০৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
নিরপেক্ষতা হারিয়েছে উইকিপিডিয়া—ল্যারি স্যাঙ্গারের নেতৃত্বে রক্ষণশীল অভিযাত্রা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় শিল্প ও সেবা খাতে পরিবর্তন, প্রয়োজন শিক্ষিত, দক্ষ মানবসম্পদ ঢাকার সব উড়ালসড়ক ও মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাডের নিরাপত্তা যাচাইয়ে হাইকোর্টে আবেদন হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রে ওয়ার্কওভার কাজ শুরু—১৫ এমএমসিএফডি গ্যাস যোগের আশা ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮৩ জন শারিয়তপুরে চিরনিদ্রায় আবুল কালাম—ফার্মগেটে মেট্রো পিলার থেকে পড়ে নিহত বিকাশ ব্যবহারকারীদের জন্য বিদেশ ভ্রমণ জেতার সুযোগ ও সর্বোচ্চ ৪০০০ টাকার ছাড় রাজসাহীর ইতিহাস (পর্ব -৪৫) জামালপুরে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় রিকশা দুমড়েমুচড়ে নিহত চার, আহত চারজন সহপাঠীর হাতে ১০ বছর বয়সী ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু

ত্রিপলি থেকে দ্বিতীয় চার্টার ফ্লাইটে দেশে ফিরলো ৩০৯ বাংলাদেশি

লিবিয়ার তত্ত্বাবধানে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ত্রিপলি থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে আগ্রহী ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যাবাসিত নাগরিকরা বিশেষ ফ্লাইটে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।


প্রত্যাবাসন ও ফ্লাইটের বিস্তারিত

বাংলাদেশ দূতাবাস ত্রিপলিতে অবস্থানরত নিবন্ধিত অভিবাসীদের মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ছিলেন, তাদের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ৩০৯ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এটি লিবিয়া সরকারের সহযোগিতায় পরিচালিত দ্বিতীয় চার্টার ফ্লাইট—প্রথম দফায় ৯ অক্টোবরও একই সংখ্যক (৩০৯) নাগরিককে দেশে ফেরানো হয়েছিল।


দূতাবাসের ভূমিকা ও বিদায়সূচি

ত্রিপলিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রত্যাবাসিতদের বিদায় জানান। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়া ও অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যাবাসিতরা পূর্বে দূতাবাসে স্বেচ্ছায় ফেরার জন্য আবেদন করেছিলেন; পরবর্তীতে দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও বহির্গমন ছাড়পত্র সংগ্রহসহ সব প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে।


রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য

রাষ্ট্রদূত বলেন, দূতাবাস লিবিয়ায় অবস্থানরত নাগরিকদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি অনিয়মিত পথে বিদেশ যাত্রার ঝুঁকি ও ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান এবং দালালচক্রের বিরুদ্ধে দেশে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করেন। দূতাবাস এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি জানান।


ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও অনুরোধ

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, প্রত্যেক নাগরিক দেশের সম্পদ—অতএব ভবিষ্যতে কেউ অবৈধ পথে বিদেশে যাবে না; বরং বৈধ উপায়ে প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জন করে দেশের সম্মান ও উন্নয়নে অবদান রাখতে হবে। দূতাবাস লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে।


পরবর্তী প্রত্যাবাসন

দূতাবাস জানায়, একই পদ্ধতিতে মিসরাতা ও ত্রিপলি থেকে নিবন্ধিতদের মধ্যে অবশিষ্ট আরও তিন শতাধিক বাংলাদেশিকে আগামী ৩০ অক্টোবর দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য লিবিয়া সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সমন্বয় করা হচ্ছে।


প্রত্যাবাসন, লিবিয়া, বাংলাদেশ দূতাবাস, চার্টার ফ্লাইট, মানবপাচার প্রতিরোধ

জনপ্রিয় সংবাদ

নিরপেক্ষতা হারিয়েছে উইকিপিডিয়া—ল্যারি স্যাঙ্গারের নেতৃত্বে রক্ষণশীল অভিযাত্রা

ত্রিপলি থেকে দ্বিতীয় চার্টার ফ্লাইটে দেশে ফিরলো ৩০৯ বাংলাদেশি

০৫:২১:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

লিবিয়ার তত্ত্বাবধানে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ত্রিপলি থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে আগ্রহী ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যাবাসিত নাগরিকরা বিশেষ ফ্লাইটে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।


প্রত্যাবাসন ও ফ্লাইটের বিস্তারিত

বাংলাদেশ দূতাবাস ত্রিপলিতে অবস্থানরত নিবন্ধিত অভিবাসীদের মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ছিলেন, তাদের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ৩০৯ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এটি লিবিয়া সরকারের সহযোগিতায় পরিচালিত দ্বিতীয় চার্টার ফ্লাইট—প্রথম দফায় ৯ অক্টোবরও একই সংখ্যক (৩০৯) নাগরিককে দেশে ফেরানো হয়েছিল।


দূতাবাসের ভূমিকা ও বিদায়সূচি

ত্রিপলিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রত্যাবাসিতদের বিদায় জানান। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়া ও অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যাবাসিতরা পূর্বে দূতাবাসে স্বেচ্ছায় ফেরার জন্য আবেদন করেছিলেন; পরবর্তীতে দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও বহির্গমন ছাড়পত্র সংগ্রহসহ সব প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে।


রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য

রাষ্ট্রদূত বলেন, দূতাবাস লিবিয়ায় অবস্থানরত নাগরিকদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি অনিয়মিত পথে বিদেশ যাত্রার ঝুঁকি ও ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান এবং দালালচক্রের বিরুদ্ধে দেশে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করেন। দূতাবাস এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি জানান।


ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও অনুরোধ

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, প্রত্যেক নাগরিক দেশের সম্পদ—অতএব ভবিষ্যতে কেউ অবৈধ পথে বিদেশে যাবে না; বরং বৈধ উপায়ে প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জন করে দেশের সম্মান ও উন্নয়নে অবদান রাখতে হবে। দূতাবাস লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে।


পরবর্তী প্রত্যাবাসন

দূতাবাস জানায়, একই পদ্ধতিতে মিসরাতা ও ত্রিপলি থেকে নিবন্ধিতদের মধ্যে অবশিষ্ট আরও তিন শতাধিক বাংলাদেশিকে আগামী ৩০ অক্টোবর দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য লিবিয়া সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সমন্বয় করা হচ্ছে।


প্রত্যাবাসন, লিবিয়া, বাংলাদেশ দূতাবাস, চার্টার ফ্লাইট, মানবপাচার প্রতিরোধ