চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নতুন জাপানি প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচিকে জানিয়েছেন, মতবিরোধ নয়, পারস্পরিক সহযোগিতা ও আস্থা যেন দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজুতে এপেক সম্মেলনের ফাঁকে তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এ বার্তা দেন শি।
সম্পর্কের মূল বার্তা: মতবিরোধ নয়, পারস্পরিক সহযোগিতা
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, টোকিওর সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক যেন মতবিরোধের মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত না হয়। শুক্রবার নতুন জাপানি প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু শহরে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী এপেক (এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন) সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার ৩০ মিনিটের বৈঠক হয়। তাকাইচি এক সপ্তাহ আগে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

পার্থক্যের মধ্যেও সহযোগিতার আহ্বান
শি জিনপিং বলেন, “চীন ও জাপানকে পারস্পরিক সম্পর্কের বড় চিত্রের দিকে নজর দিতে হবে এবং মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও সাধারণ স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “দুই দেশের মধ্যে বিরোধ ও মতভেদ যেন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সামগ্রিক দিককে নিয়ন্ত্রণ না করে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।”
চীনা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা সিসিটিভি জানায়, শি দুই দেশের সম্পর্কের স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
গঠনমূলক ও স্থিতিশীল সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি
বৈঠকে দুই নেতা পূর্ববর্তী কূটনৈতিক আলোচনার ভিত্তি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং “কৌশলগতভাবে পারস্পরিকভাবে উপকারী সম্পর্ক” গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।
তারা বলেন, ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গঠনমূলক, স্থিতিশীল ও পারস্পরিক আস্থাভিত্তিক করতে যৌথভাবে কাজ করা প্রয়োজন।

তাকাইচির অবস্থান: চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আশাবাদ
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি স্বীকার করেন, টোকিও ও বেইজিংয়ের মধ্যে এখনো অনেক অনিষ্পন্ন ইস্যু ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে তিনি বলেন, “আমরা এসব বিষয়কে সরাসরি মোকাবিলা করব এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়িয়ে ইতিবাচক পথে এগোব।”
কূটনৈতিক ভারসাম্যের নতুন অধ্যায়
বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক চীন ও জাপানের সম্পর্কের নতুন ভারসাম্যের ইঙ্গিত বহন করছে। উভয় দেশই আঞ্চলিক শান্তি, বাণিজ্য এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন করে আস্থা গড়ে তুলতে আগ্রহী।
#চীন #জাপান #শি_জিনপিং #সানায়ে_তাকাইচি #এপেক_সম্মেলন #আন্তর্জাতিক_সম্পর্ক #সারাক্ষণ_রিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















