সোমবার রাতে দিল্লির লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের ঘটনায় একাধিক গাড়ি পুড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মুখোশধারী চালকের নতুন ফুটেজ
তদন্ত যত গভীরে যাচ্ছে, ততই নতুন তথ্য উঠে আসছে। সর্বশেষ পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে—একজন মুখোশ পরা ব্যক্তি সেই হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন, যা কয়েক মিনিট পরই বিস্ফোরিত হয়।
ফুটেজটি একটি পার্কিং লটের, যেখানে দেখা যায় কালো মুখোশ পরা এক ব্যক্তি এইচআর২৬সিই৭৬৭৪ নাম্বার প্লেটযুক্ত গাড়িটি চালাচ্ছেন।
কীভাবে ঘটেছিল বিস্ফোরণ
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটের দিকে, নেটাজি সুভাষ মার্গে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছাকাছি ট্রাফিক সিগনালের পাশে হুন্ডাই আই২০ গাড়িটিতে উচ্চমাত্রার বিস্ফোরণ ঘটে।
তখন রাস্তায় প্রচুর ভিড় ছিল। বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েকটি গাড়ি আগুনে পুড়ে যায় এবং চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সিসিটিভি সূত্রে তদন্তের অগ্রগতি
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পুলিশের হাতে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে সন্দেহভাজনের গাড়িটি একা চালাচ্ছিলেন চালক। গাড়িটি পার্কিং লটে প্রবেশ ও বের হতে দেখা যায়।
তদন্তকারীরা বর্তমানে দারিয়াগঞ্জের দিকের রুট ট্রেস করছেন এবং ১০০টিরও বেশি সিসিটিভি ফুটেজ, টোলপ্লাজাসহ আশপাশের এলাকা থেকে সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণের প্রায় তিন ঘণ্টা আগে বিকেল ৪টার দিকে গাড়িটি দারিয়াগঞ্জ মার্কেট হয়ে সুনেহরি মসজিদের কাছে পৌঁছেছিল।
এক কর্মকর্তা বলেন, “চাটা রেল চৌকের দিকে গাড়িটি ঘুরে নিম্ন সুবাস মার্গের দিকে যাচ্ছিল। সিগন্যালে এসে গাড়িটি ধীরে চলার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।”
বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ
তদন্তে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গাড়ির ভেতরে কোনো বিস্ফোরক বহনের সময় দুর্ঘটনাবশত তা বিস্ফোরিত হয়।
প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল এটি সিএনজি সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ হতে পারে, কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেটি নয়।
এক কর্মকর্তা আরও জানান, এটি অ্যামোনিয়া জেল বা অনুরূপ কোনো উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক হতে পারে, যদিও এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ হয়নি।
আটক দুই ব্যক্তি ও মামলা
দিল্লি পুলিশ ইতোমধ্যে ‘অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধ আইন’ (ইউএপিএ) এবং ‘বিস্ফোরক আইন’-এর অধীনে মামলা করেছে।
পুলিশ গাড়িটির আগের দুই মালিক সালমান ও দেবেন্দ্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
গাড়িটি ২০১৪ সালে সালমানের নামে নিবন্ধিত ছিল এবং প্রায় দেড় বছর আগে তিনি এটি দেবেন্দ্রর কাছে বিক্রি করেন বলে জানিয়েছেন গুরগাঁও পুলিশের মুখপাত্র সন্দীপ কুমার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ঘটনাটি সবদিক থেকে তদন্ত করা হবে।
তিনি আশ্বস্ত করেছেন, এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের পেছনের কারণ উদ্ঘাটনে কোনো দিক উপেক্ষা করা হবে না।
#লালকেল্লা_বিস্ফোরণ #দিল্লি_সংবাদ #হুন্ডাই_আই২০ #সারাক্ষণ_রিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















