বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) জানিয়েছে, এ বছর নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তত ১০ দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এর মধ্যে তিনটি হতে পারে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, যা জনজীবনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শীত মৌসুমে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তত ১০ দফা শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। এর মধ্যে তিনটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাধারণের চেয়ে ঠাণ্ডা শীত আসছে
২ নভেম্বর ২০২৫, রোববার রাতে প্রকাশিত দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বিএমডি জানায়, এ বছরের শীত মৌসুম সাধারণের তুলনায় কিছুটা বেশি ঠাণ্ডা হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি কুয়াশা, হালকা বৃষ্টি ও তাপমাত্রার ওঠানামা দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
হালকা শৈত্যপ্রবাহ ইতোমধ্যেই বইছে
বিএমডির তথ্যমতে, ইতোমধ্যেই দেশের কিছু অঞ্চলে হালকা শৈত্যপ্রবাহ বইছে, যা ক্রমে আরও তীব্র হতে পারে।

বৃষ্টি ও নিম্নচাপের সম্ভাবনা
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এছাড়া, বঙ্গোপসাগরে দুই থেকে চারটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে দুটি নিম্নচাপ-ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
কোন অঞ্চলে বেশি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে
বিএমডি জানায়, উত্তর-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এই সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সব মিলিয়ে, এ বছর বাংলাদেশে শীত মৌসুমটি হতে পারে কিছুটা দীর্ঘ ও কঠিন। শৈত্যপ্রবাহ, কুয়াশা, হালকা বৃষ্টি এবং নিম্নচাপের প্রভাবে কৃষি, যোগাযোগ ও জনজীবনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।
শৈত্যপ্রবাহ, বাংলাদেশ, আবহাওয়া, ঠাণ্ডা, পূর্বাভাস, আবহাওয়া অধিদপ্তর, শীত
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















