দুই হাজার পঁচিশ সালের ২৭ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনের (জেঈসি) নবম সভা, যা দীর্ঘ বিরতির পর আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় পক্ষই আশা করছে—ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালু করলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও মানুষের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।
বৈঠকের সময় ও প্রেক্ষাপট
দীর্ঘ বিরতির পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ বৈঠককে দুই দেশের কূটনীতিকরা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখছেন। বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পরিবহন, পর্যটন ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতের বিষয়গুলোতে অগ্রগতি আলোচনা হবে।
সাম্প্রতিক অগ্রগতি
উভয় দেশই সাম্প্রতিক কয়েকটি বাস্তব পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে মূল্যায়ন করেছে—বিশেষত ভিসা প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালুর উদ্যোগ। কূটনৈতিক মঞ্চে এই ধরনের কার্যকর পদক্ষেপগুলো সরাসরি ব্যবসা ও পর্যটন খাতকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করতে পারে।

উচ্চ পর্যায়ের সফর ও আলোচনার বিবরণ
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার সম্মানসূচক সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হাসেনের সঙ্গে। সাক্ষাতে উভয় পক্ষই সম্প্রতি করা উচ্চস্তরের সফর ও মন্ত্রী পর্যায়ের বিনিময়কে সন্তোষজনক হিসেবে উল্লেখ করেছেন—বিশেষত দুই হাজার পঁচিশ সালের আগস্টে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর এবং একই বছরের এপ্রিল মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র সচিব স্তরের ষষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ সভা।
আলোচ্য বিষয় ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
সাক্ষাতের সময় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বহুমুখী সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হাসেন হাইকমিশনারকে তার কর্মকালীন সময়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।
ভিসা সহজীকরণ ও বিমান সংযোগ পুনরায় চালুর মতো বাস্তব পদক্ষেপগুলো কূটনৈতিক এবং প্রশাসনিক পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে গতিশীল করতে সহায়ক হবে—জে.ই.সি.-এর নবম বৈঠক সেই অগ্রগতিকে আরও সুসংহত করার জন্য সময়োপযোগী বলে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
#বাংলাদেশ #পাকিস্তান #কূটনীতি #বাণিজ্য #ভিসা #বিমানসংযোগ #জেঈসি #সারাক্ষণরিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















