সারাক্ষণ ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র তার প্রধান বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএইড বন্ধ করার পর, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জরুরি সহায়তা প্রদানে এগিয়ে এসেছে চীন। ২০২৪ সালে ইউএসএইডের ব্যয় ছিল ৩২.৫ বিলিয়ন ডলার। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অবকাঠামো খাতে এই সংস্থার অনুপস্থিতিতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণে এখন Beijing এগিয়ে এসেছে।
দ্রুত প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বেইজিং
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউএসএইড বন্ধের ঘোষণা আগেভাগেই দিয়েছিলেন, ফলে চীন আগেই প্রস্তুতি নিতে পেরেছে। এখন তারা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সক্রিয়ভাবে সহায়তা দিচ্ছে। কেম্বোডিয়ায় চীন শিশু স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, স্যানিটেশন ও ল্যান্ডমাইন অপসারণে সহায়তা শুরু করেছে। নেপালেও তারা অর্থ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
প্রতিস্থাপন নয়, কৌশলগত পুনর্বিন্যাস
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন ইউএসএইডের আকারে সহায়তা দিচ্ছে না, বরং দ্রুত সম্পদ মোতায়েন করতে পারার সুবিধা কাজে লাগাচ্ছে। দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও মধ্য এশিয়ায় তারা সবচেয়ে বেশি সক্রিয়, যেখানে স্বাস্থ্য, কৃষি ও অবকাঠামোর মতো খাতে চীনের অভিজ্ঞতা এবং স্বার্থ একত্রিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের কেন্দ্রীভূত রাজনৈতিক কাঠামো তাদের দ্রুত ও কৌশলগতভাবে সহায়তা দিতে সক্ষম করে। তবে ইউরোপ ও পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোও কিছু কিছু খাতে এগিয়ে এসে বাকি শূন্যতা পূরণ করতে পারে।
বৈশ্বিক সহায়তার দৃশ্যপটে পরিবর্তন
ইউএসএইডের বিদায় একটি যুগান্তকারী ঘটনা। যদিও কেউ কেউ দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন, অনেকে এটিকে নতুন ও বৈচিত্র্যময় সহযোগিতার সুযোগ হিসেবে দেখছেন। চীন এই নতুন প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক উন্নয়নে একটি প্রধান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, যা বৈদেশিক সহায়তার রূপ ও নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে।