সারাক্ষণ রিপোর্ট
২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যে, তারা ইরানের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের (MOIS) তিন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। তারা প্রাক্তন এফবিআই বিশেষ এজেন্ট রবার্ট এ. লেভিনসনের অপহরণ, আটক এবং সম্ভাব্য মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
ইরানি গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে অতীতেও ব্যবস্থা
MOIS দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন নাগরিকদের বেআইনিভাবে আটকের সঙ্গে জড়িত এবং এর আগে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচির আওতায় এই সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের আগের নিষেধাজ্ঞার ধারাবাহিকতা
এর আগে ডিসেম্বর ২০২০ সালে, মোহাম্মদ বাসেরি ও আহমাদ খাজাই নামে দুই MOIS কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। তারাও রবার্ট লেভিনসনের অপহরণ ও আটকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই মামলার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের চিহ্নিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বন্দি মার্কিন নাগরিকদের মুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা বিশ্বব্যাপী যেসব মার্কিন নাগরিক জিম্মি বা বেআইনিভাবে আটক রয়েছেন, তাদের মুক্তি ও পরিবারের কাছে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। একই সঙ্গে ইরানের হাতে মার্কিন নাগরিকদের বেআইনিভাবে আটকের ধারাবাহিক নীতিরও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
২০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা
২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস‘ কর্মসূচির আওতায় রবার্ট লেভিনসনের অবস্থান শনাক্ত, তাকে ফিরিয়ে আনা এবং দায়ীদের চিহ্নিত করতে সহায়তা করার জন্য সর্বোচ্চ ২ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
আইন অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা জারি
আজকের নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ ১৪০৭৮-এর অধীনে কার্যকর হয়েছে, যা ‘রবার্ট লেভিনসন হোস্টেজ রিকভারি অ্যান্ড হোস্টেজ-টেকিং অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যাক্ট’ বাস্তবায়ন করে। এই আইন সন্ত্রাসী সংগঠন, অপরাধ চক্র এবং অন্য সব দুষ্টচক্র ও রাষ্ট্রকে জবাবদিহির আওতায় আনে, যারা আর্থিক বা রাজনৈতিক স্বার্থে জিম্মি নেয় বা বেআইনিভাবে কাউকে আটক করে।
এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পাওয়া যাবে।