উচ্ছেদ অভিযানের পর বিক্ষোভে উত্তেজনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অবৈধ দোকান, ভাসমান মানুষ ও বহিরাগতদের উচ্ছেদ অভিযান চালানোর একদিন পর শনিবার বিকেলে কয়েকটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন উচ্ছেদ হওয়া ফুটপাত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কয়েকজন প্রতিনিধি প্রভোস্ট অফিসে গিয়ে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করার দাবি
ডাকসু প্রতিনিধি ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়ার জন্য।
তারা বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ রোধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

ডাকসু নেতাদের বক্তব্য
ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক এসএম ফারহাদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত অংশীদার হলো শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কোনো মাদক ব্যবসায়ী, অবৈধ দোকানদার বা ফুটপাত বিক্রেতার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক নেই। যারা অবৈধ অর্থ ও মাদকের সিন্ডিকেটে ক্ষতিগ্রস্ত, তারাই এখন নতুন গল্প তৈরি করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় মিছিল করছে।”
তিনি আরও বলেন, “একটা বিষয় পরিষ্কার — হয় ডাকসু থাকবে, নয় অবৈধ ব্যবসা ও মাদকের সিন্ডিকেট। দুটো একসঙ্গে চলতে দেওয়া হবে না।”
উচ্ছেদ অভিযান ও প্রশাসনের অবস্থান
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জোরদার করবে। তবে কেবল প্রভোস্ট টিমের পক্ষে পুরো ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা রক্ষা করা সম্ভব নয়।”
তিনি জানান, রবিবার প্রভোস্ট টিম ও ডাকসু প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিক্ষোভে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জড়িত ছিল কিনা তা পর্যালোচনা করা হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে।
উচ্ছেদ অভিযানে মাদকসহ বহিরাগত গ্রেপ্তার
গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট টিম অবৈধ দোকান, ভাসমান মানুষ ও বহিরাগতদের উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে আসছে। এসব অভিযানে কয়েকজনের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় ফুটপাত বিক্রেতাদের একদল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করে উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। অভিযোগ রয়েছে, এই বিক্ষোভে কয়েকজন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতা যোগ দেন এবং তাদের উসকানি দেন।

পরবর্তী পদক্ষেপ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত চলছে এবং কোনো শিক্ষার্থী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
#ঢাবি #বিক্ষোভ #উচ্ছেদ_অভিযান #বাম_ছাত্রসংগঠন #ডাকসু #সারাক্ষণ_রিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















