প্রদীপ কুমার মজুমদার
বলভদ্রের রচনায় কুসুমপুরের আর্যভটের উদ্ধৃতি থেকে বোঝা যায় আর্যভট এ’র পূর্ববর্তী লোক। কিন্তু বলভদ্রের কাল নির্ণয় সঠিকভাবে এখনও হয় নি।ভট্টোৎপলের রচনায় বলভদ্রের উদ্ধৃতি দেখে মনে হয় বলভদ্র ভট্টোৎপলের পূর্ববর্তী কালের গণিতবিদ।
আলবিন্ধণী তাঁর গ্রন্থে বলেছেন বলভদ্র ও কুসুমপুরের আর্যভটের রচনার আরবী অনুবাদ হয়েছিল। এ থেকে অনুমান করা যায় এঁরা অন্ততপক্ষে সপ্তম শতাব্দীর লোক। ব্রহ্মগুপ্তও এই শতাব্দীরই লোক। এথেকে বলা যেতে পারে কুসুমপুরের আর্যভট হয় বলভদ্রের সমসাময়িক না হয় ব্রহ্মগুপ্তের পূর্ববর্তী সময়ের লোক।
একটু নজর করলেই বোঝা যাবে আর্যসিদ্ধান্তের রচনাকার ও আর্যভটীয় গ্রন্থের রচনাকার অভিন্ন নন। আর্যসিদ্ধান্তের রচনাকার আলবিরূণী উল্লিখিত কোন আর্যভটই নন। কারণ (ক) আলবিরূণীর কোন উদ্ধৃতির আর্যসিদ্ধান্তে নেই (অবশ্য একটি ছাড়া) (খ) আর্যসিদ্ধান্তের রচনাকারের সঙ্গে কুসুমপুরের সম্পর্ক সম্বন্ধে কোন প্রমাণ নেই। (গ) এর মান, কল্প, যুগের পরিমাণ, পৃথিবীর আয়তন ও ঘূর্ণণ ইত্যাদি আঙ্কিক ব্যাপারে উভয়ের মধ্যে পার্থক্য দুষ্ট হয়।
(চলবে)
Leave a Reply