১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ২৪)

শুরু থেকেই ইউসুফের পণ্য বাজার পায়। ব্যবসা বাড়তে থাকে। ইউসুফ হজ্জ্ব করেন, গোয়ালঘাট মহল্লার সরদার নির্বাচিত হন।

আহমদিয়া মসজিদ

ঢাকার বকশিবাজারে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের প্রধান মসজিদ 

বিশ্বে আহমদিয়া মুসলিম মিশন আছে প্রায় ১০৩টি। এর মধ্যে ঢাকার বকশিবাজারে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের সদর দপ্তর সবচেয়ে বড়। ১৯৩৬ সালে একটি ভাড়া করা খড়ের ঘরে মসজিদের কাজ শুরু হয়। ১৯৪৬ সালে জামাত এই বাড়িটি কিনে নিয়ে ‘দারুত তাবলিগ মসজিদ ও মিশন হাউজ’ নামে কার্যক্রম শুরু করে। সাধারণের কাছে এটি আহমদিয়া মসজিদ নামেই পরিচিত।

ইউসুফ বেকারি

ঢাকার একটি ব্র্যান্ডনেম ইউসুফ বেকারি। যৌবনে মগবাজার থাকার সময় সেখানে ইউসুফ বেকারির একটি শাখা থেকেই নিত্যদিনকার রুটি, বিস্কুট কেনা হতো। ইউসুফ বেকারি, এখনকার ইউসুফ বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারি ঢাকার আদি বেকারি, যার বয়স এখন ৯২।

হাজী ইউসুফ

ইউসুফ বেকারি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হাজী ইউসুফ। তাঁর পিতা আবদুল হামিদ বেপারি। দোলাই পাড়ের গোয়ালঘাটের বাসিন্দা। উপাধি দেখেই বোঝা যায় পরিবারটি ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। ইউসুফ প্রাইমারি পর্যন্ত পড়েছেন। তারপর যোগ দিয়েছেন পারিবারিক ব্যবসায়। নানাবিধ ব্যবসা ছিল তাঁদের, রেশন, বোর্ডিং হাউজ, ইজারা ইত্যাদি। তাদের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল নিউ ঢাকা বোর্ডিং হাউজ। দোলাই খালের টোলের ইজারাও নিয়েছিলেন তিনি। দোলাই খাল তখনও ঢাকায় আসার জলপথ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। নৌকা খালে ঢুকলেই টোল দিতে হতো।

ইউসুফ তখন নিজে এর বাইরে কিছু করতে চাইলেন। তিনি বেকারিজাত কিছু পণ্য তৈরি করে বিক্রি করতে লাগলেন। সেটি ১৯৩২ সালের কথা।

সে হিসেবে ধরলে ইউসুফের পত্তন ১৯৩২ সালে। কিন্তু বেকারির ফেসবুকে পত্তনের কথা লেখা আছে ১৯৩৯। আসলে ঐ বছর জনসন রোডে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইউসুফ বেকারির যাত্রা শুরু।

ইউসুফ বেকারি

শুরু থেকেই ইউসুফের পণ্য বাজার পায়। ব্যবসা বাড়তে থাকে। ইউসুফ হজ্জ্ব করেন, গোয়ালঘাট মহল্লার সরদার নির্বাচিত হন। তখন তাঁর পরিচিতি দাঁড়ায় সরদার হাজি ইউসুফ (১৯০৭-১৯৯০)।

শুরু থেকেই ইউসুফের ব্যবসা কমেনি। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। বেকারির পণ্য সবসময় সময়োপযোগী করা হয়। পরে কনফেকশনারি শব্দটি যুক্ত হয়। ইউসুফ ১১জন পুত্র, ২ কন্যা ও ৩৯ জন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। পরে তাঁর উত্তরাধিকারীরা ইউসুফ অ্যান্ড সন্স, ইউসুফ অ্যান্ড গ্র্যান্ড সন্স নামে আরো শাখা খোলেন। কিন্তু, পণ্য এখনও উৎপাদিত হয় মূল কারখানায়।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ২৩)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ২৩)

 

 

 

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ২৪)

০৭:০০:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

শুরু থেকেই ইউসুফের পণ্য বাজার পায়। ব্যবসা বাড়তে থাকে। ইউসুফ হজ্জ্ব করেন, গোয়ালঘাট মহল্লার সরদার নির্বাচিত হন।

আহমদিয়া মসজিদ

ঢাকার বকশিবাজারে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের প্রধান মসজিদ 

বিশ্বে আহমদিয়া মুসলিম মিশন আছে প্রায় ১০৩টি। এর মধ্যে ঢাকার বকশিবাজারে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের সদর দপ্তর সবচেয়ে বড়। ১৯৩৬ সালে একটি ভাড়া করা খড়ের ঘরে মসজিদের কাজ শুরু হয়। ১৯৪৬ সালে জামাত এই বাড়িটি কিনে নিয়ে ‘দারুত তাবলিগ মসজিদ ও মিশন হাউজ’ নামে কার্যক্রম শুরু করে। সাধারণের কাছে এটি আহমদিয়া মসজিদ নামেই পরিচিত।

ইউসুফ বেকারি

ঢাকার একটি ব্র্যান্ডনেম ইউসুফ বেকারি। যৌবনে মগবাজার থাকার সময় সেখানে ইউসুফ বেকারির একটি শাখা থেকেই নিত্যদিনকার রুটি, বিস্কুট কেনা হতো। ইউসুফ বেকারি, এখনকার ইউসুফ বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারি ঢাকার আদি বেকারি, যার বয়স এখন ৯২।

হাজী ইউসুফ

ইউসুফ বেকারি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হাজী ইউসুফ। তাঁর পিতা আবদুল হামিদ বেপারি। দোলাই পাড়ের গোয়ালঘাটের বাসিন্দা। উপাধি দেখেই বোঝা যায় পরিবারটি ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। ইউসুফ প্রাইমারি পর্যন্ত পড়েছেন। তারপর যোগ দিয়েছেন পারিবারিক ব্যবসায়। নানাবিধ ব্যবসা ছিল তাঁদের, রেশন, বোর্ডিং হাউজ, ইজারা ইত্যাদি। তাদের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল নিউ ঢাকা বোর্ডিং হাউজ। দোলাই খালের টোলের ইজারাও নিয়েছিলেন তিনি। দোলাই খাল তখনও ঢাকায় আসার জলপথ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। নৌকা খালে ঢুকলেই টোল দিতে হতো।

ইউসুফ তখন নিজে এর বাইরে কিছু করতে চাইলেন। তিনি বেকারিজাত কিছু পণ্য তৈরি করে বিক্রি করতে লাগলেন। সেটি ১৯৩২ সালের কথা।

সে হিসেবে ধরলে ইউসুফের পত্তন ১৯৩২ সালে। কিন্তু বেকারির ফেসবুকে পত্তনের কথা লেখা আছে ১৯৩৯। আসলে ঐ বছর জনসন রোডে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইউসুফ বেকারির যাত্রা শুরু।

ইউসুফ বেকারি

শুরু থেকেই ইউসুফের পণ্য বাজার পায়। ব্যবসা বাড়তে থাকে। ইউসুফ হজ্জ্ব করেন, গোয়ালঘাট মহল্লার সরদার নির্বাচিত হন। তখন তাঁর পরিচিতি দাঁড়ায় সরদার হাজি ইউসুফ (১৯০৭-১৯৯০)।

শুরু থেকেই ইউসুফের ব্যবসা কমেনি। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। বেকারির পণ্য সবসময় সময়োপযোগী করা হয়। পরে কনফেকশনারি শব্দটি যুক্ত হয়। ইউসুফ ১১জন পুত্র, ২ কন্যা ও ৩৯ জন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। পরে তাঁর উত্তরাধিকারীরা ইউসুফ অ্যান্ড সন্স, ইউসুফ অ্যান্ড গ্র্যান্ড সন্স নামে আরো শাখা খোলেন। কিন্তু, পণ্য এখনও উৎপাদিত হয় মূল কারখানায়।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ২৩)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ২৩)