০২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
দুবাইয়ের লাইব্রেরিয়ান থেকে বিশ্বব্যাপী গল্প-আন্দোলন: ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল রঘুনাথের উদ্যোগ আইডিএফ–এর ‘হামাস গ্রাম’ প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ভেতরে: আরবান গেরিলা যুদ্ধের নতুন রূপরেখা ঘরকে মাকড়সার হাত থেকে রক্ষা করুন—জালমুক্ত রাখার ৮টি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর উপায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কেন জড়ো হয়েছেন প্রায় দেড়শো মানুষ? পল্লবীতে ককটেল বিস্ফোরণে পুলিশ সদস্য আহত আদানি বিরোধে সিঙ্গাপুর সালিশি স্থগিত: বাংলাদেশ আদালতের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন রাস আল খাইমাহর ওল্ড কর্নিশে দুই ১২ বছর বয়সী পাকিস্তানি বন্ধুর করুণ মৃত্যু মে মাসের যুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক সাফল্য: মার্কিন প্রতিবেদনে নতুন তথ্য আরব সাগরে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের মাদক জব্দ ইউরোপীয় ইউনিয়ন কীভাবে চীন থেকে আসা স্বল্পমূল্যের ই-কমার্স পণ্য নিয়ন্ত্রণে আনতে চায়

রাঙামা‌টি‌তে চলছে ৩৬ ঘণ্টার হরতাল, সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ

রাঙামাটিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে কোটা বৈষম্য ও অনিয়মের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ৩৬ ঘণ্টার হরতাল চলছে।

তিনটি সংগঠনের ডাকা এ হরতাল সকাল থেকে শুরু হয়। এর সমর্থনে শহরের রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি, বনরূপাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে ও সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারী। এতে বিভিন্ন স্থানে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হরতালের কারণে শহরের একমাত্র গণপরিবহন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে শপিংমল ও দোকানপাট এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। রাঙামাটি থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনও বাস। পাশাপাশি বন্ধ আছে আন্তঃজেলা বাস ও ছয় উপজেলার সঙ্গে নৌ চলাচল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

হরতালের সমর্থনকারীরা জানান, দেশের সব চাকরির নিয়োগে সরকার ৭ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে দিলেও রাঙামাটি জেলা পরিষদ সেই বিধান না মেনে নিয়োগ পরীক্ষার শুরু করেছে। ফলে মেধাবীরা বঞ্চিত হবে। আমরা চাই মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। কোটার নামে বৈষম্য আর চলবে না।

কোটাবিরোধী ঐক্যজোটের নেতা ইমাম হোসেন ইমু বলেন, ‘জেলা পরিষদ ৭০ শতাংশ পাহাড়ি ও ৩০ শতাংশ বাঙালি এই কোটা মেনে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে চাচ্ছে। এটি চরম বৈষম্য। এই বৈষম্যের প্রতিবাদে আমরা হরতাল পালন করছি। রাঙামাটির সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল সমর্থন করেছেন।’

এর আগে বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় কোটাবিরোধী ঐক্যজোট, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে এ হরতাল আহ্বান করা হয়। রাঙামাটি শহরের বনরূপার একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সংগঠন তিনটির নেতারা হরতালের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়োগে কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ কোনও ধরনের সমাধান দেয়নি। বাধ্য হয়েই আমরা হরতালের কর্মসূচি দিয়েছি।’

জনপ্রিয় সংবাদ

দুবাইয়ের লাইব্রেরিয়ান থেকে বিশ্বব্যাপী গল্প-আন্দোলন: ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল রঘুনাথের উদ্যোগ

রাঙামা‌টি‌তে চলছে ৩৬ ঘণ্টার হরতাল, সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ

১২:২০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

রাঙামাটিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে কোটা বৈষম্য ও অনিয়মের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ৩৬ ঘণ্টার হরতাল চলছে।

তিনটি সংগঠনের ডাকা এ হরতাল সকাল থেকে শুরু হয়। এর সমর্থনে শহরের রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি, বনরূপাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে ও সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারী। এতে বিভিন্ন স্থানে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হরতালের কারণে শহরের একমাত্র গণপরিবহন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে শপিংমল ও দোকানপাট এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। রাঙামাটি থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনও বাস। পাশাপাশি বন্ধ আছে আন্তঃজেলা বাস ও ছয় উপজেলার সঙ্গে নৌ চলাচল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

হরতালের সমর্থনকারীরা জানান, দেশের সব চাকরির নিয়োগে সরকার ৭ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে দিলেও রাঙামাটি জেলা পরিষদ সেই বিধান না মেনে নিয়োগ পরীক্ষার শুরু করেছে। ফলে মেধাবীরা বঞ্চিত হবে। আমরা চাই মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। কোটার নামে বৈষম্য আর চলবে না।

কোটাবিরোধী ঐক্যজোটের নেতা ইমাম হোসেন ইমু বলেন, ‘জেলা পরিষদ ৭০ শতাংশ পাহাড়ি ও ৩০ শতাংশ বাঙালি এই কোটা মেনে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে চাচ্ছে। এটি চরম বৈষম্য। এই বৈষম্যের প্রতিবাদে আমরা হরতাল পালন করছি। রাঙামাটির সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল সমর্থন করেছেন।’

এর আগে বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় কোটাবিরোধী ঐক্যজোট, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে এ হরতাল আহ্বান করা হয়। রাঙামাটি শহরের বনরূপার একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সংগঠন তিনটির নেতারা হরতালের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়োগে কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ কোনও ধরনের সমাধান দেয়নি। বাধ্য হয়েই আমরা হরতালের কর্মসূচি দিয়েছি।’