০৭:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
তরুণরাই এখন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে; নতুন ৫৯৩ ডেঙ্গু রোগী, আরও ৩ মৃত্যু বাংলাদেশের জয় খুব কাছেই, ইতিহাস গড়লেন তাইজুল জুলাই বিদ্রোহের প্রভাব কাটেনি, উন্নয়ন কাজে ধীরগতি জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চেতনার মালিকানা ‘কারও একার নয়’: সালাহউদ্দিনের সতর্কবার্তা জুলাই বিপ্লব: সংবিধান বাতিল নয়, বরং স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করার আন্দোলন চার মৃত্যু: কান্তাজির মেলা যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা একদিনে দুবার ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মন্ত্রী এলে যারা ‘বড় জ্যাঠা’ মনে করে, আমি তাদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কিয়েভের কঠিন দ্বিধা ১৩তম সংসদ নির্বাচন পেছাতে চক্রান্ত চলছে: আমীর খসরুর অভিযোগ

পাকিস্তান থেকে মন্ত্রী এলে যারা ‘বড় জ্যাঠা’ মনে করে, আমি তাদের বিরুদ্ধে

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের বিএনপি প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন যে পাকিস্তান থেকে কেউ এলে যাদের আচরণে ‘বড় জ্যাঠা’ ভাব দেখা যায়—তিনি তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ রক্ষার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন।


রাজনৈতিক আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
এক কর্মী সমাবেশে ফজলুর রহমান বলেন, তার রাজনৈতিক বিশ্বাস সম্পূর্ণভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে গড়ে উঠেছে। তিনি জানান—শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন এবং সেক্টর ও ব্রিগেড কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। সেই জিয়ার হাত ধরেই বিএনপির জন্ম।
তিনি বলেন, “আমি মুক্তিযোদ্ধার আদর্শের দলে আছি।”


ধর্মবিরোধী হিসেবে অপপ্রচারে ক্ষোভ
ধর্মবিরোধী বলার অভিযোগের কঠোর জবাব দিয়ে তিনি বলেন—তিনি মুসলিম পরিবারে জন্মেছেন এবং ছোটবেলা থেকেই মসজিদ-মাদরাসায় শিক্ষা গ্রহণ করেছেন।
তার বক্তব্য—“যারা বলে আমি ধর্মবিরোধী, তারা মিথ্যাবাদী, বেইমান, রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধী।”


জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ফজলুর রহমান দাবি করেন, জামায়াতে ইসলামী তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি জানান, ৫ আগস্টের পর দলটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন—“যারা বলে ৭১ সালে যুদ্ধ হয়নি, পাকিস্তান থেকে কেউ এলে বড় জ্যাঠা এসেছে—আমি তাদের বিরুদ্ধেই লড়াই করি। বাংলাদেশই থাকবে, এটিই আমার সংগ্রাম।”


মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই
তিনি ঘোষণা দেন যে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে থাকবেন।
তার বক্তব্য—“৩০ লাখ শহীদের রক্ত, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম, নির্বাসনে যাওয়া এক কোটি মানুষের ত্যাগ—এ ইতিহাস কোনোভাবেই মুছে ফেলা যাবে না।”


সমাবেশে উপস্থিত অন্যান্য নেতৃবৃন্দ
কর্মী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন—

  • জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা
  • সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন
  • উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেন
  • সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন
    এ ছাড়া স্থানীয় নেতারাও বক্তব্য রাখেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

তরুণরাই এখন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে; নতুন ৫৯৩ ডেঙ্গু রোগী, আরও ৩ মৃত্যু

পাকিস্তান থেকে মন্ত্রী এলে যারা ‘বড় জ্যাঠা’ মনে করে, আমি তাদের বিরুদ্ধে

০৬:৩৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের বিএনপি প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন যে পাকিস্তান থেকে কেউ এলে যাদের আচরণে ‘বড় জ্যাঠা’ ভাব দেখা যায়—তিনি তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ রক্ষার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন।


রাজনৈতিক আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
এক কর্মী সমাবেশে ফজলুর রহমান বলেন, তার রাজনৈতিক বিশ্বাস সম্পূর্ণভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে গড়ে উঠেছে। তিনি জানান—শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন এবং সেক্টর ও ব্রিগেড কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। সেই জিয়ার হাত ধরেই বিএনপির জন্ম।
তিনি বলেন, “আমি মুক্তিযোদ্ধার আদর্শের দলে আছি।”


ধর্মবিরোধী হিসেবে অপপ্রচারে ক্ষোভ
ধর্মবিরোধী বলার অভিযোগের কঠোর জবাব দিয়ে তিনি বলেন—তিনি মুসলিম পরিবারে জন্মেছেন এবং ছোটবেলা থেকেই মসজিদ-মাদরাসায় শিক্ষা গ্রহণ করেছেন।
তার বক্তব্য—“যারা বলে আমি ধর্মবিরোধী, তারা মিথ্যাবাদী, বেইমান, রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধী।”


জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ফজলুর রহমান দাবি করেন, জামায়াতে ইসলামী তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি জানান, ৫ আগস্টের পর দলটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন—“যারা বলে ৭১ সালে যুদ্ধ হয়নি, পাকিস্তান থেকে কেউ এলে বড় জ্যাঠা এসেছে—আমি তাদের বিরুদ্ধেই লড়াই করি। বাংলাদেশই থাকবে, এটিই আমার সংগ্রাম।”


মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই
তিনি ঘোষণা দেন যে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে থাকবেন।
তার বক্তব্য—“৩০ লাখ শহীদের রক্ত, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম, নির্বাসনে যাওয়া এক কোটি মানুষের ত্যাগ—এ ইতিহাস কোনোভাবেই মুছে ফেলা যাবে না।”


সমাবেশে উপস্থিত অন্যান্য নেতৃবৃন্দ
কর্মী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন—

  • জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা
  • সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন
  • উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেন
  • সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন
    এ ছাড়া স্থানীয় নেতারাও বক্তব্য রাখেন।