ্দৌলার সহিত ১৭৫৭ খৃঃ অব্দের ৯ই ফেব্রুয়ারী ইংরেজদিগের যে সন্ধি স্থাপিত
শ্রী নিখিলনাথ রায় রাজস্বমন্ত্রীর কার্য্য করিতেন; রাজস্ববিভাগের যাবতীয় বন্দোবস্ত তাঁহা- দের হস্তে ন্যস্ত ছিল। কাননগোগণ সেই সকল বন্দোবস্তের কাগজপত্র রক্ষা করিতেন, এবং রাজস্ববিভাগ হইতে জমীদার বা প্রজাদিগকে কোন কাগজপত্র দিতে
শ্রী নিখিলনাথ রায় দর্পনারায়ণ ডাহাপাড়ায় বাসবাটী নির্মাণ করেন। যদিও এক্ষণে বঙ্গাধিকারিগণের পুনর্ব্বার নূতন বাটা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, তথাপি সেই পুরাতন বাটীর চিহ্ন এখনও স্থানে স্থানে বর্তমান আছে। দর্পনারায়ণ ডাহাপাড়ায় আসিয়া কিরীটেশ্বরীর
শ্রী নিখিলনাথ রায় দেওয়ান মুর্শিদকুলী প্রথম কাননগো দর্পনারায়ণকে সেই সমস্ত কাগজ- পত্রে স্বাক্ষর করিতে বলিলে, দর্পনারায়ণ কাননগোর রসুম বাবদে ৩ লক্ষ টাকার দাবী করেন। দেওয়ান দাক্ষিণাত্য হইতে প্রত্যাগত হইয়া তাঁহাকে
শ্রী নিখিলনাথ রায় সেই সময়ে ঢাকার উলাইল গ্রামের মিত্রবংশীয়েরা রাজস্ববিভাগের কার্য্য করিতেন। তাঁহাদের অনুরোধে উক্ত জমীদার অবশেষে বঙ্গাধিকারীর ক্রোধাগ্নি হইতে নিষ্কৃতি লাভ করেন। হরিনারায়ণের সময় হইতে বঙ্গাধিকারিগণের সৎকীত্তি বঙ্গ- ভূমিকে
শ্রী নিখিলনাথ রায় বঙ্গবিনোদের পর ভগবানের পুত্র হরিনারায়ণকে কাননগো-পদ প্রদান করা হয়। ‘১৬৭৯ খৃঃ অব্দে ১০৯০ হিজরী আরঙ্গজেবের রাজত্বের ২২শ তম বৎসরে হরিনারায়ণ সুবা বাঙ্গলার অর্দ্ধাংশ কাননগোর ভার প্রাপ্ত: হন,
শ্রী নিখিলনাথ রায় প্রধান কাননগো পরগণা-কাননগোদিগের নিকট হইতে ভূমি- সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র তলব করিয়া রাখিতেন। কাননগো- দপ্তরে ভূমিসংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্রই পরম যত্নে রক্ষিত হইত। পরগণা- কাননগোণ জমির পরিমাণ, নিরিখ, সাধারণ
সৌমিত্র শুভ্র ১৮৫৭ সালের ২৯শে মার্চের বিকেল, ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ চলছিল ব্যারাকপুরের সেনানিবাসে। প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হচ্ছিল ‘বিতর্কিত’ এনফিল্ড রাইফেল। একজন সিপাহি প্রশিক্ষণের সময় চর্বিযুক্ত কার্তুজ ব্যবহারে অস্বীকৃতি